কলকাতা: দিল্লিতে এখনও ধর্নায় রয়েছেন দেশের কুস্তিগিররা (Wrestlers)। কুস্তি ফেডারেশনের সভাপতি ব্রিজভূষণ সিংয়ের অপসারণের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলনরত সাক্ষী মালিক, বিনেশ ফোগত, বজরং পুনিয়ারা। আখড়া ছেড়ে দিনের পর দিন যন্তর মন্তরেই কাটাচ্ছেন দেশের কুস্তিগিররা। সুরাহা মিলছে না। রেসলিং ফেডারেশনের সভাপতি ব্রিজভূষণ সিংয়ের (Brij Bhushan) বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে কুস্তিগিরদের। যৌন নির্যাতনের অভিযোগও রয়েছে রেসলিং ফেডারেশনের সভাপতির বিরুদ্ধে। কুস্তিগিরদের আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়েছে ভারতের ছাত্র ফেডারেশন। দিল্লির ধর্নামঞ্চে এসএফআই নেতা ময়ূখ বিশ্বাস, দীপ্সিতা ধররাও সামিল হয়েছেন যন্তর মন্তরে। এসএফআইয়ের (SFI) উদ্যোগে কুস্তিগির আন্দোলনের সংহতিতে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রককে পাঠান হল কয়েক হাজার পোস্টকার্ড। পদ্মশ্রী ও অর্জুনপ্রাপ্ত সাঁতারু বুলা চৌধুরীর হাত দিয়ে শুরু হয় এই কর্মসূচি। কেন্দ্রীয় মন্ত্রকে সুবিচার চেয়ে পোস্টকার্ড পাঠান সাক্ষী মালিকসহ আন্দোলনকারী কুস্তিগিররাও। বিস্তারিত জেনে নিন TV9Bangla Sports এর এই প্রতিবেদনে।
পশ্চিমবঙ্গ থেকে একাধিক খেলোয়াড় এসএফআইয়ের এই কর্মসূচিতে সামিল হয়েছেন। কুস্তিগিরদের আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়ে বার্তা পাঠান বুলা চৌধুরী। এ ছাড়া সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায়, উৎপল চট্টোপাধ্যায়, অনুষ্টুপ মজুমদার, ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়, বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য, সুকুমার সমাজপতি, সুব্রত পালের মতো একাধিক খেলোয়াড়রাও ন্যায়বিচারের দাবিতে কুস্তিগিরদের আন্দোলনে সংহতি জানিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গের ক্রীড়াবিদদের তরফ থেকে কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রীর কাছে আবেদন করা হয়েছে। রেসলিং ফেডারেশনের সভাপতি ব্রিজভূষণ সিংয়ের বিরুদ্ধে কুস্তিগিরদের অভিযোগ খতিয়ে দেখার আবেদন করেছেন রাজ্যের একাধিক খেলোয়াড়। এসএফআইয়ের উদ্যোগে সামিল হয়েছেন অমিত ভদ্র, দেবাশিস পালচৌধুরী, রঞ্জিত মুখোপাধ্যায়, তুষার রক্ষিত, কুন্তলা ঘোষদস্তিদার, লালকমল ভৌমিকের মতো ফুটবলাররাও।
প্রাক্তন ফুটবলার অমিত ভদ্র এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘এ ভাবে ধর্নায় বসে থাকতে হলে তা ক্রীড়াবিদদের পারফরমেন্সের উপরে চাপ তৈরি করবে। আইনের রাস্তা সবার জন্য খোলা। কুস্তিগিরদের অভিযোগ গ্রহণ করে দ্রুত তদন্ত শুরু করা উচিত।’