চার বছরের অপেক্ষা। শেষ হতে না হতেই আবার চার বছরের অপেক্ষা। এই অপেক্ষা শুধু ক্রীড়াবিদদের নয়, ক্রীড়া প্রেমীদেরও। সামনেই অলিম্পিক। এ বার প্যারিসে গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ। অলিম্পিকের ইতিহাসে এই নিয়ে তৃতীয় বার হচ্ছে প্যারিসে। ১৯০০ সালে প্যারিসেই বসেছিল অলিম্পিকের প্রথম আসর। অলিম্পিকের মঞ্চে ভারতের সেরা সাফল্য গত বার। টোকিওতে সাতটি পদক জিতেছিল ভারত। স্বাভাবিক ভাবেই সেই সংখ্যা পেরিয়ে যাওয়াতেই নজর থাকবে। প্রতিটা অলিম্পিকেই হতাশা যেমন থাকে, তেমনই নতুন কিছুও হয়। ২০১৬ রিও অলিম্পিকে হতাশার মাঝে ভারতের প্রাপ্তি ছিল নারীশক্তি!
২০১৬ সালের অলিম্পিক হয়েছিল ব্রাজিলের শহর রিও ডি জেনেইরোতে। রিও অলিম্পিক নামেই পরিচিত সেই সংস্করণ। ভারতের ১১৭ জন অ্যাথলিট অংশ নিয়েছিলেন। তখনও অবধি সেটিই ছিল অলিম্পিকে ভারতের সবচেয়ে বড় প্রতিনিধিত্ব। কিন্তু এক আকাশ প্রত্যাশা থাকলেও পূরণ হয়নি। মাত্র দুটি পদক জিতেছিল ভারত! অবাক করার মতো হলেও সেটিই সত্যি। দুটি পদকই জিতেছিলেন ভারতের মহিলা অ্যাথলিট। ১৯৯২ সালে বার্সেলোনা অলিম্পিকে খালি হাতে ফিরেছিল ভারত। রিওতেও তেমনই আশঙ্কাই তৈরি হয়েছিল।
রিও অলিম্পিকে অস্বস্তির মাঝে উজ্জ্বল ব্যাডমিন্টন তারকা পিভি সিন্ধু। কেরিয়ারের প্রথম অলিম্পিক পদক জেতেন তিনি। প্রথম পদকই রুপো। আরেকটি পদক জেতেন কুস্তিগির সাক্ষী মালিক। আরও একটা পদকের খুব কাছ থেকে ফিরেছিল ভারত। জিমন্যাস্টিক্সে ইতিহাস হতে পারত। চতুর্থ স্থানে শেষ করেছিলেন ভারতের জিমন্যাস্ট দীপা কর্মকার।
মাত্র ২ পদকের হতাশার মাঝে ইতিবাচক দিক ছিল মহিলা হকি। অলিম্পিকের ইতিহাসে তৃতীয় বার যোগ্যতা অর্জন করেছিল ভারতের মহিলা হকি দল। দীপ কর্মকার ছাড়াও আরও বেশ কিছু পদকের সামনে থেকে ফিরেছিল ভারত। তবে যাঁদের থেকে প্রত্যাশা ছিল, সেই তারকা অ্যাথলিটরা অবশ্য প্রত্যাশা পূরণে ব্যর্থ হয়েছিলেন। যেমন জোয়ালা গুট্টা, যোগেশ্বর দত্ত, সাইনা নেহাল, অশ্বিনী পোনাপ্পা, শরথ কমল। সবচেয়ে বেশি হতাশা ছিল শুটিংয়ে।