PV Sindhu: রুপো-ব্রোঞ্জে টিক চিহ্ন, প্যারিসে এ বার স্বর্ণ-সিন্ধু!
Paris Olympics 2024: মাত্র ৮ বছর বয়স থেকেই ব্যাডমিন্টনে হাতেখড়ি। ২০১২ সালে চিনা মাস্টার্স থেকে জাতীয় স্তরে পরিচিতি গড়ে তোলেন। লন্ডন অলিম্পিকে গোল্ড মেডেলিস্টকে হারিয়ে চমকে দিয়েছিলেন সিন্ধু। ২০১৩ সালে সারা বিশ্বকেই চমকে দিয়েছিলেন ১৮-র সিন্ধু। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিলেন। ব্রোঞ্জ পদকও আসে তাঁর ঝুলিতে। ইতিহাসের শুরু হয়।
মুহূর্তটা ঠিক কেমন হবে? নিঃসন্দেহে গর্বের। ভারতীয় ক্রীড়াক্ষেত্রে উজ্জ্বল মুখ ব্যাডমিন্টন তারকা পিভি সিন্ধু। প্রতিটি টুর্নামেন্টেই পাহাড় প্রমাণ চাপ নিয়ে নামতে হয়। তার কারণও রয়েছে। একের পর এক বড় টুর্নামেন্টে পদক জিতে নিজের যে মান সেট করেছেন, সেখানে সিন্ধুকে নিয়ে প্রত্যাশা থাকাটাই প্রত্যাশিত। অলিম্পিকের মঞ্চেও হতাশ করেননি। ভারতের হাতে গোনা অ্যাথলিট অলিম্পিকের মঞ্চে একাধিক পদক জিতেছেন। তাঁর একজন পিভি সিন্ধু। ২০১৬ সালে রিও অলিম্পিকে সোনার স্বপ্ন দেখেছিল দেশ। ফাইনালে বিশ্বের এক নম্বর ক্যারোলিনা মারিনের কাছে আটকে যান। সে বার রুপোতেই সন্তুষ্ট থাকতে হয়েছিল। টোকিওতে এসেছিল ব্রোঞ্জ। ফুল ফিট থাকলে হয়তো পদকের রং বদলাতে পারত। এ বার সেই স্বপ্নই সিন্ধুকে ঘিরে।
ভারতীয় ব্যাডমিন্টনের উজ্জ্বল মুখ সাইনা নেহাল। মেয়েদের ব্যাডমিন্টনে তাঁর পর সেই ব্যাটন বয়ে চলেছেন পিভি সিন্ধুই। গত এক দশক ধরে ভারতীয় ব্যাডমিন্টনের পোস্টার গার্ল পুশারেলা ভেঙ্কট সিন্ধু। সাইনার লেগ্যাসিকে এগিয়ে নিয়েছেন। নতুন প্রজন্মের কাছে প্রেরণাও হয়ে উঠেছেন সিন্ধু। এটা একদিনে হয়নি। অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। তবে অনেক প্রাপ্তির মাঝেও কোথাও যেন একটা আক্ষেপ। অলিম্পিকে একটা সোনার পদকের। তাঁর যতটা আক্ষেপ, অনেক বেশি ভারতীয় ক্রীড়াপ্রেমীদের। প্যারিসে সকলের প্রার্থনা যেন এটাই থাকবে, সিন্ধুর তৃতীয় অলিম্পিক পদক হোক সোনার।
মাত্র ৮ বছর বয়স থেকেই ব্যাডমিন্টনে হাতেখড়ি। ২০১২ সালে চিনা মাস্টার্স থেকে জাতীয় স্তরে পরিচিতি গড়ে তোলেন। লন্ডন অলিম্পিকে গোল্ড মেডেলিস্টকে হারিয়ে চমকে দিয়েছিলেন সিন্ধু। ২০১৩ সালে সারা বিশ্বকেই চমকে দিয়েছিলেন ১৮-র সিন্ধু। বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের সেমিফাইনালে জায়গা করে নিয়েছিলেন। ব্রোঞ্জ পদকও আসে তাঁর ঝুলিতে। ইতিহাসের শুরু হয়। মেয়েদের মধ্যে ভারতের প্রথম, সার্বিক ভাবে দ্বিতীয় পদকজয়ী হন। এরপর বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে আরও দুটো রুপো এবং একটি ব্রোঞ্জ এনেছেন। সেরা সাফল্য ২০১৯ সালে। প্রথম ভারতীয় হিসেবে বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সোনার পদক জেতেন।
দীর্ঘ অপেক্ষার পর বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপে সোনার পদক জিতেছিলেন। প্যারিসে অলিম্পিকের মঞ্চে সেই প্রত্যাশাও পূরণ হতে পারে। দেশের হয়ে ইতিহাস গড়ার সুযোগ রয়েছে। ২০১৬ সালে রুপো, ২০২০ তে ব্রোঞ্জ। সিন্ধু ছাড়া একমাত্র সুশীল কুমারই অলিম্পিকের মঞ্চে দুটি পদক জিতেছেন। তিন নম্বর পদক জিতে তাঁকে ছাপিয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে। আর সোনার পদক জিতলে দেশের প্রথম মহিলা ক্রীড়াবিদ হিসেবে অলিম্পিকে ব্যক্তিগত ইভেন্টে সোনার নজির গড়বেন সিন্ধু।