অমূল্য ‘রতন’। ক্রীড়াক্ষেত্রে টাটা গ্রুপের অবদান অতীত হোক বা বর্তমান, কোনও প্রশংসাই যথেষ্ট নয়। ক্রিকেটে যেমন অবদান রয়েছে, তেমনই অন্যান্য স্পোর্টসেও। রতন টাটার প্রয়াণে তাই দেশজুড়েই শোকের আবহ। শুধু আমজনতাই নয়, ক্রীড়াবিদরাও নানা বার্তা দিয়েছেন। এমনটাই প্রত্যাশিত। ভারতীয় ক্রীড়াক্ষেত্রে তাঁর এবং টাটা গ্রুপের উপস্থিতি, ইমপ্যাক্ট অনেক অনেক বেশি। শুধু প্রতিষ্ঠিত ক্রীড়াবিদই নন, উঠতি প্রতিভাদের তুলে আনা, স্পনসরশিপ, নানা ভাবে তাদের ভূমিকা অনস্বীকার্য।
শুরুর দিকের কথা বলা যাক। ১৯২০ সালের অলিম্পিক। ভারতের বেশ কিছু অ্যাথলিটকে অলিম্পিকে অংশগ্রহণের সুযোগ করে দিয়েছিল টাটা গ্রুপ। সে সময় ছিলেন স্যার দোরাবজি টাটা। মুখ বদলেছে তবে, টাটা গ্রুপের স্পোর্টস এবং ক্রীড়াবিদদের প্রতি দায়বদ্ধতা নয়। রতন টাটাও সেই একই পথে হেঁটেছিলেন। তাঁদের কাছে স্পোর্টস শুধুমাত্র অ্যাক্টিভিটি নয়, জীবনকে উপভোগ করার রসদ।
ভারতীয় ক্রীড়া পরিকাঠামোয় টাটা গ্রুপের নানা অবদান রয়েছে। ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগের টাইটেল স্পনশরশিপ তো অবশ্যই। সঙ্গে আরও নানা স্পোর্টস। একটা সময় টাটা ফুটবল অ্যাকাডেমি ভারতীয় ফুটবলের প্রধান সাপ্লাই লাইন ছিল। এখনও রয়েছে। ভারতীয় ফুটবলের অনেক তারকারই উঠে আসা এই অ্যাকাডেমি থেকেই। এর মধ্যে বাংলার ফুটবলাররাও রয়েছেন। ইন্ডিয়ান সুপার লিগে জামশেদপুর এফসি টাটারই টিম। রতন টাটার লিডারশিপেই ইন্ডিয়ান সুপার লিগে এন্ট্রি নিয়েছিল জামশেদপুর এফসি।
সাল ১৯৯১। জামশেদপুরে জেআরডি টাটা স্পোর্টস অ্যাকাডেমি গড়া হয়। সেখানে ১৯টি খেলার পরিকাঠামো রয়েছে। উঠতি প্রতিভাদের জন্য যা বড় ব্যাপার। ফুটবল, হকি, আর্চারি, বক্সিং, ক্যারাটে এবং অনেক তথাকথিত ‘কম’ জনপ্রিয় খেলার পরিকাঠামো রয়েছে সেখানে। টাটা ন্যাশনাল চেস টুর্নামেন্ট দাবার দুনিয়ায় উইম্বলডন হিসেবে মানা হয়। টাটা স্টিল ম্যারাথনের কথাও ভুললে চলবে না। টাটা আর্চারি অ্যাকাডেমির অন্যতম দুই সেরা প্রতিভা দীপিকা কুমারি এবং অতনু দাস। ভারতীয় ক্রীড়াক্ষেত্রে টাটার অবদান হয়তো যুগযুগ ধরেই থেকে যাবে। আগামীতেও উঠে আসবে নানা প্রতিভা।