
ডাকার: ২০২২ সালে কাতার বিশ্বকাপে কী ফিরে আসবে ২০ বছরের আগের স্মৃতি? সাদিও মানের সেনেগাল কি ফিরিয়ে আনতে পারবে সোনালি অতীত? ২০০২ সালের কোরিয়া-জাপান বিশ্বকাপে প্রথম বার খেলতে নামে আফ্রিকার দেশ সেনেগাল। প্রথম বিশ্বকাপেই চমক দিয়েছিল তারা। সে সময় বিশ্বচ্য়াম্পিয়ন ছিল ফ্রান্স। তাদেরকে হারিয়ে বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচেই চমক দিয়েছিল সেনেগাল। সেই বিশ্বকাপের কোয়াটার ফাইনালেও পৌঁছেছিল তাঁরা। এর পর ২০১৮ সালের বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করতে পেরেছিল সাদিও মানের দেশ। এ বছর কাতারেও দেখা যাবে তাদের। গ্রুপ পর্যায়ে সেনেগালকে খেলতে হবে আয়োজক দেশ কাতার ছাড়াও ইকুয়াডর ও নেদারল্যান্ডের সঙ্গে। সেনেগালের তারকা ফুটবলার সাদিও মানে ফিফাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন, এই বিশ্বকাপে তাদের পারফরম্যান্স ছাপিয়ে যাবে ২০০২ সালের বিশ্বকাপকেও।
ফিফার তরফে মানেকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, গ্রুপ পর্বের গণ্ডি পার করে সেনেগালের দ্বিতীয় পর্বে যাওয়ার সম্ভাবনা কতটা? এই প্রশ্নের জবাবে মানে বলেছেন, “আমরা বিপক্ষ সব দলকেই সম্মান করি। গ্রুপে আমাদের বিপক্ষেরা ফিফা ব়্যাঙ্কিংয়ে ভাল জায়গায় রয়েছে। তাদের দলও বেশ শক্তিশালী। যোগ্যতা অর্জনকারী ম্যাচে খুব ভাল খেলেছে ইকুয়াডর। কাতার খেলবে নিজেদের মাঠে। নেদারল্যান্ডও শক্তিশালী দল। কিন্তু আমরা তৈরি। আমাদের লক্ষ্য স্থির।”
এর পরই ২০০২ সালের সঙ্গে উঠে আসে তুলনা। ফিফার তরফে প্রশ্ন করা হয়েছিল- ২০০২ সালের তুলনায় ২০২২ সালের সেনেগান দল কোন ব্যাপারে শক্তিশালী। সেই প্রশ্নের জবাবে সাদিও মানে বলেছেন, “২০০২ সালের খেলোয়াড়রা আমাদের রোল মডেল। ওই দল সেনেগালকে বিশ্ব ফুটবলের মানচিত্রে জায়গা করে দিয়েছে। তাঁরা ইতিহাস তৈরি করেছিলেন। আমরা তাঁদের উত্তরসূরি। কাতারে যে ভাবে আমরা পৌঁছেছি। তাতে আমরা জানি আমরা কোন ব্যাপারে শক্তিশালী। আমরা জানি আমাদের পূর্বসূরিরা আমাদের থেকে কী আশা করে। এ বছরের শুরুতে আফ্রিকা কাপ অব নেশনসও জিতেছি আমরা।” তাঁর গোলেই মিশরকে হারিয়ে বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন করেছিল সেনেগাল। সাদিও মানের গোলেই জিতেছিল সেনেগাল। তাঁর গোলে দল বিশ্বকাপ খেলা নিশ্চিত হওয়ায় নিজের গর্ব গোপন করেননি মানে।