
কলকাতা: কবে সেরে উঠবে যুবভারতী? সেদিকেই নজর ফুটবলপ্রেমীদের। মেসিপর্বে সব ভন্ডুল হয়ে গিয়েছে দেশের অন্যতম প্রধান ফুটবল স্টেডিয়ামের। সিটের অনুমতি পেলেই গ্যালারি সংস্কারে নজর দেবে রাজ্যের পূর্ত দফতর। তদন্ত এগিয়ে চলুক তদন্তের স্বার্থে; কিন্তু ফুটবল মাঠ দ্রুত সারিয়ে তোলা হোক। আবেদন রাখছেন প্রাক্তন ফুটবলাররা।
ভাস্কর গঙ্গোপাধ্যায়: একজন ফুটবলপ্রেমী হিসেবে চাইব যত তাড়াতাড়ি সম্ভব মাঠ সংস্কারে নজর দেওয়া হোক। যদিও এখন আইএসএলের কয়েকটা ম্যাচ ছাড়া যুবভারতীতে সেরকম ম্যাচ হয়না। কারণ স্টেডিয়ামের ভাড়া অনেক। তদন্ত কমিটি তাদের মতো করে কাজ করুক। না জেনে ওই বিষয়ে কিছু বলতে পারব না। তবে ফুটবল খেলার মাঠ তাড়াতাড়ি সংস্কার করা হোক। আইএসএল বা আই লিগের ভবিষ্যৎ এখন আমরা কেউই জানিনা। তবে মাঠ সংস্কার করা এখন অত্যন্ত জরুরি।
মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য: খেলোয়াড়রা সবাই চায়, মাঠে বল ভাল মতো গড়াক। যাতে ফুটবলারদের বল পাস করতে বা রিসিভ করতে কোনও রকম অসুবিধা না হয়। যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন রাজ্য সরকারের অধীনে। আমার বিশ্বাস, পুরো বিষয়টাতেই নজর দেওয়া হচ্ছে। ভারতের অন্যতম সেরা স্টেডিয়াম। অনূর্ধ্ব-১৭ ফুটবল বিশ্বকাপসহ বহু আন্তর্জাতিক ম্যাচ এখানে হয়েছে। আমার আশা, রাজ্য সরকার নিশ্চয়ই দ্রুত ব্যবস্থা নেবে মাঠ সংস্কারে।
সুব্রত ভট্টাচার্য: তদন্তের গতিপ্রকৃতিতে যেন মাঠের খেলাধূলার কোনও সমস্যা না হয়। তদন্ত তার মতো করে এগিয়ে চলুক। গ্যালারি ভাঙচুরের ঘটনা নিন্দনীয়। যুবভারতীর পরিবেশ আবার আগের মতো ফিরে আসুক। আমরা মাঠে ফুটবল দেখতে চাই।
বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য: যুবভারতী দেশের অন্যতম সেরা ফুটবল স্টেডিয়াম। মেসিকে দেখতে গিয়ে যারা স্টেডিয়াম ভাঙচুর করেছে তারা প্রকৃত ফুটবলপ্রেমী নয়। আইএসএল কবে থেকে শুরু হবে সেদিকে নজর রয়েছে। লিগ শুরু হলে যেন যুবভারতী বঞ্চিত না হয়। আমাদের রাজ্য সরকারের অবশ্য সেই দূরদর্শিতা রয়েছে। নিশ্চয়ই গ্যালারি সংস্কারে নজর দিয়েছে। আশা করি, যুবভারতী দ্রুত আবার আগের রূপ ফিরে পাবে।
মেসির ভারত সফরে তিক্ত অভিজ্ঞতার সাক্ষী থেকেছে এ শহর। শহরের ঐতিহ্যশালী স্টেডিয়াম দ্রুত সেরে উঠুক। পুরোদমে বল গড়াক সাধের যুবভারতীতে। আশা প্রাক্তনীদের।