‘নেই’এর দুনিয়ায় আমাল যেন জেদের প্রতীক
নয়াদিল্লির শুটিং বিশ্বকাপে (Shooting World Cup) এমন চরম দৈন্যের কাহিনি ইয়েমেনের মেয়ে আমাল মুধসের (Amal Mudhsh)।
নয়াদিল্লি: ইভেন্ট তাঁর ১০ মিটার এয়ার রাইফেল (10m air rifle) ঠিকই, কিন্তু রাইফেল নামক বস্তুটা তাঁর নেই। ভারতে (India) পা দেওয়ার আগে যে কারণে ‘চেয়ে-চিন্তে’ জোগাড় করতে হয়েছে রাইফেল। তা দিয়েছে গগন নারাংয়ের অ্যাকাডেমি গান ফর গ্লোরি। আর শুটিংয়ের পোশাক? তাও এনেছেন কাতার শুটিং অ্যাসোসিয়েশন থেকে ‘ধার’ করে। শুধু তাই নয়, ভারতে আসতে পেরেছেন ইয়েমেন অলিম্পিক সংস্থা পথখরচ দেওয়ায়।
নয়াদিল্লির শুটিং বিশ্বকাপে (Shooting World Cup) এমন চরম দৈন্যের কাহিনি ইয়েমেনের মেয়ে আমাল মুধসের (Amal Mudhsh)। এত নেই-এর মধ্যে বোধহয় শুধু ইচ্ছেটাই ছিল তাঁর। তাই এই করোনা উপেক্ষা করেও দিল্লি পর্যন্ত ছুটে এসেছেন তিনি। না, মেয়েদের ১০ মিটার এয়ার রাইফেলের মূলপর্বে উঠতে পারেননি তিনি। কিন্তু তাঁর এই লড়াইটাই যেন শুটিং বিশ্বকাপে ‘সোনার পদক’ জিতেছে ।
ইয়েমেনের মেয়ে আমাল বলেছেন, ‘এটা আমার প্রথম বিশ্ব মিট। ইয়েমেন অলিম্পিক সংস্থা যদি পাশে না দাঁড়াত, তা হলে ভারতে আসাই হত না আমার। ভারতীয় শুটিং সংস্থার জন্যই আমি ঠিকঠাক প্রস্তুতি নিতে পেরেছি। ওরাই আমাকে রাইফেল দিয়েছিল। আর কাতার শুটিং সংস্থা ড্রেস দিয়েছিল।’
আরও পড়ুন: মিক্সড ডাবলসে অলিম্পিক টিকিট শরথ-মণিকার
সমাজ বিজ্ঞানের ছাত্রী আমাল। পিএইচডি করার স্বপ্নও রয়েছে তাঁর। ৩৫ বছরের আমাল দুই সন্তানের মা-ও। বলেছেন, ‘শুটিংয়ে প্রতি ভালবাসাই আমাকে টেনেছিল। কিন্তু ইয়েমেনের যুদ্ধ পরিস্থিতির জন্য নিয়মিত ট্রেনিং করাটাই মুশকিল। তার ওপর আমার আর্থিক অবস্থাও ভাল নয়। যে কারণে শুটিংয়ের সরঞ্জাম কেনা সম্ভব হয়নি। যদি কেউ আমাকে একটা বন্দুক দেন, আমি শুটিংয়ে ঠিক নিজের স্বপ্নপূরণ করতে পারব।’ শুধু ‘নেই’য়ের গল্পের মধ্যেও যে অনেক কিছু পাওয়া যেতে পারে, আমালের মতো মেয়েরাই বোধহয় তার উদাহরণ!