
শিলিগুড়ি: শুধু ছেলেরা নয়, মেয়েরাও পারে! তাই যেন শান্ত অথচ শানিত ভঙ্গিতে বুঝিয়ে দিতে চাইছে হরমনপ্রীত কৌররা। আর একটা রাত। তারপরেই রণাঙ্গণে ভারতের মেয়েরা। রবিবাসরীয় ওডিআই বিশ্বকাপ ফাইনালের জন্য মুখিয়ে ভারতীয় ক্রিকেটপ্রেমীরাও। চ্যাম্পিয়ন হওয়ার শেষ লড়াইয়ে মুখোমুখি ভারত-দক্ষিণ আফ্রিকা। এই ম্যাচে বাংলার ক্রিকেটপ্রেমীদের বাড়তি নজর থাকছে শিলিগুড়ির মেয়ে রিচা ঘোষের দিকে। শুরু থেকেই দুর্দান্ত খেলে গোটা দেশের নজর কেড়েছে বছর বাইশের মেয়েটা। গ্রুপ পর্বের লড়াইয়ে এই দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে হেরেছিল ভারত। তবে সেখানেও উজ্জ্বল নক্ষত্রের জ্বলে উঠেছিল রিচা। ব্যাটে এসেছিল ৯৪ রানের বিরাট ইনিংস। এই রিচাকে নিয়েই এখন আশায় বুক বাঁধছে শিলিগুড়ির বাসিন্দারা। বিশ্বকাপ ফাইনাল বিগ স্ক্রিনে দেখানোর পরিকল্পনা করে ফেলেছে শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদ।
২০১৩-১৪ সাল নাগাদ রিচা খেলতেন বাঘাযতীন ক্লাবের হয়ে। সে সময়ে কোচ ছিলেন বরুণ বন্দ্যোপাধ্যায়। রিচার সাফল্যে উচ্ছ্বসিত তিনিও। তিনি বলছেন রিচা যে লম্বা দৌড়ের ঘোড়া তা টের পেয়েছিলেন অনেক আগেই। একরাশ প্রত্যাশার সঙ্গে বলেন, “ওকে কোচিং করানোর সময়েই বুঝেছিলাম অনেক দূর যাবে। নিজের মধ্যে আলাদা আত্মবিশ্বাস ছিল ওর। বডি ল্যাঙ্গুয়েজেই ও নিজেকে ক্রিকেটার হিসেবে জানান দিত।”
একই সুর রিচার পুরনো সতীর্থদের গলাতেও। রিচার সঙ্গে দীর্ঘদিন একসঙ্গে ক্রিকেট খেলেছেন কলকাতার ক্লাব লাখ গে-র পরিচিত মুখ অঙ্কিতা মোহন্ত। রিচার আত্মপ্রত্যয় নিয়ে তিনিও বলছেন শঙ্কার কোনও জায়গাই নেই। অঙ্কিতার দাবি, “রিচা প্লেয়ার হিসেবে ঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে এগোয়। আমাদের সময়ই সুপরামর্শ দিত। আজ ও দেশের হয়ে খেলছে। রাত পোহালেই ওর খেলা। ও কেন পারফর্ম করে তা দেখার জন্য মুখিয়ে রয়েছি।” অন্যদিকে বড়সড় তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে মহকুমা ক্রিড়া পরিষদ। সেখানকার ক্রিকেট সচিব ভাস্কর দত্ত মজুমদার বলছেন, “আমাদের শহরের মেয়ে বলে কথা! কাল আমরাবিগ স্ক্রিনে খেলা দেখাব। শহরে একাধিক জায়গায় ফ্লেক্স লাগানো হচ্ছে।”