Leena Rafaq: চোখের ছানি শনাক্তকারী অ্যাপ তৈরি করে চমকে দিল 11 বছরের লীনা

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়ন্তন মুখোপাধ্যায়

Mar 30, 2023 | 1:33 AM

Eye Disease Detecting App: লীনা এই অ্যাপের নাম দিয়েছে 'Ogler EyeScan'। তার বয়স যখন 10 বছর ছিল, তখন থেকেই এই অ্যাপ তৈরির কাজে হাত লাগিয়েছিল সে। LinkedIn-এ লীনা একটি ভিডিয়ো শেয়ার করে 11 বছরের ছোট্ট মেয়েটি দেখিয়েছে, কীভাবে তার অ্যাপটি জাদুকরি দেখাবে।

Leena Rafaq: চোখের ছানি শনাক্তকারী অ্যাপ তৈরি করে চমকে দিল 11 বছরের লীনা
11 বছরের লীনা রাফাক।

Follow Us

AI App To Detect Eye Disease: মাত্র 11 বছর বয়স তার। এই বয়সেই কেরালার লীনা রাফাক বানিয়ে ফেলেছে একটি AI ভিত্তিক অ্যাপ, যা দিয়ে চোখের ছানি শনাক্ত করা যাবে। iPhone ব্যবহার করে অনন্য উপায়ে স্ক্যান করে চোখের বিভিন্ন রোগ নির্ণায়কের ভূমিকা নেবে অ্যাপটি। লীনা এই অ্যাপের নাম দিয়েছে ‘Ogler EyeScan’। তার বয়স যখন 10 বছর ছিল, তখন থেকেই এই অ্যাপ তৈরির কাজে হাত লাগিয়েছিল সে। LinkedIn-এ লীনা একটি ভিডিয়ো শেয়ার করে 11 বছরের ছোট্ট মেয়েটি দেখিয়েছে, কীভাবে তার অ্যাপটি জাদুকরি দেখাবে। ভিডিয়োতে সে বলছে, অ্যাডভান্সড কম্পিউটার ও মেশিন লার্নিং ব্যবহার করে অ্যাপ্লিকেশনটি। অ্যাপের একটি স্ক্যানার ফ্রেম রয়েছে। সেখানে চোখ রাখলেই তিনি বুঝতে পারবেন দৃষ্টিশক্তি আগের থেকে কমেছে কি না বা কোনও রং সঠিক ভাবে যাচাই করার মতো গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলি।

লীনা জানিয়েছে, তার ‘Ogler’ নামক অ্যাপটি আর্কাস, মেলানোমা, টেরিজিয়াম এবং ক্যাটার‌্যাক্টস বা ছানি শনাক্ত করতে পারে। অ্যাপটি আপাতত Apple তার অ্যাপ স্টোরে রিভিউ করছে। ওগলার যে শীঘ্রই সাধারণ মানুষের ব্যবহারযোগ্য হয়ে উঠবে, সে বিষয়ে যথেষ্ট আশাবাদী ছোট্ট মেয়েটি। তবে এই অ্যাপ ব্যবহার করতে গেলে iPhone 10 বা তার পরবর্তী আইফোন মডেলগুলি থাকতে হবে ব্যবহারকারীর কাছে, যেগুলি iOS 16+ সাপোর্ট করে।

আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আমাদের জীবনকে কীভাবে প্রভাবিত করছে, তা আমরা প্রায় সবাই জানি। সবকিছুর মতোই AI-এরও কিছু ভাল এবং খারাপ দিক আছে। বিশেষজ্ঞদের দাবি, আগামী এক দশকে এর প্রভাব আরও বাড়বে। লীনা তার পোস্টে যোগ করেছে, এই অ্যাপের স্ক্যানার ফ্রেমে যদি ঠিক করে চোখটাকে রাখা হয়, তাহলে তা লাইট বার্স্ট সংক্রান্ত সমস্যাগুলিও শনাক্ত করতে পারে।


তার কথায়, “কোনও থার্ড পার্টি লাইব্রেরি বা প্যাকেজের সাহায্য ছাড়া শুধু মাত্র SwiftUI-এর সাহায্য নিয়ে তৈরি করা হয়েছে। অ্যাপটিকে বাস্তব রূপ দিতে রিসার্চ ও ডেভেলপমেন্টের জন্য আমি ছয় মাস সময় নিয়েছিলাম। চোখের বিভিন্ন অবস্থা, কম্পিউটারের দৃষ্টি, অ্যালগরিদম, মেশিন লার্নিং মডেল এবং সেন্সর ডেটা, AR, CreateML, CoreML-এর মতো অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় এবং Apple iOS ডেভেলপমেন্টের উন্নত স্তর সম্পর্কে অনেক কিছু শিখেছি।”

লিঙ্কডইনে অনেকেই লীনাকে তার উদ্ভাবনের প্রশংসা করেছেন। ভিডিয়োটি দেখে অনেকে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন এবং এত অল্প বয়সে তার কৃতিত্বের জন্য অভিনন্দনও জানিয়েছেন। একজন ব্যবহারকারী বলেছেন, “আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স ব্যবহার করে কীভাবে আমরা চোখের খেয়াল রাখতে পারি, তার দুর্দান্ত উদাহরণ।” আর একজন যোগ করেছেন, “তোমার বিরাট অভিনন্দন প্রাপ্য লীনা। মাত্র 10 বছর বয়সে এই বিরাট কাজ এক কথায় ভাবাই যায় না।”

Next Article