এখন সর্বত্রই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার অবাধ যাতায়াত। যত দিন যাচ্ছে বিজ্ঞানের অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে বাড়ছে এআই বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের উপর নির্ভরশীলতাও। শিক্ষাক্ষেত্র, বিচারবিভাগ, চিকিৎসা শাস্ত্রের পর এবার কৃষি ব্যবস্থাকে আরও উন্নত করে তুলতে ভরসা সেই এআই।
কলকাতা-লন্ডন ভিত্তিক একটি বেসরকারি সংস্থা কৃষকদের সুবিধার্থে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স প্রযুক্তিকে ব্যবহার করে কৃষি প্রযুক্তিতে এনেছে যুগান্তকারী পরিবর্তন। যা কৃষিকাজকে আরও উন্নত ও সহজ করে তুলবে বলেই আশা।
উন্নত পরিষেবা দিতে এবং ফসল সরবরাহের হার বাড়াতেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। এমনকি কৃষিকাজের সমস্যাগুলি দ্রুত সমাধানে সাহায্য করবে এই নতুন প্রযুক্তি। সঠিক সময়ে মাটির পর্যবেক্ষণ করে তার বিশ্লেষণ করে, শস্য পর্যবেক্ষণ করে, ফলন কেমন হবে তা আগাম বলে দিতে পারবে এই স্বয়ংক্রিয় অত্যাধুনিক প্রযুক্তি।
শুধু ফসল উৎপাদনের জন্যই নয়, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে খামারের উৎপাদনশীলতা এবং স্থায়িত্ব বৃদ্ধির দিকেও নজর দেওয়া হবে। এমনকি সাপ্লাই চেন ম্যানেজমেন্ট, লাইভস্টক ও স্মার্ট কোল্ড স্টোরেজ সংক্রান্ত সমস্যার সমাধানেও সুবিধে হবে। সমগ্র পদ্ধতিতে স্বচ্ছতা আনতেও সাহায্য করবে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। আবার সামগ্রিক কর্মক্ষমতা বাড়াতে ও কৃষি ব্যবসাকে শক্তিশালী করে তুলতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা গ্রহণ করবে প্রযুক্তি।
এই প্রযুক্তি প্রস্তুতকারি বেসরকারি সংস্থার প্রতিষ্ঠাতা এবং সিইও, সায়ন্তন সাহা এই বিষয়ে জানান, তাঁর স্বপ্ন ভারতের কৃষিক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ বিশ্বেরমানের করে তোলা। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে ভারতীয় কৃষকদের অত্যাধিক ফসল উৎপাদন ও স্বনির্ভর করে তোলার জন্যই এই উদ্যোগ ‘দেশকাকৃষিএআই’। এই বছরের দুর্গাপুজোতেই এই প্রযুক্তি ব্যবহারের লক্ষ্যেই ব্রতী সংস্থা।
এমনকি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রয়োগ করে কৃষিক্ষেত্রে আর্থিক সমস্যার সমাধানেও সচেষ্ট। সেই উদ্দেশ্যেই বার্কলেস ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গে ভারত এবং যুক্তরাজ্যের শীর্ষস্থানীয় ব্যাঙ্কগুলির সঙ্গেও আলোচনা করছে বেসরকারি সংস্থাটি। ভবিষ্যতে কৃষিক্ষেত্রে এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রয়োগ এক নব দিগন্ত খুলে দেবে বলেই দাবি বেসরকারি সংস্থাটির।