Petrol Powered Flying Car AirCar: বিশ্বের প্রথম পেট্রল চালিত উড়ন্ত গাড়ি যে ভাবে আপনার শহরটাকে বদলে দিতে পারে

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়ন্তন মুখোপাধ্যায়

Jan 31, 2022 | 6:57 PM

গাড়িটি তৈরি করেছে ক্লেইন ভিসন। আর সেই গাড়ি নিয়েই বিভিন্ন মহলে রীতিমতো হইহই রব উঠেছে। গাড়িটিকে বলা হচ্ছে এয়ারকার। জানজটের শহরে এয়ারকার কী ভাবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে, দেখে নিন।

Follow Us

বিশ্বের প্রথম পেট্রল দ্বারা চালিত উড়ন্ত গাড়িটি (Petrol Powered Flying Car) প্রকাশ্যে এসেছে। গাড়িটি তৈরি করেছে ক্লেইন ভিসন (Klein Vision)। আর সেই গাড়ি নিয়েই বিভিন্ন মহলে রীতিমতো হইহই রব উঠেছে। গাড়িটিকে বলা হচ্ছে এয়ারকার (AirCar)। মানুষ ফ্লাইটে চড়তে এখন একপ্রকার অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে। কিন্তু একটা উড়ন্ত গাড়িতে চড়ার এবং সেটি নিজের করে নেওয়ার তাঁর শখ বহু দিনের। ক্লেইন ভিসন প্রথম সংস্থা হিসেবে একটি উড়ন্ত গাড়ি নিয়ে এসেছে যা পেট্রল দ্বারা চালিত। পাশাপাশি আরও একাধিক সংস্থা ভবিষ্য়ৎ প্রজন্মের উড়ন্ত গাড়ি নিয়ে কাজ করছে। সম্প্রতি এয়ারকার উড়ন্ত গাড়িটি আকাশে ওড়ার জন্য কতটা যোগ্য, তার প্রমাণ দিতে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। কতটা ক্ষমতাশালী এই উড়ন্ত গাড়ি, কী কী তাক লাগানো ফিচার্স রয়েছে, সেই সব তথ্য জেনে নেওয়া যাক।

ক্লেইন ভিশনের এই উড়ন্ত গাড়িটি তার প্রতিযোগীদের থেকে বাস্তবসম্মত উপায়ে অনেকটাই এগিয়ে। গত বছর জুনেই স্লোভাকিয়ান শহর থেকে নিতারা (ব্রাতিসলাভার রাজধানী) পর্যন্ত ৬০ মাইলের জার্নি সফলভাবে অতিক্রম করেছিল এবং সমগ্র জার্নিটাই সে উড়ে গিয়েছিল। এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করার পরক্ষণেই গাড়িটি সুইচ মোড অন করে চাকার সাহায্যেই শহরে রাস্তায় চলেছিল। নিরাপত্তা এবং পারফর্ম্যান্সের নিরিখে অনেকগুলি টেস্টিংয়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয় উড়ন্ত গাড়িকে, যার সবগুলিই সফল ভাবে করতে সক্ষম হয়েছে এয়ারকার।

একটি রিপোর্ট থেকে সম্প্রতি জানা গিয়েছে যে, কেবল মাত্র স্লোভাকিয়া অথারিটিই এর মধ্যে ৭০ ঘণ্টার ফ্লাইট টেস্ট করে দেখেছে এই গাড়িটির। তারপরই ইউরোপিয়ান অ্যাভিয়েশন সেফটি এজেন্সি এটিকে ছাড়পত্র দেয় এবং স্লোভাকিয়ার সরকারও এটিকে কমার্শিয়ালি ব্যবহারের অনুমতি দেয়। অর্থাৎ গাড়িটি বিক্রি হওয়ার জন্য তৈরি হয়ে গিয়েছে।

এয়ারকার যখন রাস্তায়।

সাধারণ মানুষ এয়ারকার ব্যবহার করতে পারবেন?

ক্লেইন ভিসন-এর এই এয়ারকার উড়ন্ত গাড়িটি এমনই একটি গাড়ি, যার কার্যকারিতা রয়েছে বৃহত্তর জনগণের পরিষেবার জন্য এবং শুধুমাত্র অতি ধনী এবং বিখ্যাতদের জন্যই একটি বিকল্প হিসেবে মনে করলে চলবে না বলে সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে। এয়ারকারের ডুয়াল মোবিলিটি ক্যারেক্টার সাহায্য করতে পারে যে কোনও শহরের বড় রাস্তায় যখন খুবই ভিড়ভাট্টা থাকবে, তখন খুব সহজেই তা এড়াতে সাহায্য করবে চালককে। পাশাপাশি জরুরি ভিত্তিতেও ব্যাপক ভাবে সহায়ক হতে পারে এয়ারকার। এমন সমালোচকও আছেন যাঁরা বায়ুপথে জানজটের সম্ভাবনা এবং কী ভাবে এয়ার লেনের গতিবিধি সংজ্ঞায়িত করতে হবে তার নির্ধারণে তর্ক করছেন,তখন অন্যরা বলছেন যে উড়ন্ত গাড়িগুলি হেলিকপ্টারের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। তার ফলে যে সুবিধা হতে পারে তা হল, হেলিকপ্টার রাস্তাঘাটে চলতে পারে না। কিন্তু এই উড়ন্ত গাড়ি কাউকে দূরবর্তী স্থান আকাশপথে থেকে উড়িয়ে নিয়ে এসে আবার রাস্তা দিয়ে যাতায়াতেরও সুবিধা করে দেবে।

এয়ারকার ফিচার্স

ক্লেইন ভিসন-এর এই উড়ন্ত গাড়ি এয়ারকারের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১৭০ কিলোমিটার। এই ফ্লাইং কার ১০০০ কিলোমিটার এরিয়াল ডিসট্যান্স কভার করতে পারে ৮,২০০ ফুট উচ্চতায়। সংস্থার তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, এই এয়ারকার কিছু ইন-এয়ার ম্য়ানুভারেও সক্ষম। এই উড়ন্ত গাড়িটির পাওয়ারের দিকটি নিশ্চিত করছে একটি ১৪০ এইচপি ১.৬ লিটারের চারটি সিলিন্ডারের বিএমডব্লু ইঞ্জিন। ফিক্সড প্রপেলার রয়েছে এবং সেই সঙ্গেই দেওয়া হয়েছে ব্যালিস্টিক প্যারাশ্যুটও।

বিশ্বের প্রথম পেট্রল দ্বারা চালিত উড়ন্ত গাড়িটি (Petrol Powered Flying Car) প্রকাশ্যে এসেছে। গাড়িটি তৈরি করেছে ক্লেইন ভিসন (Klein Vision)। আর সেই গাড়ি নিয়েই বিভিন্ন মহলে রীতিমতো হইহই রব উঠেছে। গাড়িটিকে বলা হচ্ছে এয়ারকার (AirCar)। মানুষ ফ্লাইটে চড়তে এখন একপ্রকার অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে। কিন্তু একটা উড়ন্ত গাড়িতে চড়ার এবং সেটি নিজের করে নেওয়ার তাঁর শখ বহু দিনের। ক্লেইন ভিসন প্রথম সংস্থা হিসেবে একটি উড়ন্ত গাড়ি নিয়ে এসেছে যা পেট্রল দ্বারা চালিত। পাশাপাশি আরও একাধিক সংস্থা ভবিষ্য়ৎ প্রজন্মের উড়ন্ত গাড়ি নিয়ে কাজ করছে। সম্প্রতি এয়ারকার উড়ন্ত গাড়িটি আকাশে ওড়ার জন্য কতটা যোগ্য, তার প্রমাণ দিতে ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের একটি গুরুত্বপূর্ণ পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েছে। কতটা ক্ষমতাশালী এই উড়ন্ত গাড়ি, কী কী তাক লাগানো ফিচার্স রয়েছে, সেই সব তথ্য জেনে নেওয়া যাক।

ক্লেইন ভিশনের এই উড়ন্ত গাড়িটি তার প্রতিযোগীদের থেকে বাস্তবসম্মত উপায়ে অনেকটাই এগিয়ে। গত বছর জুনেই স্লোভাকিয়ান শহর থেকে নিতারা (ব্রাতিসলাভার রাজধানী) পর্যন্ত ৬০ মাইলের জার্নি সফলভাবে অতিক্রম করেছিল এবং সমগ্র জার্নিটাই সে উড়ে গিয়েছিল। এয়ারপোর্টে ল্যান্ড করার পরক্ষণেই গাড়িটি সুইচ মোড অন করে চাকার সাহায্যেই শহরে রাস্তায় চলেছিল। নিরাপত্তা এবং পারফর্ম্যান্সের নিরিখে অনেকগুলি টেস্টিংয়ের মধ্যে দিয়ে যেতে হয় উড়ন্ত গাড়িকে, যার সবগুলিই সফল ভাবে করতে সক্ষম হয়েছে এয়ারকার।

একটি রিপোর্ট থেকে সম্প্রতি জানা গিয়েছে যে, কেবল মাত্র স্লোভাকিয়া অথারিটিই এর মধ্যে ৭০ ঘণ্টার ফ্লাইট টেস্ট করে দেখেছে এই গাড়িটির। তারপরই ইউরোপিয়ান অ্যাভিয়েশন সেফটি এজেন্সি এটিকে ছাড়পত্র দেয় এবং স্লোভাকিয়ার সরকারও এটিকে কমার্শিয়ালি ব্যবহারের অনুমতি দেয়। অর্থাৎ গাড়িটি বিক্রি হওয়ার জন্য তৈরি হয়ে গিয়েছে।

এয়ারকার যখন রাস্তায়।

সাধারণ মানুষ এয়ারকার ব্যবহার করতে পারবেন?

ক্লেইন ভিসন-এর এই এয়ারকার উড়ন্ত গাড়িটি এমনই একটি গাড়ি, যার কার্যকারিতা রয়েছে বৃহত্তর জনগণের পরিষেবার জন্য এবং শুধুমাত্র অতি ধনী এবং বিখ্যাতদের জন্যই একটি বিকল্প হিসেবে মনে করলে চলবে না বলে সংস্থার তরফ থেকে জানানো হয়েছে। এয়ারকারের ডুয়াল মোবিলিটি ক্যারেক্টার সাহায্য করতে পারে যে কোনও শহরের বড় রাস্তায় যখন খুবই ভিড়ভাট্টা থাকবে, তখন খুব সহজেই তা এড়াতে সাহায্য করবে চালককে। পাশাপাশি জরুরি ভিত্তিতেও ব্যাপক ভাবে সহায়ক হতে পারে এয়ারকার। এমন সমালোচকও আছেন যাঁরা বায়ুপথে জানজটের সম্ভাবনা এবং কী ভাবে এয়ার লেনের গতিবিধি সংজ্ঞায়িত করতে হবে তার নির্ধারণে তর্ক করছেন,তখন অন্যরা বলছেন যে উড়ন্ত গাড়িগুলি হেলিকপ্টারের বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা যেতে পারে। তার ফলে যে সুবিধা হতে পারে তা হল, হেলিকপ্টার রাস্তাঘাটে চলতে পারে না। কিন্তু এই উড়ন্ত গাড়ি কাউকে দূরবর্তী স্থান আকাশপথে থেকে উড়িয়ে নিয়ে এসে আবার রাস্তা দিয়ে যাতায়াতেরও সুবিধা করে দেবে।

এয়ারকার ফিচার্স

ক্লেইন ভিসন-এর এই উড়ন্ত গাড়ি এয়ারকারের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় ১৭০ কিলোমিটার। এই ফ্লাইং কার ১০০০ কিলোমিটার এরিয়াল ডিসট্যান্স কভার করতে পারে ৮,২০০ ফুট উচ্চতায়। সংস্থার তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে যে, এই এয়ারকার কিছু ইন-এয়ার ম্য়ানুভারেও সক্ষম। এই উড়ন্ত গাড়িটির পাওয়ারের দিকটি নিশ্চিত করছে একটি ১৪০ এইচপি ১.৬ লিটারের চারটি সিলিন্ডারের বিএমডব্লু ইঞ্জিন। ফিক্সড প্রপেলার রয়েছে এবং সেই সঙ্গেই দেওয়া হয়েছে ব্যালিস্টিক প্যারাশ্যুটও।

Next Article