Maruti Suzuki, ভারতের গাড়ির মার্কেটে এখনও পর্যন্ত সবথেকে বেশি পরিমাণে গাড়ি বিক্রি করে এই কোম্পানি। কিছুদিন আগে পর্যন্ত Tata Nexon বা Hyundai Creta-কে টক্কর দেওয়ার মতো তেমন কোনও গাড়ি তাদের কাছে ছিল না। কিন্তু, Grand Vitara লঞ্চ হওয়ার পর মারুতি সুজুকি গাড়ি-ভক্তদের সেই আক্ষেপ অনেকটা মিটে গিয়েছিল। আর এবার Maruti Suzuki নিয়ে এল এসইউভি সেগমেন্টে তাদের নতুন গাড়ি ‘Fronx’। এই গাড়ি দৈর্ঘ্যে ৪ মিটারের তুলনায় কম ফলে ৪ মিটারের কম দৈর্ঘ্যের এসইউভি সেগমেন্টে থাকা Tata Nexon বা Hyundai Creta-কে সরাসরি প্রতিদ্বন্দিতায় ফেলবে এই গাড়ি।
Maruti Suzuki Fronx আসলে ব্যালেনোরই একটি নতুন ভার্সন। কিছুদিন আগে পর্যন্ত এই ভার্সনটিকে ব্যালেনো ক্রস বলা হচ্ছিল। তবে তা জনসমক্ষে আসতেই জানা গেল নতুন নাম। ব্যালেনোর থেকে বেশ কিছুটা বড় ও নতুন কিছু ফিচার সমৃদ্ধ এই গাড়ি হল এই নতুন ‘Fronx’। এক্কেবারে নতুন ইঞ্জিন অপশন রয়েছে গাড়িটিতে।
এই গাড়িটি ব্যালেনোর নতুন ভার্সন হলেও তার সামনের অংশ অনেকটা গ্র্যান্ড ভিটারার মতো দেখতে। রয়েছে ব্যালেনোর মতো ডিআরএল ও ইন্ডিকেটর। গাড়ির সামনে সুজ়ুকির লোগোর নীচেই রয়েছে 360 ডিগ্রি ক্যামেরা। যদিও এই ক্যামেরা ভিটারা ব্রিজ়া ও ব্যালেনোতেও পাওয়া যেত। গাড়িটিতে রয়েছে 16 ইঞ্চির অ্যালয় হুইল। এই অ্যালয়ের ডিজাইনও আগের থেকে সামান্য বদলানো হয়েছে। গাড়িটিতে রয়েছে 195/60 R16 (195/60 R16) মাপের টায়ার।
সুজ়ুকির স্মার্ট হাইব্রিড প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়েছে এই গাড়িতে। পিছনে রয়েছে একে অপরের সঙ্গে যুক্ত টেইল লাইট। ব্যালেনোর মতোই 1.2 লিটারের ইঞ্জিনের সঙ্গে 1 লিটারের বুস্টার জেট ইঞ্জিন জুড়ে দেওয়া হয়েছে। এই বুস্টার জেট ইঞ্জিন আগে মারুতির গাড়িতে পাওয়া গেলেও পরবর্তীতে তা বন্ধ করে দেওয়া হয়। দুই ধরনের ইঞ্জিনই অটোমেটিক ও হাইব্রিড সিস্টেমের সঙ্গে পাওয়া যাবে। হাইব্রিড সিস্টেম থাকায় এই গাড়ি বেশ কিছুটা জ্বালানি সাশ্রয়ী হবে বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞমহল। এই গাড়ির আর একটি আকর্ষণীয় দিক হল,আগের তুলনায় এর ইঞ্জিন অনেক কম আওয়াজ করবে।
গাড়ির ভিতরে রয়েছে একটি বড় টাচস্ক্রিন। রয়েছে মোবাইলে ওয়্যারলেস চার্জ দেওয়ার সুবিধাও। ওয়্যারলেস অ্যাপেল কার প্লে ও অ্যান্ড্রয়েড অটো সাপোর্ট করবে এই Maruti Suzuki Fronx গাড়িটি। যদিও সানরুফ নেই। গাড়ির পিছনের সিটে টাইপ এ ও টাইপ সি চার্জিং পোর্টও দেওয়া হয়েছে। পিছনের সিটে আর্মরেস্ট না থাকলেও 3 জন প্যাসেঞ্জারের জন্য হেডরেস্ট দেওয়া হয়েছে। রয়েছে 3টি সিটবেল্টও। গাড়িটিতে যথেষ্ট পরিমাণে বুট স্পেস রয়েছে। দেওয়া হয়েছে 16 ইঞ্চির স্পেয়ার হুইলও। যদিও এটি অ্যালয় হুইল নয়।
গাড়িটি কিন্ত এখনও পর্যন্ত লঞ্চ হয়নি। খালি তার পর্দা উন্মোচিত হয়েছে। তার সুবাদেই Maruti Suzuki Fronx-এর লুক ও ফিচার সংক্রান্ত একাধিক তথ্য প্রকাশ্য এসেছে। যদিও গাড়িটির দাম কত হতে পারে, সে বিষয়ে সংস্থার তরফ থেকে কিছু জানানো হয়নি। মনে করা হচ্ছে, ‘Fronx’-এর দাম ব্যালেনোর থেকে মোটামুটি 50 হাজার টাকা বেশি হতে পারে। তা-ই যদি হয়, তাহলে এই গাড়ির দাম 7 লাখ টাকা থেকে 10.50 লাখ টাকার মধ্যে হতে পারে। আর এই প্রাইস ক্যাটেগরি থাকলে মারুতি-র নতুন বাজি জোর টক্কর দেবে ক্রেটা এবং নেক্সনের মতো গাড়িগুলিকে।