Inflatable Scooter Poimo: ব্যাগেই ধরে যাবে ছোট্ট এই ইলেকট্রিক স্কুটার, নিয়ে যেতে পারবেন যেখানে খুশি…
Portable And Inflatable Mobility Scooter: নতুন এক স্কুটার জাপানের মার্কেটে রীতিমতো ঝড় তুলছে, যা আপনার ব্যাগেই বহন করতে পারেন। সেই পোইমো ই-স্কুটার সম্পর্কে যাবতীয় তথ্য জেনে নিন।
মেট্রো বা বাস থেকে নামছেন, সেই মুহূর্তটার কথা এক বার ভাবুন। রাস্তার দিকে আস্তে আস্তে এগিয়ে চলেছেন। আর ঠিক রাস্তায় নামার আগে আপনার ব্যাগ থেকে টুক করে একটা ইলেকট্রিক ভেহিকল (Electric Vehicle) বের করলেন। সেই ইলেকট্রিক স্কুটার নিয়েই পৌঁছে গেলেন সোজা বাড়ি। হতে পারে? যদি হয়, তাহলে কেমন হবে? বাস্তবেই এমন একটি ইলেকট্রিক গাড়ি রয়েছে, যা আপনার কাছেও হয়তো খুব তাড়াতাড়ি পৌঁছে যাবে।
সারা বিশ্বেই এখন ইলেকট্রিক গাড়ির চাহিদা ঊর্ধ্বগগনে। একটু দেরি করে হলেও ভারতে এখন পাল্লা দিয়েই একের পর এক ইলেকট্রিক বাইক এবং গাড়ি লঞ্চ করছে। আর এবার এমনই এক অবিশ্বাস্যকর ইলেকট্রিক বাইক লঞ্চ হল, যা আপনার ব্যাগে রেখেই চলাফেরা করতে পারবেন। সম্প্রতি জাপানে অত্যাধুনিক প্রযুক্তির মিশেলে ভরপুর এমনই একটি ইলেকট্রিক গাড়ি তৈরি হয়েছে।
নতুন এই গাড়ির নাম পোইমো (Poimo) বা পোর্টেবল অ্যান্ড ইনফ্লেটেবল মোবিলিটি (Portable And Inflatable Mobility) স্কুটার। টোকিও বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা এই লেটেস্ট ইলেকট্রিক গাড়িটি তৈরি করেছেন। এক্কেবারে শেষ প্রান্তের কানেক্টিভিটির কথা মাথায় রেখেই এই ইলেকট্রিক স্কুটারটি তৈরি করা হয়েছে। ছোট্ট দুরত্ব যাতে সহজেই কভার করা যায়, যেমন বাড়ি থেকে বাসস্টপ বা মেট্রো স্টেশন এমনই সব ছোট ছোট দুরত্ব কভার করার জন্য কাজে আসবে এটি।
এই ইলেকট্রিক স্কুটার কী ভাবে চালাবেন?
ছোট্ট ব্যাটারি দেওয়া হয়েছে এই ইলেকট্রিক স্কুটারে। এক বার চার্জ দিলেই ৯০ মিনিটের রাইডিং টাইম দিতে পারে – যা ছোট দূরত্ব কভার করার জন্য যথেষ্ট। ঘণ্টায় ১৫ কিলোমিটার বেগে দৌড়তে পারে এই ইলেকট্রিক স্কুটার। এই গাড়ি পাওয়ার সঞ্চয় করছে একটি ইলেকট্রিক মোটর থেকে যা দেওয়া হয়েছে ঠিক চাকার মধ্যে। এছাড়াও এই মিনি স্কুটারে রয়েছে স্টিয়ারিং, হ্যান্ডেলবার এবং একটি ব্যাটারি ইউনিট যা ফ্রন্ট এবং রিয়ার হুইলসের মাঝখানে দেওয়া হয়েছে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, গাড়িটি সবদিক থেকে ছোট হলেও, তার বডি এমন স্ফীত কেন? এই ইলেকট্রিক স্কুটার তৈরি করা হয়েছে থার্মোপ্লাস্টিক পলিইউরিথেনের মাধ্যমে। গবেষকরা দাবি করেছেন, ফলে গাড়িটি বেশ শক্তপোক্ত হয়েছে এবং ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে যাঁরা, তাঁরাও খুব সহজে এটি চালাতে পারবেন।
কী ভাবে কাস্টোমাইজ করবেন?
এই বাইকের সবথেকে বড় ইউএসপি হল তার ফ্লেক্সিবল মেটিরিয়াল, যা শেপিং এবং রিশেপিং করা যায়। অর্থাৎ আপনি সম্পূর্ণ ভাবে নিজের মতো বানিয়ে নিতে পারবেন এটি। নির্দিষ্ট পছন্দের উপরে ভিত্তি করে একাধিক ডিজাইন করা যেতে পারে। এমনকি আপনি চাইলে ঘুরন্ত একটি লাউঞ্জেরও আকার দিতে পারবেন। চাহিদার উপরে ভিত্তি করে এই বাইকের একাধিক অংশ আপনি অ্যাম্প্লিফাই বা রিডিউস করতে পারবেন। তবে বেসিক প্রযুক্তিটি একই থেকে যাবে।
রিসার্চের পর ইতিমধ্যেই এই স্ফীত ইলেকট্রিক স্কুটারের টেস্ট ড্রাইভ সফল হয়েছে। আর সমস্তটাই এখনও পর্যন্ত জাপানেই সীমাবদ্ধ রয়েছে। অফিসিয়ালি সে দেশে লঞ্চ হতে আরও কিছু দিন লেগে যাবে বলে জানা গিয়েছে। আর তারপরে ভারতে আসতে আরও বেশ কিছু দিন সময় লাগবে বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল।
আরও পড়ুন: ভারতের রাস্তায় আসতে চলেছে টেসলা, সম্মতি জানানো হল ৭ টি মডেলকে, কবে আসছে এই গাড়ি?
আরও পড়ুন: ওলা এস১ প্রো-র রিভিউ করলেন জনপ্রিয় এই ভ্লগার, কেমন ইলেকট্রিক স্কুটার, শুনে নিন তার মুখ থেকেই…