জনপ্রিয় দু’চাকা গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থা ইয়ামাহা (Yamaha) ভারতে তাদের সহযোগী কোম্পানি মোটো বিজ়নেস সার্ভিস ইন্ডিয়ার মাধ্যমে বৈদ্যুতিক যানবাহন লিজ়িং কার্যক্রম (Leasing Business) শুরু করতে চলেছে। এই লিজ়িং বিজ়নেসের জন্য জ়িপ ইলেকট্রিকের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে ইয়ামাহা মোটরস। জেনে রাখা ভাল যে, জ়িপ ইলেকট্রিক একটি ডেলিভারি পরিষেবা সংস্থা। আর সেই সংস্থার কাছেই 250টি ইলেকট্রিক স্কুটার (Electric Scooter) তুলে দিতে চলেছে ইয়ামাহা, যেগুলি মূলত ব্যবসার জন্য ব্যবহার করা হবে। জিপের ঝুলিতে বর্তমানে প্রায় 5,000 ইলেকট্রিক স্কুটার রয়েছে। সংস্থাটি ক্রমাগত তার ব্যবসা সম্প্রসারণ করেই চলেছে। আর সেই কারণেই তারা পোর্টফোলিওতে আরও ইলেকট্রিক স্কুটার যুক্ত করতে চায়। জিপ ইলেকট্রিক দাবি করেছে যে, 2024 সাল নাগাদ তাদের ফ্লিটে 1.5 লক্ষ ইলেকট্রিক স্কুটার থাকবে।
ভারতের বাজারে ইলেকট্রিক স্কুটার নিয়ে আসছে ইয়ামাহা
ভারতের গাড়ি প্রস্তুতকারক সংস্থাগুলি একের পর এক ইলেকট্রিক স্কুটার নিয়ে আসছে। একাধিক স্টার্টআপ সংস্থাও দেশে তৈরি হয়েছে ই-স্কুটার প্রস্তুত করার জন্য। এবার দেশের মার্কেটে ই-স্কুটার নিয়ে আসতে চলেছে ইয়ামাহাও। কয়েক দিন আগেই সংস্থাটি তাদের ডিলার মিটে E01 এবং NEO ইলেকট্রিক স্কুটার দুটি পেশ করেছিল। থাইল্যান্ড, তাইওয়ান, ইন্দোনেশিয়া এবং মালয়েশিয়াতে ইতিমধ্যেই সেই ই-স্কুটারগুলির টেস্টিং শুরু হয়ে গিয়েছে।
এদিকে আবার Yamaha E01-এর প্রুফ অফ কনসেপ্ট ইয়াসুশি নোমুরা বলেছেন যে, বৈদ্যুতিক স্কুটারটি ইউরোপ এবং জাপানেও পরীক্ষা করা হবে। এছাড়াও, ইউরোপের হাইওয়েতেও এর পরীক্ষা করা হবে। আর এই পরীক্ষার তোড়জোড় দেখেই বোঝা যাচ্ছে, ভারত-সহ বিশ্বের অন্যান্য দেশের মার্কেটে শীঘ্রই চলে আসবে ইয়ামাহার ইলেকট্রিক স্কুটারগুলি। 2019 সালে টোকিও মোটর শো’তে এই ইলেকট্রিক স্কুটারের এক ঝলক দেখিয়েছিল সংস্থাটি। এই ই-স্কুটারের কী কী বিশেষত্ব রয়েছে, এক নজরে দেখে নেওয়া যাক।
সর্বোচ্চ গতি 100 কিলোমিটারের
Yamaha E01 ই-স্কুটারের ডিজাইন এবং বসার ধরন অনেকটাই Yamaha NMax-এর মতো হতে চলেছে। Yamaha E 01 স্কুটারে একটি 4.9 kWh লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারি রয়েছে যা একটি বৈদ্যুতিক মোটরটিকে শক্তি দেবে। এই মোটরটি 5,000 rpm-এ 8.1 kW এবং 1,950 rpm-এ 30.2 Nm টর্ক জেনারেট করবে। এই স্কুটারটি শহরের দৈনন্দিন কাজের জন্যই ডিজাইন করা হয়েছে। এই ইলেকট্রিক স্কুটারটি আপনাকে একবার চার্জে 100 কিলোমিটার পর্যন্ত রেঞ্জ দেবে। এর সর্বোচ্চ গতি হবে ঘণ্টায় 100 কিলোমিটার। এই স্কুটারটিতে তিনটি ড্রাইভিং মোড রয়েছে – ইকো, নর্ম্যাল এবং পাওয়ার। পাশাপাশি একটি রিভার্স মোডও রয়েছে।
1 ঘন্টার মধ্যে 80% শতাংশ চার্জ
এই বৈদ্যুতিক স্কুটারে তিনটি চার্জিং অপশন পাওয়া যাবে। বাড়িতেই চার্জিংয়ের জন্য দেওয়া হবে একটি সাধারণ চার্জার, যা দেওয়ালে প্লাগ পয়েন্টে দিয়ে চার্জ করা যেতে পারে। ফাস্ট চার্জার থাকছে, যার সাহায্যে ইলেকট্রিক স্কুটারটি 1 ঘন্টায় 80% পর্যন্ত চার্জ হবে। এর সঙ্গে একটি পোর্টেবল চার্জ দেওয়া হবে, যা 110 থেকে 240 ভোল্টের সরবরাহে প্রায় 14 ঘণ্টার মধ্যে স্কুটারটিকে সম্পূর্ণরূপে চার্জ করবে। এছাড়া অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ফিচারের দিক থেকে এই ইলেকট্রিক স্কুটারটিতে রয়েছে, একটি ডিজিটাল ইন্সট্রুমেন্ট কনসোল, ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি এবং কিলেস স্টার্ট ফিচার।