Bluetooth: দাঁতের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই, তাও তার নাম Bluetooth কেন? নেপথ্যে যে ইতিহাস জানা দরকার…

Bluetooth All Details: দাঁতের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই, তা-ও তার নাম Bluetooth। তাহলে কেন তার এমনতর নাম, কী ইতিহাস রয়েছে তার পিছনে, সেই সবকিছু আজ আমরা জেনে নেব।

Bluetooth: দাঁতের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই, তাও তার নাম Bluetooth কেন? নেপথ্যে যে ইতিহাস জানা দরকার...
ব্লুটুথ কেন ব্লুটুথ হল, পিছনে রয়েছে এক বিরাট ইতিহাস।

| Edited By: সায়ন্তন মুখোপাধ্যায়

Apr 06, 2023 | 9:36 PM

History of Bluetooth: আধুনিকতার দৌড়ে প্রতিদিন আমাদের বিশ্বটাকে অবিশ্বাস্যভাবে বদলে যেতে দেখছি। আজ, আমাদের হাতে এমনই কিছু ডিভাইস চলে এসেছে, যা একটা সময় আমরা কল্পনাও করতে পারতাম না। একদিকে যেমন বিভিন্ন ডিভাইস রয়েছে, সেই সঙ্গেই আবার রয়েছে তাদের অসামান্য সব বৈশিষ্ট্য। কীভাবে সেই সব প্রযুক্তি এসেছে, তাদের গঠনই বা হয়েছে কীভাবে, নামটাই বা হল কী করে— এই সবকিছুর পিছনেই তো কোনও না কোনও গল্প রয়েছে। এই যেমন ধরুন দাঁতের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই, তা-ও তার নাম Bluetooth। তাহলে কেন তার এমনতর নাম, কী ইতিহাস রয়েছে তার পিছনে, সেই সবকিছু আজ আমরা জেনে নেব।

Bluetooth-এর নাম ‘Bluetooth’ কীভাবে হল?

একটা সময় ছিল যখন মানুষ Bluetooth-এর মাধ্যমে এক মোবাইল থেকে আর এক মোবাইলে বা কম্পিউটারে ফাইল ট্রান্সফার করত। এখন যদিও সেই দিন নেই। একাধিক পদ্ধতি এসে গিয়েছে, যেগুলি Bluetooth-এর থেকেও অনেক দ্রুত গতিতে, কার্যকর উপায়ে ডেটা ও ফাইল ট্রান্সফার করতে সক্ষম। তবে স্মার্টওয়াচ থেকে শুরু করে হেডফোন-সহ অন্য আরও অনেক ডিভাইস ফোন বা ল্যাপটপ কানেক্ট করার জন্য আজ আমাদের ভরসা Bluetooth-ই। এহেন ব্লুটুথের নামকরণ কীভাবে হয়েছে, তা জানলে আপনি সত্যিই অবাক হবেন।


দাঁতের সঙ্গে কোনও সম্পর্ক নেই, তা-ও তার নাম ব্লুটুথ। আসলে দাঁতের সঙ্গে নয়। Bluetooth-এর নাম এক রাজার সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত, যিনি ইউরোপের একটি দেশের রাজা ছিলেন। মধ্যযুগীয় স্ক্যান্ডিনেভিয়ার রাজার নাম ছিল হ্যারাল্ড গোর্মসন (Harald Gormsson)। সে সময় নরওয়ে, ডেনমার্ক ও সুইডেনের রাজাদের স্ক্যান্ডিনেভিয়ান রাজা বলা হতো।

একাধিক রিপোর্ট অনুযায়ী, এই রাজাকে ব্লাটানও বলা হয়। ড্যানিশ ভাষায় ব্লাটানের অর্থ ইংরেজিতে ব্লুটুথ। সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমসের একটি রিপোর্টে বলা হয়েছে, এই রাজাকে ব্লুটুথ বলার কারণ তাঁর আর একটি দাঁত কাজ করত না। সেই দাঁত কাজ করত না বলে তার রং নীল হয়ে গিয়েছিল। অকেজো নীল রঙের দাঁতের কারণেই ওই রাজার নাম ছিল Bluetooth।


কারা রেখেছিল এই নাম?

কার নামের কারণে Bluetooth-এর এমনতর নামকরণ হয়েছিল, তা তো না হয় বোঝা গেল। কিন্তু এই নাম রেখেছিল কে, তা-ও তো এক বড় প্রশ্ন। একাধিক মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, এরিকসন কোম্পানিতে রেডিও সিস্টেমে কাজ করতেন ব্লুটুথের মালিক জাপ হার্টসেন। এরিকসনের পাশাপাশি নোকিয়া, ইন্টেলের মতো সংস্থাগুলিও এই প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করেছিল। এই ধরনের একাধিক কোম্পানিকে নিয়ে গঠিত হয়েছিল SIG বা Special Interest Group। এই দলই ব্লুটুথ নামকরণ করেছিল।

কিন্তু রাজার সঙ্গে Bluetooth কানেক্টিভিটির কী সম্পর্ক?

1996 সালের ডিসেম্বরে ইন্টেলের জিম কার্ডাচ ব্লুটুথ নামটি একটি কোডনেম হিসাবে প্রস্তাব করেছিলেন। তিনি ফ্রান্স ব্যাংটসনের ভাইকিং ইতিহাসের বই ‘দ্য লং শিপ’ পড়ছিলেন। এই বই থেকে তিনি এই ডিভাইসের জন্য ব্লুটুথ নামটি প্রস্তাব করেছিলেন। তিনি বলেন, যতক্ষণ না এসআইজি এই ডিভাইসটিকে একটি আনুষ্ঠানিক প্রযুক্তির নাম না দেয়, ততক্ষণ এটিকে ব্লুটুথের মতো একটি কোডনেম দেওয়া উচিত।


2008 সালে EE Times-এর একটি কলামে কার্ডাচ লিখেছিলেন, “ব্লুটুথ নামটি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে আমি ব্যাখ্যা করেছিলাম, ব্লুটুথ নামটি 10 ​​শতকের রাজা হ্যারাল্ড ব্লুটুথের থেকে নেওয়া হয়েছিল। ডেনমার্কের দ্বিতীয় রাজা হিসেবে তিনি স্ক্যান্ডিনেভিয়াকে একত্রিত করেছিলেন। একটা রাজা যখন একাধিক দেশকে একত্রিত করেছিলেন, আমরাও ঠিক তেমন ভাবে পিসি এবং সেলুলার শিল্পকে একটি স্বল্প-পরিসরের বেতার লিঙ্ক দিয়ে একত্রিত করতে চেয়েছিলাম। তার নামই তো আসলে ব্লুটুথ।”