Basketball Game On Mobile: সাত বছর আগে মোবাইল গেম Pokemon Go এই দুনিয়ায় ঝড় তুলেছিল। এবার সেই গেমের ক্রিয়েটররা একটি বাস্কেটবল গেম নিয়ে আসতে চলেছেন, যাতে রিয়্যাল ওয়ার্ল্ড অ্যাপিল থাকবে বলে জানা গিয়েছে। Pokemon Go-র প্লেয়ারদের যেখানে জাদুকরি প্রাণী সংগ্রহের জন্য তাদের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে রিয়্যাল-ওয়ার্ল্ড লোকেশনগুলিতে ঢুঁ মারতে হচ্ছিল, NBA All-World তার প্লেয়ারদের রাস্তাতেই একে অপরকে চ্যালেঞ্জ জানাতে দেবে।
এই গেমের ক্রিয়েটর Niantic জানাচ্ছে, পোকেমনের মতোই এই NBA গেমটি খেলতেও প্লেয়ারদের কেবল মোবাইল ফোনই দরকার হবে। কোনও দামি VR হেডসেট বা গগলস্-এর প্রয়োজন হবে না বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। Niantic-এর প্রতিষ্ঠাতা ও বস জন হ্যাঙ্ক এই হাইব্রিড-স্টাইল গেমটিকে ‘রিয়্যাল ওয়ার্ল্ড মেটাভার্স’ আখ্যা দিচ্ছেন। কিন্তু কোন দিক থেকে গেমটিকে মেটাভার্স বলা হচ্ছে তার কারণ ব্যাখ্যায় জন হ্যাঙ্ক বললেন, মুখে মাস্ক বেঁধে ঘরে বসে থাকা Microsoft সহ অন্যান্য ইউজ়ার এক্সপিরিয়েন্সের থেকে অনেকটাই আলাদা।
সংবাদমাধ্যম এএফপি-কে দেওয়া একটি সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, “আমি মনে করি, মানুষ হিসেবে বাস্তব জগতে আমরা যা-যা করি তার সবকিছু হুবহু গেমের মধ্যেও থাকাটা গুরুত্বপূর্ণ। যেমন, রেস্তোরাঁয় যাওয়া, বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করা এবং বাড়িতে না থাকা এই সব বিষয়গুলিকে আমরা যদি গেমেই ফুটিয়ে তুলতে পারি।”
“ভিআর হেডসেট ব্যবহারের বিষয়টা আমার এক্কেবারেই ভাল লাগে না। কারণ, ভিআর হেডসেট লাগিয়ে আমার তো নিজেকে খুবই একাকী লাগে। এর ভবিষ্যতও খুব ভয়ঙ্কর। আমি আশা করব, মানবতা অন্তত সে দিকে যাবে না”, বললেন জন হ্যাঙ্ক।
এই সপ্তাহে ফ্রান্সে এবং পরের মঙ্গলবার বিশ্বব্যাপী প্রকাশিত NBA All-World-এ খেলোয়াড়রা তাঁদের প্রিয় এনবিএ তারকাকে অবতার হিসেবে বেছে নেবেন। গেমটি খেলার সময় তাঁরা রাস্তায় নেমে অন্যদের সঙ্গে দেখা করতে এবং খেলতেও পারবেন। গেমটির সামাজিক দিক নিয়ে হ্যাঙ্ক আরও যোগ করে বলছেন, মোবাইল ফোন থেকে খেলার জন্য এটি এক্কেবারে একটি নিখুঁত গেম। তাঁর কথায়, “এখন মোবাইল তো প্রায় সকলের কাছেই আছে। এই গেম খেলাটাও খুব একটা দুষ্কর হবে না।”