Video Game Addiction : অনলাইন গেম ছাড়া কিছুতেই মন নেই সন্তানের? এখনই সজাগ হন, উপায় আছে বিস্তর

TV9 Bangla Digital | Edited By: অন্বেষা বিশ্বাস

Mar 03, 2023 | 1:34 PM

How To: মোবাইলের পাশাপাশি কম্পিউটারেও গেম খেলেন অনেকে। কম্পিউটারে গেম খেলার অনেক উপায় আছে, যেমন অনলাইন ভিডিয়ো গেম, প্লে স্টেশন এবং ভিডিয়ো কনসোল ইত্য়াদি। স্মার্টফোনেও অনেক গেম অ্যাপ রয়েছে, যা গেমিং আসক্তির সবচেয়ে বড় কারণ।

Video Game Addiction : অনলাইন গেম ছাড়া কিছুতেই মন নেই সন্তানের? এখনই সজাগ হন, উপায় আছে বিস্তর

Follow Us

Tech Tips And Tricks: করোনার সময়, যখন শিশুরা বাড়িতে আটকা ছিল, তখন মোবাইলই ছিল তাদের একমাত্র সম্বল। আর স্কুল-কলেজও দীর্ঘদিন বন্ধ ছিল। সারাদিন অধিকাংশ শিশুই ফোনে ব্যস্ত ছিল। এমনকি যখন পড়াশোনা শুরু হল, তখন সেটিও সেই মোবাইলেই (Mobile) হতে থাকল অনলাইনে। আর তখন থেকেই তাদের গেম খেলার অভ্য়াস তৈরি হল। ডিজিটাল (Digital) যুগে শিশুদের ফোন থেকে দূরে রাখা একটা বিরাট ব্যাপার। কম বেশি সব বাবা মায়েদেরই এই এক ঝামেলা পোহাতে হয়। পড়ার ফাঁকে সময় পেলেই বসে পড়ে মোবাইলে গেম (Mobile Game)খেলতে। কিন্তু সারাদিন ফোন ঘাঁটা মানেই হল চোখ খারাপ হওয়া, পড়াশোনার ক্ষতি ইত্যাদি। সব বাবা-মা তাই চান কী করে সন্তানকে ফোন থেকে দূরে রাখা যায়। তবে শুধু যে ছোটরা (Children) সব সময় গেম খেলে তা একেবারেই নয়। প্রাপ্তবয়স্করাও অনলাইন গেমে (Game) আসক্ত।

মোবাইলের পাশাপাশি কম্পিউটারেও গেম খেলেন অনেকে। কম্পিউটারে গেম খেলার অনেক উপায় আছে, যেমন অনলাইন ভিডিয়ো গেম, প্লে স্টেশন এবং ভিডিয়ো কনসোল ইত্য়াদি। স্মার্টফোনেও অনেক গেম অ্যাপ রয়েছে, যা গেমিং আসক্তির সবচেয়ে বড় কারণ। গেমিং খুব দ্রুত আসক্তিতে (Addiction) পরিণত হয়। খেয়াল হেরে গেলে মানসিকভাবে দুর্বলও হয়ে পড়েন তারা। এমন অবস্থায় সেই ব্যক্তি কোনও কিছু চিন্তা না করেই সব সময় গেম খেলতে থাকেন। তার তারপরে এই আসক্তি ভয়াবহ আকার ধারণ করে। আপনার সঙ্গে কী এমন হচ্ছে যে, আপনি চেয়েও তা ছাড়তে পারছেন না। যদি এমন হয় তবে আপনাকে এমন কিছু বিশেষ টিপস জানানো হবে, যেগুলির মাধ্য়মে আপনি সব সময় গেম খেলার আসক্তি থেকে মুক্তি পাবেন।

প্রথমে জেনে নিন গেম খেলা আপনার আসক্তিতে পরিনত হয়েছে নাকি এটি আপনার শখ?

সারাদিন বসে বসে গেম খেলা, কোনও কাজ না করা বা জোর করে কাজের থেকে সময় বের করে গেম খেলা, আশেপাশে কি ঘটছে এবং কে কথা বলছে সেদিকে মনোযোগ না দেওয়া, গাড়িতে যাওয়ার সময়, টিভি দেখার সময় গেম খেলা। খেলতে না পেরে মন খারাপ করা, সারা রাত জেগে থাকা, হেরে গেলে মন খারাপ করা, রেগে যাওয়া-এগুলি যদি আপনি করে থাকেন, তবে জেনে নিন গেম খেলাটা আপনার কাছে শখ নয়, বরং আসক্তি।

এই আসক্তি থেকে মুক্তি পেতে আপনাকে যা করতে হবে:

এই আসক্তি আপনার জন্য় ক্ষতিকারক, এই সত্যটি মেনে নেওয়াই আসক্তি থেকে মুক্তির প্রথম পদক্ষেপ। আশা করে যায়, প্রাপ্তবয়স্কদের পক্ষে এটি বুঝতে অসুবিধা হবে না।

অন্যদিকে, বাচ্চাদের গেমের অভ্যাস থেকে মুক্তি পেতে, বাবা-মায়ের বাচ্চাদের সঙ্গে আরও বেশি সময় কাটাতে হবে। তাদের সঙ্গে গল্প করতে হবে, মোবাইল থেকে যতটা সম্ভব দূরে রাখতে হবে। তাহলে ধীরে-ধীরে শিশুরা গেম খেলার অভ্যাস ছাড়তে পারবে।

অভিভাবকদের মোবাইল ফোনে বেশি সময় দেওয়া উচিত নয়। অনেক ক্ষেত্রে, শিশুরা তাদের মা-বাবার কাছ থেকে গেম খেলতে শেখে।

আপনি যদি ছোট বাচ্চাকে অনলাইনে পড়াশোনার জন্য মোবাইল দিয়ে থাকেন, তাহলে এতে UPI বা ব্যাঙ্কের অ্যাপ ইত্যাদি রাখবেন না।

পড়াশোনার জন্য যে মোবাইলটি দেবেন, তাতে যেন অতিরিক্ত অ্যাপ না থাকে। এছাড়াও বাচ্চাদের আপনার UPI সম্পর্কে অবগত রাখুন, ব্যাঙ্ক অ্যাপের পিন আনলক করুন।

গেমিং গ্যাজেট এবং ইলেকট্রনিক যন্ত্রপাতি ঘুমের ঘরে না রেখে অন্য কোনও ঘরে রাখুন। অর্থাৎ তাদের চোখের আড়ালে রাখুন।

ঘরে এমন পরিবেশ তৈরি করার চেষ্টা করুন যাতে শিশু ও বড়রা একাকীত্ব অনুভব না করে। আসক্তি কাটিয়ে ওঠা কঠিন হলে, থেরাপির সাহায্য় নিন। বিভিন্ন থেরাপির মাধ্যমে তা কাটিয়ে ওঠা সম্ভব।

Next Article