Oculus Rift VR Headset: ভিডিয়ো গেম আমরা অনেকেই খেলি। আবার আমরা এমন কিছু ভিডিয়ো গেম খেলি, যেখানে প্লেয়ার হিসেবে আমাদের মৃত্যুবরণ করতে হয়। কিন্তু ভিডিয়ো গেমের মৃত্যু মানেই তো আর সত্যি করে মৃত্যু নয়! তাই আবার কখনও হয় নাকি! হয়, হয়। এই ঘোর প্রযুক্তির যুগে অসম্ভব বলে কিছুই নেই, অস্তিত্ব নেই হয় না নামক শব্দদ্বয়ের। VR হেডসেট প্রস্তুতকারক সংস্থা Oculus Rift এমনই একটা VR হেডসেট নিয়ে এসেছে, যা পরে গেম খেলার সময় গেমারের মৃত্যু হলে বাস্তব জীবনেও তিনি মারা যাবেন। হেডসেটটিতে রয়েছে তিনটি বিস্ফোরক চার্জ, যার সাহায্যে গেমের মধ্যেই এটি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে। বিস্ফোরক চার্জগুলি এমনভাবেই প্রোগ্রাম করা হয়েছে যে, গেমটিতে আপনার চরিত্রটি মারা গেলে ওই চার্জগুলি বিস্ফোরণ ঘটাবে। চার্জ মডিউলগুলি সরাসরি পরিধানকারীর অগ্রভাগে স্থাপন করা হয়। একবার খেলোয়াড় শূন্য পয়েন্টে আঘাত করলে, তাদের মাথা দৃশ্যত বিস্ফোরিত হবে।
জনপ্রিয় জাপানি থ্রিলার সিরিজ় অ্যালিস ইন বর্ডারল্যান্ডের সঙ্গে অনেকাংশেই মিল রয়েছে Oculus এর VR হেডসেটটির। ওই সিরিজ়ে দেখা গিয়েছিল, VR হেডসেটগুলি কনট্রাপশন হিসেবে কাজ করে, যেখানে গেমটিতে হেরে যাওয়া ব্যক্তিদের হত্যা করবে। Oculus Rift এর প্রতিষ্ঠাতা পামার লুকি তাঁর অফিসিয়াল টুইটার হ্যান্ডেল থেকে খতরনাক ওই VR হেডসেটের একটি ছবি শেয়ার করেছেন। টুইটার পোস্টে লুকি লিখছেন, “6 নভেম্বর, 2022 এর সোর্ড আর্ট অনলাইন ঘটনাকে স্মরণ করে আমি একটি OQPNVG তৈরি করেছি- প্রথম ভার্চুয়াল রিয়েলিটি ডিভাইস যা ব্যবহারকারীকে মেরে ফেলতে সক্ষম। আপনি যদি গেমটিতে মারা যান, তাহলে বাস্তব জীবনেও আপনার মৃত্য হবে।”
“This might be a game, but it is not something you play.”
To commemorate the Sword Art Online Incident of November 6th 2022, I made the OQPNVG, the first virtual reality device capable of killing the user – if you die in the game, you die in real life.https://t.co/F3nkP5EU61
— Palmer Luckey (@PalmerLuckey) November 6, 2022
এই VR হেডসেট নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় হইহই রব পড়ে গিয়েছে। অনেক ব্যবহারকারী এই নতুন VR হেডসেটটি নিয়ে আতঙ্কিত। কারণ, এমন একটা হেডসেট পরে গেম খেললে কেউই হারতে চাইবেন না, সোশ্যাল মিডিয়ায় লিখেছেন ব্যবহারকারীরা। অনেকেই মন্তব্য করেছেন,এই VR হেডসেটটি ব্যাপকভাবে উৎপাদিত এবং বিক্রি হওয়া উচিত নয়। কারণ, এটি মানুষের জীবনকে বিপন্ন করে তুলবে।
একজন টুইটারে লিখেছেন, “VR হেডসেটটি যাঁর মস্তিষ্কপ্রসূত সেই পামার লুকির সবার প্রথম এটা চেষ্টা করা উচিত। আমি ভেবে পেলাম না যে, একবার টেস্ট না করেও কীভাবে উনি এমন একটা ভয়ানক হেডসেট নিয়ে এলেন।”
এই VR হেডসেটের নিরাপত্তার দিকটি নিশ্চিত করতে পামার একটি অ্যান্টি-ট্যাম্পার মেকানিজ়মে কাজ করছেন, যা হেডসেট খুলে ফেলার বা ধ্বংস করার কাজটি দুষ্কর করে তুলবে। সে যাই হোক না কেন। VR হেডসেটটি কেউ টেস্টও করতে চাইবেন না, কারণ গেমে ব্যর্থ হওয়ার বিষয়টি খুব স্বাভাবিক- আর পাঁচটা খেলার মতোই, যাতে হার জিত দুই-ই থাকে।
এই কারণেই পালমার নিশ্চিত যে, SAO এর মতো চূড়ান্ত ট্রিগারিং একটি উচ্চ-বুদ্ধিমত্তা এজেন্টের সঙ্গে আবদ্ধ হওয়া উচিত, যা নির্ধারণ করতে পারে টারমিনেশনের শর্তগুলি সত্যিই সঠিক কি না। সেই কারণেই তিনি বলেছিলেন যে, হেডসেটটি আপাতত অফিস আর্টের একটি অংশ।
এরকম একটা ভয়ঙ্কর হেডসেটের মাধ্যমে পামার লুকি শুধু সবাইকে মনে করিয়ে দিতে চেয়েছিলেন যে, গেমিং ও গেম ডিজাইনের ক্ষেত্রে আমরা এখনও অনেক কিছু আবিষ্কার করতে পারি। পামার দাবি করেছেন, যতদূর তাঁর জ্ঞান যায়, এটি একটি VR ডিভাইসের ক্ষেত্রে প্রথম নন-ফিকশন উদাহরণ, যা ব্যবহারকারীকে হত্যা করতে পারে। তবে তিনি নিশ্চিত যে, এটাই শেষ হবে না। এরপরেও এরকম আরও VR ডিভাইস আসবে বলেও দাবি করেছেন Oculus Rift এর প্রতিষ্ঠাতা পামার লুকি।