Make Money Online: স্মার্টফোনে আমরা প্রায় সবাই গেম খেলি। কিন্তু গেমিংকে আমরা খুব একটা সিরিয়াসলি নিই না। সিরিয়াসলি নিই না, কারণ গেমিং সবসময় আমাদের বিনোদনের অঙ্গ হিসেবেই থেকে গিয়েছে। কিন্তু এখন আর সেই দিন নেই। দেশের অল্প বয়সীরা এখন গেমিংকে খুবই সিরিয়াসলি নিচ্ছেন। শুধু নিচ্ছেনই না, কেরিয়ার হিসেবে দেখছেন। আর সেখান থেকে তাঁরা অর্থও উপার্জন করছেন। ভারতও এখন গেম নিয়ে কতটা সিরিয়াস ভাবুন না যে, জনপ্রিয় গেমকে ব্যান করতে হচ্ছে নিরাপত্তাজনিত কারণে। সেই যে কোম্পানির গেম ব্যান করা হচ্ছে, তাকে ভারতের মতো বাজারে নতুন করে ইনিংস শুরু করতে ভারতীয় স্টাইলের, ভারতীয় সংস্কৃতির উপর ভিত্তি করে গেম নিয়ে আসতে হচ্ছে।
তবে গেম খেলে যে কেউ অর্থ উপার্জন করতে পারেন। হ্যাঁ, কোনও কিছুই তো আর সহজে হয় না। গেম খেলে উপার্জনের পথটাও ততটা সহজ নয়, যতটা আপনি ভাবছেন। আপনাকে গেম নিয়ে যথেষ্ট রিসার্চ করতে হবে, মার্কেটটা বুঝতে হবে, হালফিলের ট্রেন্ডিং গেমগুলি গুলে খেতে হবে এবং সর্বোপরি গেমের প্র্যাকটিসটা চালিয়ে যেতে হবে। যদিও গেম না খেলেও আপনি গেমিং থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারেন। কীভাবে তা সম্ভব, এমনই তিনটে পন্থা আজকে জেনে নেওয়া যাক।
লাইভ স্ট্রিমিং –
লাইভ স্ট্রিমিংয়ের সাহায্যে গেম খেলে যে কেউ অর্থ উপার্জন করতে পারেন। তবে তার জন্য আপনার গেমিং সম্পর্কে ভাল ধারণা থাকাটা জরুরি। প্রথমে আপনাকে ভাল দর্শক তৈরি করতে হবে। মানে, আপনি যদি গেম লাইভ স্ট্রিমার হিসেবে জনপ্রিয় হতে চান, তাহলে তার জন্য তো দর্শক জরুরি, না হলে কাকে আপনার লাইভ স্ট্রিমিং দেখাবেন? তেমনটা করতে গেলে আপনাকে প্রতিদিন লাইভ স্ট্রিমিং করে যেতে হবে। এভাবে যখন আপনার একটা ভাল দর্শক সংখ্যা তৈরি হয়ে যাবে, তখন আপনি উপার্জন করতে পারবেন। ভাল টাকা রোজগার করতে পারবেন। অনেক গেমিং কোম্পানি আবার লাইভ স্ট্রিমিংয়ের বিনিময়েও টাকা দিয়ে থাকে। লাইভ স্ট্রিমিং গেমারদের জনপ্রিয়তা বাড়ায় এবং লোকেরা একটা জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্মে এসে অনেক বেশি সময় ব্যয় করেন।
গেম টেস্টার –
আপনি গেম টেস্টার হিসেবেও ভাল অর্থ উপার্জন করতে পারেন। গেম খেলে তো টাকা আয় করা যায় ঠিকই। কিন্তু আপনি যদি কোনও গেম মার্কেটে আসার আগে তা টেস্ট করতে পারেন, তাহলে তার জন্যও টাকা রোজগার করতে পারবেন। যে কোনও গেম ডেভেলপিং কোম্পানি বাজারে তার গেম নিয়ে আসার আগে তা ভাল করে পরীক্ষা করায়। আপনি যদি সেই গেম টেস্টারের কাজ করতে চান, তাহলে আপনাকে ওই কোম্পানির অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে অ্যাপ্লাই করতে হবে। টেস্টিং সম্পন্ন হলে আপনাকে আপনার মতামত দিতে হবে এবং তার ভিত্তিতে কোম্পানি গেমে প্রয়োজনীয় পরিবর্তন করবে।
গেমিং ভিডিয়ো –
আয়ের আর একটি ভাল উপায় হল গেমিং ভিডিয়ো। ইউটিউবে মানুষজন গেমিংয়ের ভিডিয়ো খুব পছন্দ করেন। আপনিও যদি সেই ভিডিয়োগুলি দেখেন, তাহলে বুঝতে পারবেন কী ধরনের গেমিং ভিডিয়ো মানুষ পছন্দ করছেন। সেই সব পপুলার গেমিং ভিডিয়োগুলি ফলো করে নিজের একটা ধারণা তৈরি করে, নিজেও শুরু করতে পারেন নিজের মতো করে। অনেকে আবার গেমিং ভিডিয়ো তৈরি করে মাসে 1 লাখ টাকারও বেশি আয় করছেন। সেই কাজটা আপনিও করতে পারেন। তবে সেই সব ভিডিয়োর দৈর্ঘ্য বেশি হতে হবে, যাতে তার মধ্যে দিয়ে ইউটিউব তার বিজ্ঞাপন চালাতে পারে।