IP Address Hack: ইলেকট্রনিক ডিভাইস এবং ইন্টারনেটের ব্যবহার দিনের পর দিন যত বাড়ছে, ততই বাড়ছে সাইবার ক্রাইমও। আর স্ক্যামার বা হ্যাকাররাও বিভিন্ন পথ খুঁজে বের করছে মানুষকে ঠকানোর। যারা স্মার্টফোন বা স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহার করেন, তাদের অনেকেই ইন্টারনেট প্রোটোকলের নাম শুনেছেন অর্থাৎ আইপি অ্যাড্রেস (IP Address)। খুব কম মানুষই এর নিরাপত্তা এবং গোপনীয়তা (security and privacy) সম্পর্কে জানেন। আর অনেকে এটাও জানেন না যে স্ক্যামার বা হ্যাকাররা এই Internet Protocol address-কে কাজে লাগিয়ে ব্যঙ্কের সব টাকা লুট করে নিচ্ছে। তবে চলুন জেনে নেওয়া যাক IP Address সম্পর্কিত সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। ইন্টারনেট ব্যবহার করেন, তাই আপনার এই বিষয়ে সব কিছু জেনে রাখা প্রয়োজনীয়।
ইন্টারনেট প্রোটোকল অ্যাড্রেস (Internet Protocol address) কী?
যদি সহজ ভাষায় বলা যায়, তাহলে IP Address হল Internet Protocol Address। ইন্টারনেটের সঙ্গে সংযুক্ত প্রতিটি ডিভাইসের একটি ঠিকানা থাকে এ ঠিকানাকে বলা হয় আইপি অ্যাড্রেস (IP Address)। অর্থাৎ তথ্য আদান প্রদানে সাধারানত IP Address ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আইপি অ্যাড্রেসের সাহায্যে লক্ষ লক্ষ কম্পিউটার বা স্মার্টফোন খুঁজে বের করা সম্ভব। আইপি অ্যাড্রেসকে বিভিন্ন ক্যারেক্টারের সাহায্যে চিহ্নিত করা যায়। ক্যারেক্টার ফর্মে আইপি অ্যাড্রেসের নামকে ডোমেইন নেম বলে। আর এই ডোমেইন নেমকেই হ্যাকাররা হ্যাক করে আপনার ডিভাইসের সমস্ত তথ্য় হাতিয়ে নিচ্ছে।
হ্য়াকাররা কীভাবে ইন্টারনেট প্রোটোকল অ্যাড্রেসের মাধ্য়মে জালিয়াতি চালাচ্ছে?
এই ইন্টারনেট প্রোটোকল অ্যাড্রেস হ্যাকারের কাজ সহজ করে তোলে। আপনার ডিভাইসের আইপি অ্যাড্রেস থেকে ব্যবহারকারীর অবস্থান জানা যায়। এমন পরিস্থিতিতে, সমস্ত কৌশল অবলম্বন করে হ্যাকাররা আপনার IP Address খুঁজে বার করছে। আর তাতে রাখা সমস্ত তথ্য তাদের দখলে চলে আসছে। অনেক ক্ষেত্রে ব্যাঙ্কিং তথ্য অ্যাক্সেস করা সহজ করে তোলে। যদিও আপনার তথ্য সরাসরি চুরি করা যায় না, তবে আইপি অ্যাড্রেসের সাহায্যে হ্যাকার সহজেই ব্যবহারকারীকে টার্গেট করতে পারে।
এই জালিয়াতি রুখতে কী ব্যবস্থা নেওয়া উচিত?
ভিপিএন (VPN) সিকিউরিটি শিল্ড রাখুন আপনার ডিভাইসে। যাতে আইপি অ্যাড্রেস ফাঁস না হয়। তবে আপনি পেইড এবং ফ্রি ভিপিএন পেয়ে যাবেন। আপনি সেইগুলি ফোন বা কম্পিউটারে ইনস্টল করে রাখতে পারেন।