ট্রেনের টিকিট ক্যান্সেল করতে গেলে খুব সাবধান, মুহূর্তে ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট

Railway Ticket Cancel From IRCTC: পুলিশের সাইবার সেলের তদন্তে জানা গিয়েছে যে 'রেস্ট ডেস্ক' নামে একটি অ্যাপ ডাউনলোড করার ফলে, স্ক্যামাররা বশিরের ফোনের অ্যাক্সেস পেয়ে গিয়েছিল। পুলিশ তদন্তের পরে জানতে পারে, যে নম্বর থেকে মহম্মদ বশিরের কাছে ফোন গিয়েছিল, তার মধ্যে দু'টি নম্বর কলকাতা ও বিহারের।

ট্রেনের টিকিট ক্যান্সেল করতে গেলে খুব সাবধান, মুহূর্তে ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট

| Edited By: অন্বেষা বিশ্বাস

Aug 15, 2023 | 7:58 PM

অনলাইন স্ক্যাম ক্রমাগত বাড়ছে। তাছাড়াও বর্তমানে যাবতীয় কাজ স্মার্টফোনেই হয়ে যায়। ফলে সেক্ষেত্রে ঝুঁকির প্রবনতা আরও বেশি থাকে। স্ক্যামাররা একের পর এক উপায় খুঁজে বের করছে মানুষকে ঠকানোর। আর সবার আগে তাদের নজর রয়েছে স্মার্টফোনের দিকে, ফলে আপনি যা-ই করবেন না কেন, আপনাকে খুব সচেতন থাকতে হবে। ইতিমধ্যেই আইআরসিটিসি স্ক্যাম নামে একটি নতুন কেলেঙ্কারী সামনে এসেছে, যার কারণে স্ক্যামাররা লোকের অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা তুলে নিচ্ছেন। এটা বেশি হচ্ছে তাদের সঙ্গে, যারা ট্রেনের টিকিট বাতিল (Train Ticket Cancel) করতে যাচ্ছেন। আপনিও যদি ট্রেনের টিকিট বাতিল করবেন বলে ভাবছেন, তাহলে এখনই সতর্ক হোন। কারণ এমনই একটি ঘটনা সামনে এসেছে, যিনি টিকিট বালিত করতে গিয়ে লাখ লাখ টাকা হারিয়েছেন।

কেরালার 78 বছর বয়সী মহম্মদ বশির IRCTC ওয়েবসাইট দিয়ে তার ট্রেনের টিকিট বাতিল করার চেষ্টা করেছিলেন এবং তখনই কেলেঙ্কারির শিকার হয়েছিলেন। তার অ্যাকাউন্ট থেকে 4 লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে স্ক্যামাররা। এই কেলেঙ্কারীতে একটি জাল ওয়েবসাইটের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।

মহম্মদ বশির বুঝতে পেরেছিলেন তার সঙ্গে কোনও স্ক্যাম হচ্ছে। কিন্তু যতক্ষণে তিনি বুঝেছেন, ততক্ষণে সেভিংস অ্যাকাউন্ট থেকে টাকা গায়েব হয়ে গিয়েছে। এরপর সঙ্গে সঙ্গে ব্যাঙ্কে পৌঁছে যান তিনি। ততক্ষণে তার ফিক্সড ডিপোজিট থেকে 4 লক্ষ টাকাও তুলে নেওয়া হয়েছে। স্ক্যামাররা তিনটি আলাদা ফোন নম্বর ব্যবহার করে বশিরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। সবচেয়ে অবাক ব্যাপার হল মহম্মদ বশির যখন ব্যাঙ্কে যান, তখন তার কাছে আরও একটি ফোন আসে, আর সেই ফোনে তাকে স্ক্যামাররা তা করতে বাধা দেয়। এরপরে, বাশির তার ফোন ফরম্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন, যাতে আর কোনও তথ্য হ্যাকারদের কাছে না যায়। তিনি ঘটনাটি ব্যাংকের সাইবার সেল ও পুলিশকেও জানান।

পুলিশের সাইবার সেলের তদন্তে জানা গিয়েছে যে ‘রেস্ট ডেস্ক’ নামে একটি অ্যাপ ডাউনলোড করার ফলে, স্ক্যামাররা বশিরের ফোনের অ্যাক্সেস পেয়ে গিয়েছিল। পুলিশ তদন্তের পরে জানতে পারে, যে নম্বর থেকে মহম্মদ বশিরের কাছে ফোন গিয়েছিল, তার মধ্যে দু’টি নম্বর কলকাতা ও বিহারের।