স্মার্টওয়াচের প্রবণতা দিনের পর দিন বেড়েই চলেছে। স্মার্টফোন প্রস্তুতকারী সংস্থাগুলিও এখন প্রতিটি রেঞ্জের স্মার্টওয়াচ বাজারে আনছে। আপনি বাজারে 1200-1500 টাকার মধ্যেও একটি ভাল স্মার্টওয়াচ পেয়ে যাবেন। কাজের পাশাপাশি এটি একটি স্টাইল স্টেটমেন্টও হয়ে উঠছে। তবে এতে একটি সমস্যা দেখা দেয় কিছুদিন পর থেকেই। প্রথম প্রথম একবার চার্জে অনেকক্ষণ চললেও, একটু পুরনো হয়ে গেলে আর তা ঠিকভাবে চলে না। যদিও এটা সবার ক্ষেত্রে হয় না। কিন্তু অনেকেই এমন কিছু ভুল করে বসেন, যার জন্য এই সমস্যায় পড়তে হয়। তবে আপনার সঙ্গেও যদি এমন হয়, তাহলে জেনে নিন সমাধান।
নোটিফিকেশন: এমন হতে পারে যে, আপনার স্মার্টওয়াচে সমস্ত অ্যাপ থেকে প্রচুর নোটিফিকেশন আসে। তাই আপনি যদি ব্যাটারি বাঁচাতে চান, তবে স্মার্টওয়াচে আপনার প্রয়োজন নেই এমন অ্যাপগুলির নোটিফিকেশন বন্ধ করে রাখতে পারেন। কারণ নোটিফিকেশনের কারণে ব্যাটারি বেশি খরচ হয়ে যায়।
ব্রাইটনেস: স্মার্টওয়াচে যত বেশি ব্রাইটনেস বাড়ানো থাকবে, ততই চার্জ বেশি শেষ হবে। তাই চেষ্টা করুন যতটা সম্ভব কমিয়ে রাখার। তবে প্রয়োজনে তো বেশি রাখতেই হবে।
জিপিএস: যদি আপনার ঘড়িতে সব সময় জিপিএস চালু থাকে, তবে এটি আপনার ব্যাটারি দ্রুত শেষ হওয়ার আরেকটি কারণ হতে পারে। অতএব, প্রয়োজন না হলে জিপিএস বন্ধ করুন। যখন প্রয়োজন হবে, শুধু তখনই সেটিকে অন করে নিন।
পাওয়ার সেভিং মোড: যখনই ব্যাটারি কম হতে শুরু করবে, ঘড়ির পাওয়ার সেভিং মোডটি চালু করে নিন। এতে আপনি কম চার্জেও অনেকক্ষণ চালাতে পারবেন ঘড়িটি।
সফ্টওয়্যার আপডেট: আপনার স্মার্টওয়াচটিতে যদি সফ্টওয়্যার আপডেটের অপশন থাকে, সেক্ষেত্রে সময়ে সময়ে সেটি করে নেওয়া ভাল। নাহলে বিভিন্ন রকম সমস্যা দেখা দিতে পারে। শুধুই চার্জিং সমস্যা নয়, সেই সঙ্গে ব্লুটুথ কানেকশনের বিভিন্ন সমস্যাও হতে পারে। তবে একটু বেশি দামের স্মার্টওয়াচে সফ্টওয়্যার আপডেটের অপশন থাকে।