Bike Tips: গরমে প্রাণ ওষ্টাগত। আর ঠিক এমন সময় আপনি প্রায় রোজই সাধের বাইকটিকে নিয়ে বাড়ি থেকে বের হচ্ছেন। কিন্তু আসল কাজটাই করতে ভুলে যাচ্ছেন। তা হল বাইকটির খেয়াল রাখা। গরমে বাইকের বিশেষ যত্নের প্রয়োজন হয়। আপনি দিনের পর দিন সেদিকে নজর দিতে ভুলে যাচ্ছেন। তাতে হতে পারে মারাত্বক বড় কোনও ক্ষতি। রাস্তায় চলতে চলতে হঠাৎই বন্ধ হয়ে যাতে পারে। এছাড়াও বাইক যাই হোক না কেন, সবাই চায় সেই বাইক যেন সর্বোচ্চ মাইলেজ দেয়। যদিও এটা নির্ভর করে আপনি কীভাবে বাইক চালান তার উপর। তবে এটাও ঠিক যে এই গরম আবহাওয়ায় বাইকের মাইলেজ অনেকটাই কমে যায়। কিন্তু এই বিশেষ বিষয়গুলি খেয়াল রাখলে মাইলেজ কমার বদলে বাড়বে। আসুন জেনে নেওয়া যাক বাইকের মাইলেজ বাড়ানোর জন্য আপনাকে কী-কী বিষয় মেনে চলতে হবে।
রোদে বাইক পার্ক করবেন না:
প্রায়ই দেখা যায় অনেকেই রোদে বাইক পার্ক করেন। এতে বাইকের ফুয়েল ট্যাঙ্কের পেট্রোল গরম পেয়ে গ্যাসের আকার ধারণ করে এবং উড়ে যায়। যদিও তা খুবই কম পরিমাণে। কিন্তু জ্বালানিও অনেকটাই কমে যায়। আপনার বাইক যদি সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত রোদে পার্ক করা থাকে, তাহলে অনেকটাই ফুয়েল নষ্ট হবে। তাই সবসময় ঠাণ্ডা জায়গায় গাড়ি বা বাইক পার্ক করুন।
সপ্তাহে 3 বার টায়ারের চাপ পরীক্ষা করুন:
প্রচন্ড গরমে টায়ারের বাতাসের চাপ দ্রুত পরিবর্তিত হয়। গরম পেয়ে হাওয়ার পরিমাণ বেড়ে যায়, ফলে টায়ারের উপর চাপ পড়ে। এর প্রভাব ইঞ্জিনে পড়ে। যার ফলে মাইলেজে প্রভাব পড়ে। তাই সপ্তাহে 1 বার টায়ারের হাওয়া পরীক্ষা করুন। যাতে মাইলেজ থেকে শুরু করে টায়ার সব কিছু সঠিক থাকে।
এয়ার ফিল্টার পরিষ্কার করুন:
প্রতিদিন রাস্তায় চলার ফলে বাইকে ইনস্টল করা এয়ার ফিল্টারে প্রচুর পরিমাণে ধুলাবালি ঢুকে যায়। এর প্রভাব পরে মাইলেজে। নোংরা এয়ার ফিল্টারের কারণে ইঞ্জিনে হাওয়া যায় না, যার কারণে মাইলেজ কমে যায়। তাই প্রতি 500 কিলোমিটারের মধ্যে এয়ার ফিল্টার পরিবর্তন করতে হবে।
চেনসেট শুকিয়ে রাখুন:
অনেক সময় দেখা যায় বাইকের চেন নোংরা হয়ে যায়। সেই সঙ্গে ঢিলেও হয়ে যায়। অনেক সময় চেনসেট থেকে আওয়াজ আসতে শুরু করে। তাই চেনটি 500 থেকে 700 কিলোমিটারের মধ্যে লুব্রিকেট করা উচিত, যাতে এটি পরিষ্কার করা যায়। এতে বাইকটি এই গরমেও ভাল চলবে এবং আপনিও অনেক বেশি মাইলেজ পাবেন।