WhatsApp Latest Scam: আধার কার্ডের মাধ্যমে প্রতারণার সঙ্গেই WhatsApp-এ জালিয়াতির ঘটনাও ব্যাপক ভাবে বেড়ে গিয়েছে। বিভিন্ন উপায়ে প্রতারকরা ছাপোষা সাধারণ মানুষকে হোয়াটসঅ্যাপে লোভনীয় মেসেজ পাঠিয়ে প্রতারণা করার চেষ্টা করেন। সম্প্রতি মুম্বইয়ের এক ব্যক্তি সেরকমই এক আর্থিক প্রতারণার শিকার হয়েছেন। ব্যক্তির বয়স মাত্র 33 বছর। এই প্রতারণায় তিনি 43.45 লাখ টাকা খুইয়েছেন। কিন্তু WhatsApp-এর মাধ্যমে এত টাকা কীভাবে খোয়ালেন তিনি? আসলে প্রতারকরা ওই ব্যক্তিকে অনলাইনে কাজের মাধ্যমে মোটা টাকা রোজগারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। কিন্তু কাজ তো আসেইনি। বরং, ব্যক্তির ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে মুহূর্তে গায়েব হয়ে যায় তাঁর জীবনের সমস্ত সঞ্চয়।
মুম্বইয়ের ওই ব্যক্তির কাছে যে মেসেজটি এসেছিল, তাতে বলা হয়েছিল অনলাইনে কিছু কাজ করতে হবে এবং তার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা যেতে পারে। লোভের বশবর্তী হয়ে ব্যক্তি মনে করলেন, এমন কাজের সুযোগ আর তাঁর কাছে কোনও দিন আসবে না। আর সেই ভাবনা থেকেই পড়লেন ফাঁদে। তাঁকে বলা হয়েছিল, বিভিন্ন অ্যাকাউন্টে টাকা পাঠাতে এবং তিনি ঠিক তা-ই করেন। টাকা তো তিনি পাঠিয়েই দেন। কিন্তু প্রতারকা সেই টাকা আর ফেরত দেয়নি। ভারতীয় দণ্ডবিধির 420 ধারায় প্রতারকদের বিরুদ্ধে একটি মামলা রুজু করা হয়েছে।
WhatsApp Scam: এই ধরনের প্রতারণা থেকে যে ভাবে নিজেকে সুরক্ষিত রাখবেন
প্রতারকরা আপনার ব্যক্তিগত তথ্য পেতে সবসময়ই ফিশিং কৌশল ব্যবহার করে। তাই, অজানা নম্বর থেকে আসা কোনও মেসেজে কখনও বিশ্বাস করবেন না। তার থেকেও বড় কথা হল, অজ্ঞাত নম্বরগুলি থেকে আসা মেসেজে যদি কোনও লিঙ্ক থাকে, তাহলে তাতেও ক্লিক করা উচিত নয়। কারণ, এই ধরনের লিঙ্কগুলোতে ক্লিক করলেই আপনার ব্যাঙ্কিং তথ্য থেকে শুরু করে ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ডের তথ্য-সহ যাবতীয় ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হয়ে যেতে পারে। আপনি যদি এই ধরনের কোনও কল বা মেসেজ পান, এড়িয়ে যাবেন।
আপনাকে এমন মেসেজ থেকেও সতর্ক থাকতে হবে, যা টেলিভিশন গেম শো থেকে একটি গাড়ি বা লটারি জিততে প্রলুব্ধ করে। এই ধরনের মেসেজগুলি আপনার সম্পূর্ণ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট খালি করার জন্য দায়ী হতে পারে। এমন মেসেজের জন্য হোয়াটসঅ্যাপে রিপোর্ট করার অপশন রয়েছে। আপনি চাইলে সেই মেসেজটি রিপোর্ট করতে পারেন, আবার নম্বরটিকেও রিপোর্ট ও ব্লক করে দিতে পারেন।
ফরোয়ার্ডেড হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ থেকে সবসময় সতর্ক থাকবেন। আপনার কাছে ফরোয়ার্ডেড মেসেজ এলে তা এড়িয়ে চলুন, কাউকে সেই মেসেজ ফরোয়ার্ডও করতে যাবেন না। হোয়াটসঅ্যাপে কোনও ধরনের স্ক্যাম, অশ্লীল বা অবৈধ কন্টেন্ট শেয়ার করবেন না। এমনতর মেসেজ যদি আপনার কাছে আসে, তাহলে সেগুলিকে এড়িয়ে চলুন, রিপোর্ট করুন, নম্বরটিকে ব্লক করুন।