Pre-installed Apps: ফোনের যে সব অ্যাপ ডিলিট করা যায় না, তাদের উপর ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ চালাবে ভারত

গুপ্তচরবৃত্তি এবং ব্যবহারকারীর ডেটা অপব্যবহারের বিষয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্নতা থেকেই এই নতুন নিয়মগুলি বিবেচনা করছে কেন্দ্রের আইটি মন্ত্রক। এর মধ্যেই আবার সরকার একটি দেশি অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করছে বলে খবর, যার নাম BharOS।

Pre-installed Apps: ফোনের যে সব অ্যাপ ডিলিট করা যায় না, তাদের উপর 'সার্জিক্যাল স্ট্রাইক' চালাবে ভারত
প্রি-ইনস্টলড অ্যাপগুলি ব্যবহারকারীরা এবার নিজেদের পছন্দ অনুযায়ী ডিলিট করতে পারবেন।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 18, 2023 | 8:37 PM

Smartphone Brands India: প্রতিটা স্মার্টফোনেই থাকে কিছু প্রি-ইনস্টলড অ্যাপ। কিন্তু ভারতে এবার তার অন্যথা হতে চলেছে। এ দেশে স্মার্টফোন ব্র্যান্ডগুলি এবার একটি অফশন রাখতে বাধ্য হবে, যা ইউজারদের প্রি-ইনস্টলড অ্যাপগুলি ডিলিট করতে দেবে। প্রি-ইনস্টলড অ্যাপগুলির উপর এই ক্র্যাকডাউন যাকে ব্লটওয়্যার বলা হয়, তা আসলে ভারত সরকারের একটি প্রস্তাবিত পরিকল্পনার অংশ। এর ফলে প্রধান মোবাইল অপারেটিং সিস্টেমগুলির স্ক্রিনিং বাধ্যতামূলক হয়ে যেতে পারে। রয়টার্সের রিপোর্ট অনুযায়ী, গুপ্তচরবৃত্তি এবং ব্যবহারকারীর ডেটা অপব্যবহারের বিষয়ে যথেষ্ট উদ্বিগ্নতা থেকেই এই নতুন নিয়মগুলি বিবেচনা করছে কেন্দ্রের আইটি মন্ত্রক। এর মধ্যেই আবার সরকার একটি দেশি অপারেটিং সিস্টেম তৈরি করছে বলে খবর, যার নাম BharOS।

ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, নতুন নিয়মে নতুন স্মার্টফোনগুলিকে ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস দ্বারা অনুমোদিত একটি ল্যাবে পরীক্ষা করার বিষয়টি বাধ্যতামূলক করা হবে। এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই যে, পরিকল্পনাটি ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার জন্য নেওয়া হচ্ছে। সূত্রের খবর, নতুন নিয়ম চালু হওয়ার পরে সরকার স্মার্টফোন ব্র্যান্ডগুলিকে এক বছর সময় দেবে প্রি-ইনস্টলড অ্যাপগুলি সরিয়ে দেওয়ার জন্য। তবে ভারত সরকারের নতুন আইটি নিয়মটি কবে থেকে চালু হবে, সে বিষয়ে কোনও তথ্য এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।

সংবাদমাধ্যমের কাছে সরকারের এক কর্মকর্তা বলেছেন যে, জাতীয় সুরক্ষার উপরে বড় হুমকি হল ফোনের এই প্রি-ইনস্টলড অ্যাপগুলি। রিপোর্টে ওই সরকারি কর্মকর্তাকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছে, “প্রি-ইনস্টল করা অ্যাপগুলি নিরাপত্তার দিক থেকে অত্যন্ত দুর্বল হতে পারে। আমরা নিশ্চিত করতে চাই, যেন চিন-সহ অন্যান্য কোনও বিদেশি শক্তি যাতে এটিকে কাজে না লাগাতে পারে। কারণ, দেশের নিরাপত্তার জন্য এটা একটা বড় বিষয়।” সরকার ইতিমধ্যেই Xiaomi, Samsung, Apple এবং Vivo সহ স্মার্টফোন নির্মাতাদের সঙ্গে এই পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করেছে।

অ্যান্ড্রয়েড হোক বা iOS এই মুহূর্তে বেশিরভাগ স্মার্টফোনেই নিজস্ব মালিকানাধীন এবং থার্ড পার্টি একাধিক অ্যাপ থাকে। তবে iPhone যেখানে ইউজারদের অধিকাংশ অ্যাপই ডিলিট করার অনুমতি দেয়, অ্যান্ড্রয়েড কিন্তু Google-এর অ্যাপগুলি যেমন জিমেল, ক্রোম এই সমস্ত অ্যাপকে ডিলিট করতে দেয় না। অন্য দিকে আবার Samsung, Xiaomi-সহ আরও বিভিন্ন স্মার্টফোন প্রস্তুতকারক সংস্থা তাদের ইউজডারদের প্রোপ্রাইটারি অ্যাপ যেমন ক্যামেরা, স্যামসাং পে, হট অ্যাপস (যার মধ্যে রয়েছে একাধিক প্রোডাক্টিভিটি অ্যাপের একটি স্যুট) এবং আরও একাধিক গুগল অ্যাপস।

এখন এই আইটি নিয়ম যদি ভারতে কার্যকর হয়, তাহলে ব্র্যান্ডগুলির আয়ের ক্ষেত্রে তা বড় ধাক্কা হবে। এমন অনেক অ্যান্ড্রয়েড ব্র্যান্ড রয়েছে, যারা তাদের প্রি-ইনস্টলড অ্যাপের জন্য মেটা এবং স্ন্যাপের মতো অ্যাপের সঙ্গে গাঁটছড়া বেঁধেছে। অ্যাপ নিয়ে কিন্তু ভারত বিগত বেশ কিছু বছরে আরও সতর্ক হয়েছে। 300-রও বেশি চিনা অ্যাপ ভারতে ব্যান করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে টিকটক, উইচ্যাটের মত জনপ্রিয় অ্যাপ। তার উপরে আবার এখন দেশি অপারেটিং সিস্টেম তৈরির তোড়জোড় শুরু হয়েছে দেশে। BharOS নামের সেই দেশি অপারেটিং সিস্টেম যে থার্ড পার্টি অ্যাপের নির্ভরতা আরও কমাবে, তার ইঙ্গিত মিলছে।