Smartphone Buying Guide: এই ডিজ়িটাল যুগে স্মার্টফোন আছে অথচ অনলাইনে কেনাকাটা করেন না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন। জামা কাপড় থেকে শুরু করে নিত্যনতুন ডিভাইস, সব কিছুই মানুষ নিজের পছন্দ মতো কিনে ফেলতে পারে। আর বড় বড় ই-কমার্স সাইচগুলোও প্রচুর অফার দেয়। সেই ডিসকাউন্টের উপর ভিত্তি করেই মানুষ স্মার্টফোনও কিনে ফেলেন অনলাইনে। আপনি যদি ফ্লিপকার্ট বা অ্যামাজন থেকে ফোন কেনার প্ল্যান করেন, তাহলে আপনাকে কয়েকটি জিনিস মাথায় রাখতে হবে। যাতে প্রচুর টাকা খরচ করার পরে কোনও আফসোস করতে না হয়।
স্মার্টফোনটি সম্পর্কে ভাল করে জানুন:
আপনি যে মোবাইলটি কিনতে চান, আগে তা নিয়ে গবেষণা করুন। তারপরেই কিনে নিন। সমস্ত কিছু না দেখে কিনবেন না। এমনকি ফোনটির ফিচার থেকে স্পেসিফিকেশন সব কিছু ভাল করে দেখে নিন।
অন্যান্য সাইট ঘুরে নিন:
শুধু স্মার্টফোন বলেই নয়, যখনই কোনও ডিভাইস কিনবেন তখন অন্য সব সাইট ঘুরে কিনবেন। এতে আপনি দামের আর অফারের একটি ধারণা পেয়ে যাবেন। ফলে সমস্ত প্ল্যাটফর্ম জুড়ে দামের তুলনা করুন। কারা বেশি অফার দিচ্ছে বা অন্য কী সুবিধা দিচ্ছে জেনে নিন।
রেটিং দেখে নিন:
Flipkart বা Amazon থেকে স্মার্টফোন কেনার সময়, কাস্টোমার রেটিং ও রিভিউ দেখে নিন। আদোই ফোনটি সঠিকভাবে পৌছিয়েছে কি না। তাতে সব কিছু ঠিকভাবে কাজ করছে কি না, এই সবকিছুই ভাল করে পরখ করে নিতে হবে। এতে আপনি যখন ফোনটি হাতে পাবেন, তখন যাতে কোনও রকম সমস্যা না হয়।
মোবাইলের দাম দেখে নিন:
Flipkart এবং Amazon উভয় ক্ষেত্রেই একই মোবাইলের দামে কে কতটা ছাড় দিচ্ছে তা দেখে নিন। দামের তুলনা করার সঙ্গে সঙ্গে কী ধরনের সেরা ডিল পাচ্ছেন, তাও হিসেব করে নিন। অনেক সময় দেখা যায়, আপনি একটি ওয়েবসাইট থেকে কিনে ফেলেছেন। আর তারপর দেখেছেন, অন্য একটি সাইটে তার উপর আরও অনেক অফার দিচ্ছে। ফলে তখন আর আফসোসের শেষ থাকে না। তাই আগে থেকেই সব কিছু জেনে নিন।
ডিসকাউন্ট এবং ক্যাশব্যাকের দিকে নজর রাখুন:
Flipkart এবং Amazon-এর ডিল এবং অফারগুলিতে নজর রাখুন কারণ এই উভয় প্ল্যাটফর্ম সময়ে সময়ে ডিসকাউন্ট, ক্যাশব্যাক এবং অন্যান্য অফার দিয়ে থাকে। কে বেশি ক্যাশব্যাক দিচ্ছে, তা দেখে নিন। ওয়ারেন্টির দিকটাও নজরে রাখতে ভুলবেন না। এছাড়াও কেনাকাটা করার আগে রিটার্ন পলিসি চেক করুন। রিটার্ন পলিসির শর্তাবলীও ভাল করে পড়ে বুঝে নিন।