ফ্লাইট মোড (Flight Mode) প্রতিটি মোবাইল ফোনের (Mobile Phones) ক্ষেত্রেই একটি কম ফিচার। যে ব্র্যান্ডের ফোনই আপনি ব্যবহার করুন না কেন, আর তা সে স্মার্টফোন হোক বা ফিচার – ফ্লাইট মোড থাকে বহাল তবিয়তে। কিন্তু প্রশ্নটা হচ্ছে, ফোনে ফ্লাইট মোড থাকে কেন? স্যুইচ অফ করে দিলেই তো সমস্যা মিটে যায়। ফোনও আসবে না, মেসেজও আসবে না, কোন সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে আপনি অনলাইন আছেন, তা-ও দেখতে পাবে না কেউ। তাহলে আবার ফ্লাইট মোডের দরকারটা কী ছিল? আজকে আমরা আপনাদের জানাব, কেন সব ফোনে একটা ফ্লাইট মোড থাকে। আর জেনে রাখুন, এর সঙ্গে ‘ফ্লাইট’ অর্থাৎ প্লেনেরও সরাসরি যোগ রয়েছে।
1) একটা ফ্লাইটে ওঠার পরক্ষণেই আপনাকে সর্বাগ্রে যে কাজটি করতে বলা হয়, তা হল ফোনটিকে ফ্লাইট মোডে রাখতে। কেন বলা হয়? তার একটাই কারণ। যাতে আমাদের মোবাইলের সিগন্যাল যেন প্লেনের সিগন্যালকে কোনও ভাবেই সমস্যার দিকে ঠেলে না দেয়।
2) এবার প্লেনে আপনি যেই ফোনটাকে ফ্লাইট মোডে পাঠালেন, সঙ্গে সঙ্গে আপনার ফোনে অটোমেটিক্যালি ওয়াইফাই, জিএসএম এবং ব্লুটুথ ডিসেবল হয়ে যায়।
3) একটা প্লেনের জন্য সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় কোনগুলি জানেন? তার ওড়া এবং অবতরণ করার বিষয় দুটি। কারণ, একটা ফ্লাইট টেক-অফ এবং ল্যান্ডিং এই দুই পরিস্থিতিতে সবথেকে বেশি দুর্ঘটনার সম্ভাবনা থাকে। তাই, দুর্ঘটনার সম্ভাবনা এড়াতেই আপনার ফোনটিকে ফ্লাইট মোডে রাখতে বলা হয়।
4) একটা প্লেন যখন টেক অফ বা ল্যান্ড করে, তখন সেটি ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে কানেক্টেড থাকে। আর মোবাইলের সিগন্যাল একটা প্লেনের সংযোগ বা কানেক্টিভিটির বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করতে পারে। অযথা সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। তাই, ফ্লাইটে যাতে কোনও সমস্যার সৃষ্টি না হয়, সেই কারণেই যাত্রীদের ফোন ফ্লাইট মোডে রাখতে বলা হয়। আর প্রত্যেক মোবাইলে একটা ফ্লাইট মোড থাকার কারণও হল এটিই।