
লাগজ়ারি ব্র্যান্ড লুই ভিত্তোঁ ইলেকট্রনিক মার্কেটে পদার্পণ করেছে। নতুন ওয়্যারলেস ইয়ারফোন লঞ্চ করেছে সংস্থাটি। সেই লুই ভিত্তোঁ ইয়ারফোন যেমন আকর্ষণীয় লুকের, তেমনই আবার তাতে কিছু তাক লাগানো ফিচার্স রয়েছে। তবে এই ইয়ারফোন বিশ্ববাসীর নজর কেড়েছে অন্য কারণে। আর তা হল এর দাম। Louis Vuitton Horizon Light Up ইয়ারফোনের দাম শুনলে আপনার চোখ কপালে উঠবে! এটিকে বিশ্বের সবথেকে দামি ইয়ারফোন বলা হচ্ছে, যার দাম 1,660 মার্কিন ডলার বা প্রায় 1.38 লাখ টাকা।
তবে এই ইয়ারফোনটি এখন লঞ্চ হয়নি। চলতি বছরের মার্চ মাসেই চলে এসেছিল ইয়ারফোনটি। সম্প্রতি এই ইয়ারফোনের দাম নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় জোর চর্চা শুরু হয়েছে। পাঁচটি আকর্ষণীয় কালার অপশন রয়েছে এই ইয়ারফোনের- লাল, নীল, ভায়োলেন্ট গ্র্যাডিয়েন্ট, গোল্ডেন, ব্ল্যাক, সিলভার। কার্ভড ডিজ়াইনের এই ইয়ারফোন খুবই হাল্কা। পলিশড্ স্যাফায়ার লেয়ার দেওয়া হয়েছে ব্র্যান্ডের আইকনিক মনোগ্রাম প্যাটার্নের উপরে।
ইয়ারফোনটি যত না আকর্ষণীয়, তার থেকেও বেশি আকর্ষণীয় তার চার্জিং কেস। পলিশড্ স্টেইনলেস স্টিল থেকে ক্রাফ্ট করা হয়েছে চার্জিং কেসটি। সেখানেই বিলাসবহুল ব্র্যান্ড নেম খোদাই করা হয়েছে। ব্ল্যাক গ্লাস লিড রয়েছে, সেখানেই LED লাইট রিং ফিচার করছে, যা কানেক্ট করা রয়েছে মনোগ্রাম প্যাটার্নে এবং কিছু গ্রে টোনও রয়েছে সেখানে। যে কেসটি দেওয়া হয়েছে, তা অনায়াসেই ব্যবহারকারীর ব্যাগ বা পকেটে চলে যেতে পারে এবং তাতে কেসটি অক্ষত অবস্থাতেও থেকে যাবে।
এত দাম দিয়ে একটা ইয়ারফোন কেনা কি যুক্তিসঙ্গত?
1 লাখ 40 হাজার টাকারও বেশি খরচ করে এই ইয়ারফোনে আপনি পেয়ে যাচ্ছেন ব্লুটুথ মাল্টিপয়েন্টের মতো বৈশিষ্ট্য। আর সেই কারণেই এত টাকা খরচ করে ইয়ারফোনটি কেনা এক্কেবারেই যুক্তিসঙ্গত। সবথেকে বড় কথা হল, এর দ্বারা ব্লুটুথ মাল্টিপয়েন্ট থাকার ফলে একই সঙ্গে দুটি ভিন্ন এবং স্বতন্ত্র উৎস থেকে অডিও স্ট্রিম করতে পারেন ব্যবহারকারীরা।
হালফিলের প্রায় ইয়ারফোনের মতো এই লুই ভিত্তোঁ ইয়ারফোনেও রয়েছে অ্যাক্টিভ নয়েজ় ক্যান্সেলেশন, যা এক্কেবারে উচ্চমানের। ইয়ারফোনটি আপনি কানে পরে থাকলে বাইরের আওয়াজ আপনার কানে আসবেই না। একবার চার্জে 28 ঘণ্টার ব্যাটারি লাইফ দিতে পারে এই ইয়ারবাড। শুধুই অডিও মার্কেট নয়, লাগজ়ারি অডিও সেগমেন্টকেই নতুন করে সংজ্ঞায়িত করার সবরকম বৈশিষ্ট্য এই ডিভাইসে রয়েছে।