WhatsApp Without Internet: ইন্টারনেট ছাড়াও হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করা যায়, যদি জানা থাকে এই ট্রিকস

ChatSIM Details: ইন্টারনেট ছাড়াও আপনি ব্যবহার করতে পারেন হোয়াটসঅ্যাপ। জরুরি ভিত্তিতে বা একদিন কিংবা দুই দিনের জন্য নয়। এক বছর, এমনকি সারা জীবনের জন্যই ইন্টারনেট ছাড়া হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করা যায়।

WhatsApp Without Internet: ইন্টারনেট ছাড়াও হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করা যায়, যদি জানা থাকে এই ট্রিকস
প্রতীকী ছবি।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Mar 11, 2022 | 9:53 PM

বিশ্বের সবথেকে জনপ্রিয় মেসেজিং অ্যাপ হল হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp)। এন্ড টু এন্ড এনক্রিপশনের দ্বারা প্রতিটি চ্যাট থেকে শুরু করে ভয়েস/ভিডিয়ো কল পর্যন্ত সুরক্ষিত থাকে এই ইনস্ট্যান্ট মেসেজিং অ্যাপে (Instant Messaging App)। এমনকি হোয়াটসঅ্যাপ নিজেও গ্রাহকের চ্যাট পড়তে পারে না। আর সেই কারণেই সারা বিশ্বে জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে গিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপ। একটা ইন্টারনেট কানেকশন (Internet Connection) থাকলেই হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন গ্রাহকরা। তবে দরকার একটা স্মার্টফোনেরও। তবে ইদানিং বেশ কিছু ফিচার ফোনেও হোয়াটসঅ্যাপ সাপোর্ট করছে।

ভারতে হোয়াটসঅ্যাপের সবথেকে বেশি সংখ্যক গ্রাহক রয়েছে। আর ভারতের বহু সংখ্যক মানুষের কাছে আজও ইন্টারনেট বহু দূর কা বাত! পাশাপাশি অনেক জরুরি সময়ে দেখা যায়, আমাদের মোবাইল ইন্টারনেট ফুরিয়ে গিয়েছে। এদিকে সেই সময় একটা হোয়াটসঅ্যাপে একটা মেসেজ পাঠানোর খুবই দরকার। কিন্তু মোবাইল ডেটা রিচার্জ করানোরও উপায় নেই। কারণ, সেই মোবাইলে আর সামান্যতম ইন্টারনেটটুকুও অবশিষ্ট নেই। এমনই একটা সময়ে হোয়াটসঅ্যাপে কাউকে জরুরি মেসেজ কী ভাবে পাঠানো যায়, সেই উপায়টা জেনে নেওয়া যে খুবই জরুরি।

ইন্টারনেট ছাড়া কি সত্যিই হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ পাঠানো সম্ভব? যদি বলি যায়, অনেকে হয় তো বিশ্বাস করবেন না! এই দুনিয়ায় যে অসম্ভব বলে কিছুই নেই। হোয়াটসঅ্যাপেও তেমনই কোনও ইন্টারনেট কানেকশন ছাড়া আপনি মেসেজ পাঠাতে পারেন। তার জন্য আপনাকে আগেভাগেই একটা অতিরিক্ত বিশেষ সিম কার্ড কিনে রাখতে হবে। আর সেই সিম কার্ড আপনার কাছে একবার চলে এলে হোয়াটসঅ্যাপ মেসেজ পাঠানোর জন্য আপনাকে ইন্টারনেটের ভরসা আর করতে হবে না। সহজেই চালাতে পারবেন মেসেজিং অ্যাপটি।

কী সেই বিশেষ সিম কার্ড

চ্যাটসিম নামক একটি বিশেষ সিম কার্ড রয়েছে, যার দ্বারা আপনি কোনও ইন্টারনেট কানেকশন ছাড়াই হোয়াটসঅ্যাপ করতে পারবেন। এই সিম কার্ড ক্রয় করাটাও খুবই সহজ কাজ। যে কোনও ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মে আপনি পেয়ে যেতে পারে একটি চ্যাটসিম। আবার আপনি চাইলে চ্যাটসিম-এর অফিসিয়াল ওয়েবসাইট থেকেও অর্ডার দিতে পারেন এই বিশেষ সিম কার্ড।

দাম কত হতে পারে?

একটা চ্যাটসিম আপনি ক্রয় করে ব্যবহার করতে পারেন এক বছরের জন্য। পরবর্তীতে আপনাকে তা আবার রিনিউ করে নিতে হবে। হ্যাঁ, পুনরায় কেনার প্রয়োজন হবে না। পুরনো চ্যাট সিম রিনিউ করে নিলেই তা আবার পরবর্তী বছরের জন্য ব্যবহার উপযোগী হয়ে উঠবে। এই মুহূর্তে একটা চ্যাটসিমের দাম ১,৫০০ টাকা থেকে শুরু করে ২,০০০ টাকার মধ্যে। বিভিন্ন সাইটে এর দাম বিভিন্ন। তবে বেশির ভাগ ই-কমার্স প্ল্যাটফর্মেই ১,৭৯৯ টাকা বা ১,৯৯৯ টাকায় বিক্রি করা হয় একটা চ্যাটসিম। আর প্রতি বছর মাত্র ৯৫০ টাকা খরচ করে আপনি রিনিউ করে নিতে পারেন আপনার চ্যাটসিমটি।

কী কী ফিচার্স রয়েছে এই সিম কার্ডের?

১) কোনও ওয়াই-ফাই বা ডেটা প্যাক ব্যবহার না করে ভারত-সহ বিশ্বের মোট ১৫০টি দেশে ব্যবহার করা যেতে পারে চ্যাটসিম।

২) শুধু হোয়াটসঅ্যাপই নয়। ফেসবুক মেসেঞ্জার থেকে শুরু করে টেলিগ্রাম, হাইক, উইচ্যাট-সহ আরও গুচ্ছের মেসেজিং অ্যাপ ব্যবহার করা যেতে পারে এই চ্যাটসিমের সাহায্যে।

৩) এক বছরের ভ্যালিডিটি পিরিওড পর্যন্ত যে কোনও মেসেজিং প্ল্যাটফর্ম থেকে আনলিমিটেড চ্যাট করা সম্ভব।

৪) ফ্রি রোমিং, ৯৫ শতাংশ জিপিআরএস সেভিং এবং বিশ্বের ১৫০টি দেশের ৩জি ও ৪জি/এলটিই নেটওয়ার্ক কভারেজ দিতে পারে।

আরও পড়ুন: হোয়াটসঅ্যাপে একটা মেসেজ এবার একবারই ফরোয়ার্ড করা যাবে, ভুয়ো খবরের রমরমা রুখতে পদক্ষেপ

আরও পড়ুন: আপনার নামে বাজারে ক’টা সিম কার্ড তোলা হয়েছে? জালিয়াতির সময়ে সতর্ক থাকতে এখনই জেনে নিন

আরও পড়ুন: স্মার্টফোন কিনলেই ২,৪০০ টাকা ছাড়, ৩১ মার্চ পর্যন্ত ভোডাফোন আইডিয়ার বিশেষ অফার!