TikTok Blackout Challenge: একের পর এক কিশোরের মৃত্যু, টিকটকের ‘ব্ল্যাকআউট চ্যালেঞ্জ’ যেন সাক্ষাৎ মরণফাঁদ! বিষয়টা ঠিক কী?

Viral Challenge Killing Kids: অদ্ভুত এক চ্যালেঞ্জ। অ্যাক্সেপ্ট করলেই মৃত্যু। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-সহ বিশ্বের আরও বেশ কিছু দেশে ইতিমধ্যেই TikTok Blackout Challenge-এর কারণে অনেক কিশোর-কিশোরীর মৃত্যু হয়েছে। কী এই চ্যালেঞ্জ, জেনে নিন।

TikTok Blackout Challenge: একের পর এক কিশোরের মৃত্যু, টিকটকের ব্ল্যাকআউট চ্যালেঞ্জ যেন সাক্ষাৎ মরণফাঁদ! বিষয়টা ঠিক কী?
টিকটকের ব্ল্যাকআউট চ্যালেঞ্জ যেন মরণফাঁদ!

| Edited By: সায়ন্তন মুখোপাধ্যায়

Jul 10, 2022 | 6:26 PM

শর্ট ভিডিয়ো মেকিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই জনপ্রিয় হয় টিকটক (TikTok)। ইনস্টাগ্রামের অনেক আগেই রিল ভিডিয়োর মতো চমৎকার ফিচার নিয়ে আসে প্ল্যাটফর্মটি। প্রতিদিন এক প্রকার নিয়ম করে ভাইরাল হয় টিকটক ভিডিয়ো। কিন্তু জনপ্রিয় সেই প্ল্যাটফর্মই যে 15 বছরের কম বয়সী কিশোরদের মৃত্যুর কারণ হবে, তা আর কে জানত। চিনা এই শর্ট ভিডিয়ো প্রোডাকশন প্ল্যাটফর্মের ‘ব্ল্যাকআউট চ্যালেঞ্জ’ (Blackout Challenge) নিয়ে তাই এখন বিস্তর বিতর্ক দানা বেঁধেছে। কী এই ‘ব্ল্যাকআউট চ্যালেঞ্জ’, তার কারণে কীভাবেই বা কিশোররা প্রাণ হারাচ্ছে, এমনই সব তথ্য এক নজরে জেনে নেওয়া যাক।

সংবাদমাধ্যম দ্য ভার্জ-এর একটি রিপোর্ট অনুযায়ী, টিকটক ব্যবহারকারীদের “নিজেদের বেল্ট, টাই বা অনুরূপ কিছু দিয়ে শ্বাসরোধ করতে উৎসাহিত করা হয়, যতক্ষণ না তারা এই চ্যালেঞ্জে উত্তীর্ণ হতে পারছে।” অভিভাবকরা দাবি করেছেন, টিকটকের ভয়ঙ্কর ‘ব্ল্যাকআউট চ্যালেঞ্জ’ অ্যাক্সেপ্ট করে তাঁদের সন্তানরা শ্বাসরোধে মারা গিয়েছে। এ নিয়ে টিকটকের বিরুদ্ধে গুচ্ছের মামলাও দায়ের করা হয়েছে। খুব সম্প্রতি দুটি মামলা দায়ের করেছেন আট বছরের লালানি ওয়াল্টন এবং নয় বছরের আরিয়ানি আরোয়োর অভিভাবকেরা।

একাধিক সূত্র থেকে জানা গিয়েছে, 2021 সালের জানুয়ারি মাসে ইতালিতে 10 বছর বয়সী একজনের, মার্চ মাসে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের কলোরাডেতে 12 বছর বয়সী এক কিশোরের, জুন মাসে অস্ট্রেলিয়ার 14 বছরের এক কিশোরের, জুলাই মাসে ওকলাহোমায় 12 বছরের আর এক কিশোরের, ডিসেম্বরে পেনসিলভেনিয়ায় 10 বছরের আর এক কিশোরের মৃত্যু হয়। এই সব ক্ষেত্রেই মৃত্যুর কারণ টিকটকের ব্ল্যাকআউট চ্যালেঞ্জ।

পেনসিলভেনিয়ার 10 বছরের কিশোর নাইলা অ্যান্ডারসনের মা তাওয়াইনা অ্যান্ডারসন, তাঁর সন্তানের মৃত্যুর পর ইতিমধ্যে টিকটকের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেছেন। তাঁর দাবি, “এই চ্যালেঞ্জ বাচ্চাদের বিপজ্জনক কাজের দিকে ঠেলে দেয়।” কিছু ক্ষেত্রে আবার এমনও দেখা গিয়েছে যে, কিশোররা ব্ল্যাকআউট চ্যালেঞ্জ না খুঁজে ফিল্ম দেখেই ভয়ঙ্কর বিপদের সম্মুখীন হয়েছে।

এই চ্যালেঞ্জ একটা সময়ে টিকটকের দৌলতে খুবই ভাইরাল হয়। প্রথমত, অভিযোগ উঠেছিল কেন এই চ্যালেঞ্জ এত জনপ্রিয় একটা প্ল্যাটফর্ম বাচ্চাদের অ্যাক্সেপ্ট করতে উৎসাহিত করছিল। দ্বিতীয়ত, টিকটক অ্যাপের মেইন স্ক্রিনে এক্কেবারে সকলের সামনে ‘ফর ইউ ট্যাবে’ রাখার অভিযোগ উঠতেও বিতর্ক বেড়ে দ্বিগুণ হয়ে গিয়েছিল।

এ বিষয়ে টিকটকের এক মুখপাত্র বলছিলেন, এই অস্থির চ্যালেঞ্জ কখনই টিকটকের ছিল না। তাঁর কথায়, অন্য জায়গা থেকে শুনে ব্যবহারকারীরা এই চ্যালেঞ্জে অংশ নিচ্ছিল এবং টিকটকে তার ভিডিয়ো শেয়ার করছিল। তিনি আরও যোগ করে বললেন, এমন কোনও ফিচার বা চ্যালেঞ্জ টিকটক নিজে থেকে নিয়ে আসে না, প্রচার করার কোনও প্রশ্নই নেই।

টিকটকের ওই মুখপাত্র আরও বললেন, “আমরা ব্যবহারকারীর নিরাপত্তার প্রতিশ্রুতিদানে সর্বদা মনোযোগী। এমন কোনও বিষয় আমাদের প্ল্যাটফর্মে আবিষ্কৃত হলে যত দ্রুত সম্ভব আমরা সেটিকে সরিয়ে ফেলব। যাঁদের পরিবারে এমন বিরাট ক্ষতি হয়ে গিয়েছে, আমাদের হৃদয় পড়ে রয়েছে তাঁদের সঙ্গে।”