পুরনো যে কোনও আবিষ্কারের উদঘাটন করতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা এমন অনেক কিছুর হদিশ পান, যা হয়তো তাদেরও কল্পনার বাইরে। মানুষ ছাড়াও হাজার হাজার বছর ধরে এই পৃথিবীতে বিভিন্ন ধরনের প্রাণীর বসবাস। তারমধ্যে অনেক প্রাণী এখন বিলুপ্ত হয়ে গেলেও কিছু এখনও বিদ্যমান। পৃথিবীতে এমন অনেক জায়গা আছে, যেখান থেকে বিলুপ্তপ্রায় প্রাণীদের জীবাশ্ম পাওয়া যায়। শুধু প্রাণী নয়, হাজার হাজার বছর আগে পৃথিবীতে বসবাসকারী মানুষের দেহাবশেষও প্রায়শই বিভিন্ন জায়গায় পাওয়া যায়। 89 বছর আগে জার্মানিতে একই ধরনের এক আবিষ্কার হয়েছিল। যেখানে ভূতাত্ত্বিকরা 9 হাজার বছরের পুরনো একটি সমাধি খুঁজে পেয়েছিলেন। এবার আপনার মনে প্রশ্ন আসতেই পারে, কয়েক বছর আগে পাওয়া সমাধিকে নিয়ে হঠাৎ এখন কেন কাটা ছেঁড়া চলছে। আদতে যেদিন থেকে এই সমাধির খোঁজ বিজ্ঞানীরা পান, তবে থেকেই এই সমাধির রহস্য উদঘাটনে ব্যস্ত বিজ্ঞানীরা। এখন এই রহস্য উন্মোচিত হয়েছে।
কবর থেকে বেরিয়ে এল…
লাইভ সায়েন্স (Live Science) ওয়েবসাইটের রিপোর্ট অনুযায়ী, 1934 সালে, একজন শ্রমিক পূর্ব জার্মানির ব্যাড ডুরেনবার্গের বাগানে একটি কবর খুঁজে পান। সেই কবরে একটি প্রাপ্তবয়স্ক মহিলা এবং একটি শিশুর দেহাবশেষ ছিল। গবেষণা করতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা দেখেন, এই সমাধিটি প্রায় 9,000 বছরের পুরনো। বিজ্ঞানীরা এই বিষয়ে জানতে পেরেছিলেন, কিন্তু মহিলা এবং শিশুর মধ্যে সম্পর্কটি রহস্যই থেকে গিয়েছে। তখন বিশ্বাস করা হয়েছিল যে, কবরে থাকা দু’জন মা ও ছেলে। যাদের একসঙ্গে কবর দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু এখন এই কবর আবিষ্কারের 89 বছর পরে, বিজ্ঞানীরা তাদের সত্যতা জানতে পেরেছেন।
নারী ও শিশুর মধ্যে কী সম্পর্ক ছিল?
একটি জেনেটিক বিশ্লেষণে দেখা গিয়েছে যে, মহিলা এবং শিশুর মধ্যে সম্পর্ক ছিল। এমনকি তা একটি দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্ক। রিপোর্ট অনুযায়ী, শিশুটি ছিল মহিলার চতুর্থ বা পঞ্চম প্রজন্মের সন্তান। গবেষকরা দাবি করেছেন যে, শিশুটিকে কয়েক দশক পরে তার দিদার সঙ্গে কবর দেওয়া হয়। গবেষণা করার পরে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, কবরে থাকা মহিলাটি কোনও জাদুকর হতে পারে।