Animals With 1306 Legs: ১৩০৬টি পা! অদ্ভুত এক প্রাণীর হদিশ পাওয়া গিয়েছে সুদূর অস্ট্রেলয়ার খনিতে

TV9 Bangla Digital | Edited By: Sohini chakrabarty

Dec 21, 2021 | 10:19 PM

অস্ট্রেলিয়ার ওই খনিতে সোনার সন্ধান করতে গিয়ে আবিষ্কার হয়েছে এই অদ্ভুত প্রাণী। এই প্রাণীকে বলা হচ্ছে Eumillipes persephone। মাটির ভিতর প্রায় ৬০০ মিটার গভীরতায় বেঁচে থাকতে পারে এরা। পুরুষদের তুলনায় মহিলা প্রজাতির পায়ের সংখ্যা বেশি হয়।

Animals With 1306 Legs: ১৩০৬টি পা! অদ্ভুত এক প্রাণীর হদিশ পাওয়া গিয়েছে সুদূর অস্ট্রেলয়ার খনিতে
ছবি সৌজন্যে- Nerdist

Follow Us

অস্ট্রেলিয়ার খনিতে চলছিল সোনার খোঁজ। আর তা সন্ধান করতে গিয়ে বিজ্ঞানীরা যা আবিষ্কার করেছেন যে তাঁদের নিজেদেরই চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার জোগাড়। একটি অদ্ভুত প্রাণীর হদিশ পাওয়া গিয়েছে যার রয়েছে ১৩০৬টি পা! আঁতকে উঠলেন? অবিশ্বাস্য মনে হলেও বাস্তবে সত্যিই এমন প্রাণীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার ওই খনিতে সোনার খোঁজে অনেক গভীর পর্যন্ত খনন কার্য চালানো হয়েছিল। আর তখনই এমন আজব প্রাণীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে। এর আগে এত সংখ্যক পা-যুক্ত কোনও প্রাণীর আবিষ্কার হয়নি। তাই বিজ্ঞানীরা এই আবিষ্কারকে বলছেন, ‘বিবর্তনের বিস্ময়’।

এই প্রাণী আকার-আকৃতিতে অনেকটা সুতোর মতো ফ্যাকাশে রঙের এবং বহুপদ বিশিষ্ট। বিজ্ঞানীরা বলছেন আদতে এই প্রাণী কেন্নো প্রজাতির। কিন্তু সাধারণত কেন্নোর বা এই মিলিপেডসের ১০০ থেকে ২০০টি পা থাকে। এর থেকে একটু বেশি সংখ্যক পা থাকে সেন্টিপেডসদের। এদের ক্ষেত্রে ৩৮২টি পর্যন্ত পায়ের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। সেন্টিপেডসদের ক্ষেত্রে শরীরে একটি সেগমেন্ট ভাগে একজোড়া পা থাকে। আর মিলিপেডসদের ক্ষেত্রে এক একটি সেগমেন্টে থাকে দু’জোড়া পা। কিন্তু এত বেশি সংখ্যক পা-যুক্ত মিলিপেডস এর আগে খুঁজে পাননি বিজ্ঞানীরা।

যে মিলিপেডসের পায়ের সংখ্যা ১৩০৬টি সেই প্রাণীটি ৩-১/২ ইঞ্চি অর্থাৎ ৯৫ মিলিমিটার লম্বা এবং এক ইঞ্চির চারশ ভাগের একভাগ চওড়া, এক্ষেত্রে ০.৯৫ মিলিমিটার। এছাড়াও এই প্রাণীর গঠনে রয়েছে শঙ্কু আকৃতির মাথা, চঞ্চুর মতো মুখ এবং একটি লার্জ অ্যান্টেনা। বিজ্ঞানীদের অনুমান, এই অ্যান্টেনা অংশই এই মিলিপেডসের একমাত্র সংবেদনশীল বার্তা গ্রহণের পথ, কারণ এই প্রাণীর চোখ নেই। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মিলিপেড কথার অর্থাৎ হাজার পা। অথচ এর আগে যত মিলিপেডসের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে তাদের কারও ক্ষেত্রেই হাজার পা ছিল না। এর প্রথম ১৩০৬টি পা-যুক্ত কোনও প্রাণীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।

‘সায়েন্টিফিক রিপোর্টস’ নামের জার্নালে এই আবিষ্কার সংক্রান্ত প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। এই গবেষণার পুরোধা ছিলেন পল মারেক (Virginia Tech entomologist)। শোনা গিয়েছে, অস্ট্রেলিয়ার ওই সোনার খনি থেকে নাকি মোট চারটি মিলিপেডস উদ্ধার হয়েছে। তার মধ্যে একটির ক্ষেত্রে ১৩০৬টি পায়ের সন্ধান পেয়েছেন বৈজ্ঞানিকরা। এর আগে একটি ক্যালিফোর্নিয়া মিলিপেডস প্রজাতির খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল, যাকে বলা হয়েছিল Illacme plenipes। সেক্ষেত্রে ৭৫০ পায়ের হদিশ মিলেছিল।

পশ্চিম অস্ট্রেলিয়ার ‘গোল্ডফিল্ডস-এসপের‌্যান্স রিজিয়ন’- এ এই বহু সংখ্যক পা-যুক্ত মিলিপেডসের খোঁজ পাওয়া গিয়েছে। মোট চারটি প্রাণীই মৃত অবস্থায় উদ্ধার হয়েছে। এদের মধ্যে একটিতেই কেবলমাত্র ১৩০৬টি পা রয়েছে। বাকি তিনটি প্রাণীতে এত সংখ্যক পা দেখা যায়নি। যে প্রাণীর ক্ষেত্রে এতগুলো পা দেখা গিয়েছে সেটি মহিলা প্রজাতির বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। আর একটি মহিলা প্রজাতির ক্ষেত্রে ৯৯৮টি পা লক্ষ্য করা গিয়েছে। বাকি দুই পুরুষ প্রাণীর ক্ষেত্রে ৮১৮টি এবং ৭৭৮টি পা লক্ষ্য করা গিয়েছে বলে জানা গিয়েছে। এছাড়াও শোনা গিয়েছে, এই চারটি প্রাণী ছাড়াও নাকি আরও চারটি প্রাণীর সন্ধান পাওয়া গিয়েছে অস্ট্রেলয়ার ওই সোনার খনিতে।

অস্ট্রেলিয়ার ওই খনিতে সোনার সন্ধান করতে গিয়ে আবিষ্কার হয়েছে এই অদ্ভুত প্রাণী। এই প্রাণীকে বলা হচ্ছে Eumillipes persephone। মাটির ভিতর প্রায় ৬০০ মিটার গভীরতায় বেঁচে থাকতে পারে এরা। পুরুষদের তুলনায় মহিলা প্রজাতির পায়ের সংখ্যা বেশি হয়।

আরও পড়ুন- James Webb Telescope: শূন্য থেকে শুরু! কী ভাবে ‘ওয়েব’ আমাদের মহাবিশ্বের প্রথম ছায়াপথে নিয়ে যাবে?

Next Article