NASA News: এক বিপদ থেকে রেহাই পেতে না পেতেই পৃথিবীর উপর নেমে আসছে আরও একটি বিপদ। এবার আরও একটি বড় বিপদের আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞানীরা। মার্কিন মহাকাশ সংস্থা নাসা পৃথিবীর উপর নেমে আসা আসন্ন বিপদকে কেন্দ্র করে সতর্কতা জারি করছে। পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে বিরাট তিনটি গ্রহাণু। নাসা এই গ্রহাণুগুলির গতিপথ পর্যবেক্ষণ কছে। তাদের ভৌত ও রাসায়নিক গঠন জেনে বিজ্ঞানীরা জানতে পেরেছেন যে, সৌরজগতে সূর্যকে প্রদক্ষিণকারী অন্যান্য গ্রহগুলি কীভাবে তৈরি হয়। কারণ গ্রহাণুগুলিও গ্রহগুলির মতোই সূর্যকে প্রদক্ষিণ করছে। সেগুলি হঠাৎই নিজেদের কক্ষপথ থেকে বেরিয়ে এসেছে। আর পৃথিবীর কাছাকাছি থাকায়, সেগুলি পৃথিবীর দিকেই ধেয়ে আসছে। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, হাতে আর বেশি সময় নেই। 4 জুন পৃথিবীতে আছড়ে পড়তে পারে। তবে কি এবার পৃথিবীর ধ্বংস নিশ্চিত?
কী বিপদ নেমে আসতে পারে পৃথিবীতে?
গ্রহাণুটি পৃথিবীর উপর আছড়ে পড়লে পৃথিবীতে যে কী বিপদ নেমে আসবে, তা আর বলার অপেক্ষা থাকে না। গ্রহাণুর মাধ্যাকর্ষণ শক্তি যে কোনও গ্রহের মতোই। বড় গ্রহাণু হলে তার মাধ্যাকর্ষণ আরও বেশি হয়। পৃথিবীর দিকে ৩টি গ্রহাণু আসার সতর্কতা জারি করেছে নাসা। নাসার জেট প্রপালশন ল্যাবরেটরি এই সতর্কতা জারি করেছে। বিজ্ঞানীদের মতে, 4 জুন, গ্রহাণু 2023 HO18 পৃথিবীর কাছাকাছি আসতে চলেছে। এর আয়তন 96 ফুট। এই গ্রহাণুটি 467,000 কিলোমিটার দূরে রয়েছে। কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই পৃথিবীর অনেক কাছে চলে আসবে। এটি তিনটি গ্রহাণুর মধ্যে সবচেয়ে ছোটো বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা।
আরেকটি গ্রহাণু এই দিনেই পৃথিবীর অনেক কাছ দিয়ে যাবে। এর নাম 2023 JR2। এর আকার 120 ফুট। সূর্যকে প্রদক্ষিণ করতে করতে এই গ্রহাণুটি পৃথিবীর কাছাকাছি চলে এসেছে। বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, এটির গতি এত বেশি যে, মাত্র কয়েক ঘণ্টাতেই 6,510,000 কিলোমিটার কাছে এসে যাবে। এর গতি ঘণ্টায় হাজার হাজার কিলোমিটার। NASA এর মতে, এই গ্রহাণুটি 27287 কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা অর্থাৎ প্রায় 27 হাজার কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে পৃথিবীর কাছাকাছি আসছে। এটি তিনটি গ্রহাণুর মধ্যে বৃহত্তম।
তৃতীয় একটি গ্রহাণুও আগামী 4 জুন পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসবে। এর নাম 2023 JE5। এটি 110 ফুট। পৃথিবী থেকে মাত্র 6,750,000 কিমি কাছ থেকে এটি যাবে। এই তিনটি গ্রহাণুই হাজার গুণ গতিতে পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে। গ্রহাণুটি পৃথিবীর কাছাকাছি আসার জন্য নাসা সতর্কতা জারি করলেও পৃথিবীর সঙ্গে ধাক্কা লাগার কোনও সম্ভাবনা নেই বলেই জানাচ্ছেন মহাকাশবিজ্ঞানীরা।