C-Class Solar Flare On Earth: ভারত মহাসাগরে সম্প্রতি একটি ক্ষুদ্র শর্টওয়েভ রেডিও ব্ল্যাকআউটের ঘটনা ঘটেছে। সদ্য গঠিত একটি সৌরকলঙ্ক বিস্ফোরণের ফলে সেটি একটি M3-ক্লাস সূর্যের আগুনের ফুল্কি নিঃসরণ করে। ঘটনাটি ঘটেছে গত 6 এপ্রিল। ভারত, শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ, চিন, জাপান এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মতো দেশগুলি এই ঘটনায় প্রভাবিত হয়েছে। সোলার সাইকেল 29-এর কারণে সূর্য ধীরে ধীরে হিংস্র হয়ে ওঠে, যা 2025 সালের জুলাই মাসে সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছতে পারে বলে জানা গিয়েছে। সেই কারণেই ততদিন পর্যন্ত সূর্যের যাত্রা কার্যত রুক্ষ হতে চলেছে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। এর পাশাপাশিই সূর্য সম্প্রতি আরও একটি আগুনের ফুলকি বের করেছে, যা পৃথিবীর দিকে আসতে আর খুব একটা দেরি নেই।
মার্কিন ন্যাশনাল ওশিয়ানিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (NOAA)-এর তরফ থেকে বলা হয়েছে, গত রবিবার 9 এপ্রিল সূর্য 19টি C-ক্লাস ফ্লেয়ার তৈরি করেছে। তাদের মধ্যে সবথেকে শক্তিশালী হল C-9.1 সোলার ফ্লেয়ার বা সূর্যের অগ্নি ফুল্কি। M-Class এর থেকে এটি অনেকাংশে শক্তিশালী। ভয়ঙ্কর বিষয়টি হল এই 19টি সোলার ফ্লেয়ারের মধ্যে 18টিই তৈরি হয়েছে একটাই অঞ্চল থেকে, যার নাম AR3272। স্পেস ওয়েদার ডট কমের তরফ থেকে বলা হচ্ছে, এটি আসলে একটি ভারসাম্যহীন বিটা-গামা ফিল্ড। এখান থেকে 95% সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে যে, সোমবার, 10 এপ্রিলই C-ক্লাস সোলার ফ্লেয়ার পৃথিবীতে ধাক্কা দিতে পারে। শুধু তাই নয়। রিপোর্ট অনুযায়ী, 30% M ফ্লেয়ার এবং 5% X ফ্লেয়ারেরও পৃথিবীতে ধাক্কা দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সৌর ক্রিয়াকলাপের প্রভাব
পৃথিবীর ম্যাগনেটোস্ফিয়ার সৌরঝড়ের প্রভাবকে জীবকূল পর্যন্ত পৌঁছতে দেয় না। তবে সামান্য কিছু অংশ পৃথিবীর ভিতরে ঢুকে পড়ে। ব্যাপক ভাবে সক্রিয় এই উপাদানগুলি ম্যাগনেটিক ব্যাঘাত ঘটাতে পারে, যেগুলিকে সৌরচৌম্বকীয় ঝড় বলা হয়। এই ধরনের ঝড় মহাকাশে বড়সড় ঘটনা ঘটাতে পারে, যাকে Auroras বা Northern Lights বলে।
এই সৌর উপাদানগুলি যখন পৃথিবীতে ধাক্কা মারে তখন রেডিও কমিউনিকেশন এবং পাওয়ার গ্রিড ব্যাপক ভাবে প্রভাবিত হয়। বিশেষ করে যখন সেগুলি গ্রহের চৌম্বকীয় ক্ষেত্রে আঘাত করে। এর কারণে ঘণ্টার পর ঘণ্টা পৃথিবীতে রেডিও ব্ল্যাকআউট হতে পারে, পাওয়ারেরও ব্ল্যাকআউট হতে পারে। এমনকি, দিনের বেলাতেও তা ঘটতে পারে। তবে ইলেকট্রিসিটি গ্রিড সমস্যা তখনই হয়, যখন সোলার ফ্লেয়ার বা সূর্যের অগ্নি ফুল্কি অবিশ্বাস্য রকমের বড় হয়।
নাসা কীভাবে এই সৌর ক্রিয়াকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে
সূর্যকে পর্যবেক্ষণ করছে একাধিক স্যাটেলাইট এবং টেলিস্কোপ। তাদের মধ্যে অন্যতম হল, নাসা সোলার ডায়নামিক্স অবজ়ার্ভেটরি (SDO)। এই অবজ়ার্ভেটরি বা SDO বিশাল ইনস্ট্রুমেন্ট বহন করে সূর্যকে পর্যবেক্ষণ করার জন্য। 2010 সাল থেকেই এমনটা করে আসছে নাসা। বিভিন্ন সৌর কার্যকলাপ থেকে ডেটা সংগ্রহ করার জন্য খুব গুরুত্বপূর্ণ তিনটি ইনস্ট্রুমেন্ট ব্যবহার করে এটি।