Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

বন্দে ভারতের থেকে 7 গুণ বেশি স্পিড, 1000 কিমি/ঘণ্টা বেগে ছুটবে এই ট্রেন

China High Speed Train: ঘণ্টায় 1000 কিলোমিটার বেগে চলবে এই ট্রেন। ভাবছেন এমন আবার হয় নাকি? এই অসম্ভবকেই সম্ভব করতে চলেছে দেশটি। এমনকী সেই পরীক্ষাও শুরু হয়ে গিয়েছে। এটিকে বলা হচ্ছে আল্ট্রা হাই-স্পিড ম্যাগনেটিক লেভিটেশন (ম্যাগলেভ) ট্রেন। দীর্ঘ পাইপলাইনের ভেতরে এই ট্রেন চালানো হবে।

বন্দে ভারতের থেকে 7 গুণ বেশি স্পিড, 1000 কিমি/ঘণ্টা বেগে ছুটবে এই ট্রেন
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Dec 30, 2023 | 9:05 PM

মহাকাশে ফসল ফলানো থেকে, বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত গতির ট্রেন বানানো, সব কিছুতেই চিন নিজের নাম তালিকার প্রথমে ছাপতে চাইছে। চিন এখন সুপারসনিক গতিতে চলবে এমন ট্রেন চালানোর প্রস্তুতি নিচ্ছে। ঘণ্টায় 1000 কিলোমিটার বেগে চলবে এই ট্রেন। ভাবছেন এমন আবার হয় নাকি? এই অসম্ভবকেই সম্ভব করতে চলেছে দেশটি। এমনকী সেই পরীক্ষাও শুরু হয়ে গিয়েছে। এটিকে বলা হচ্ছে আল্ট্রা হাই-স্পিড ম্যাগনেটিক লেভিটেশন (ম্যাগলেভ) ট্রেন। দীর্ঘ পাইপলাইনের ভেতরে এই ট্রেন চালানো হবে। পৃথিবীর দ্রুততম ট্রেন নিমার্নের আতুরঘর বলা হয় চিনকে। আর সেই তকমা জারি রাখতেই এই নতুন ট্রেন নিয়ে গবেষণা শুরু।

যাত্রীদের জন্যও খুলে দেওয়া হবে এই ট্রেন

চায়না অ্যারোস্পেস সায়েন্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি কর্পোরেশন লিমিটেড (সিএএসআইসি) শানসিতে অবস্থিত পরীক্ষা অঞ্চলে এই ম্যাগলেভ ট্রেনটি পরীক্ষা করেছে। এখানে দুই কিলোমিটার দীর্ঘ পাইপলাইনের ভেতরে ভ্যাকুয়াম তৈরি করে ট্রেন চালানো হয়েছে। এই দ্রুততম ট্রেনটি হ্যাংজু এবং সাংহাইয়ের মধ্যে চালানো হবে বলেই জানা গিয়েছে। প্রথমে এটিকে এমনি চালানো হবে। তারপরে সব কিছু ঠিক থাকলে সেটি যাত্রীদের জন্যও খুলে দেওয়া হবে।

উত্তর চিনের শানসি প্রদেশের ডাটং শহরে এই ট্রেনের জন্য একটি সুপারকন্ডাক্টিং ম্যাগলেভ টেস্ট লাইন তৈরি করা হয়েছে। CASIC বিজ্ঞানী লি পিং একটি চিনা সংবাদমাধ্যমকে বলেন, “এখন আমরা আমরা প্রাথমিক পরীক্ষা করছি। যেখানে আমরা সফলতাও পেয়েছি। বর্তমানে এর ডিজাইন, গতি, নেভিগেশন ইত্যাদি সফলভাবে পরীক্ষা করা হচ্ছে। তবে সব কিছু ঠিক থাকবে বলেই আশা করা হচ্ছে। এই ট্রেনটি একবার সমস্ত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে গেলে, প্রথমে এটিকে হ্যাংজু এবং সাংহাইয়ের মধ্যে চালানোর চেষ্টা করা হবে। তবে এটি অনেক কঠোর পরিশ্রম, সময় এবং অর্থ দিয়ে তৈরি করা হয়েছে। মাত্র কয়েক ঘণ্টায় চিনের এক কোণ থেকে অন্য কোণে চলে যাবে এই ট্রেন। বর্তমানে 623 কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা গতিতে পরীক্ষা করা হয়েছে এই ট্রেনটিকে। ”

ঘণ্টায় 1000 কিলোমিটার বেগ…

CASIC বিজ্ঞানী লি পিং জানান, ভ্যাকুয়াম তৈরি না করেই এই গতি পাওয়া গিয়েছে। ভ্যাকুয়াম তৈরির পর এর গতিবেগ হবে ঘণ্টায় 1000 কিলোমিটার। বর্তমানে চিনে দ্রুতগতির বুলেট ট্রেনের সর্বোচ্চ গতি ঘণ্টায় 350 কিলোমিটার। ফলে সেই দেশ নিজের তৈরি রেকর্ড যে নিজেই ভাঙতে চলেছে, তা বেশ স্পষ্টই বোঝা যাচ্ছে।