Cloud Shape In Sky: ঝকঝকে নীল আকাশ। তারই মধ্যে ভেসে বেড়াচ্ছে সাদা মেঘের সম্ভার। বিশেষ করে শরৎকালে, পুজোর মাসে। শৈশবে কোনও মেঘ দেখতে হাতির মতো, কোনওটা আবার ঘোড়া, পাখির মতো লাগত। এমন অনেকের সঙ্গেই হত। আদৌ কি তা সেই আকারের হত, যা আপনি দেখতেন? আপনার পাশের জনকেও বোঝানোর চেষ্টা করতেন। কখনও কখনও সেই তেমনটাই দেখত, কখনও আবার সে সম্পূর্ণ আলাদা কিছু দেখত। কিন্তু কখনও কি মনে এই প্রশ্ন এসেছে যে, কেন এমন হয়? কীভাবে আকাশে জমে থাকা মেঘগুলি বিভিন্ন আকার ধারণ করে? এর পিছনেও রয়েছে বিজ্ঞান। চলুন জেনে নেওয়া যাক কেন এমন হয়?
মেঘ কীভাবে আকৃতি পরিবর্তন করে?
মেঘের আকার পরিবর্তন করার আগে, আপনার জানা উচিত কীভাবে এতগুলি মেঘ আকাশে তৈরি হয়। জল সবসময় বাতাসে বাষ্পের আকারে থাকে, যখন এই বাষ্প কঠিনে রূপান্তরিত হয়, তখন এর কণাগুলি ছড়িয়ে যায়। এই কারণে তারা মেঘের মতো দেখায়। এবার আসা যাক মেঘের আকৃতি কীভাবে তৈরি হয়, সেই প্রসঙ্গে। বিজ্ঞানীদের মতে, এর পিছনে তাপমাত্রা, ঘনত্ব এবং গতি রয়েছে। এগুলোর কারণেই মেঘের আকৃতি তৈরি হয়।
তবে কি মেঘ অনেক ধরনের হয়?
মেঘেরও ধরন আছে। কিউমুলাস মেঘ তাদের মধ্যে প্রথম নম্বরে রয়েছে। এই মেঘগুলি ‘তুলোর মতো’, কিছুটা ফুলে থাকে। কিউমুলাস মেঘ থেকে বৃষ্টি হয় না বললেই চলে। এই মেঘগুলো বায়ুমণ্ডলে কম তৈরি হয়। ফলে আকাশেও একে খুব একটা খুঁজে পাওয়া যায় না। কেউ কেউ এই মেঘগুলোকে তুলো মেঘও বলে। তারপরেই আসে অল্টো কিউমুলাস। এই মেঘ গোলাকার পশম গুচ্ছের মতো আকৃতিবিশিষ্ট, ধূসর রঙের। তালিকার তিন নম্বরে আসে অল্টোস্ট্রাটাস। এই মেঘের রং ধূসর বা নীল। চাদরের মতো এই মেঘ সমগ্র আকাশ জুড়ে ভেসে থাকে।
আকারগুলো বিভিন্ন রকম মনে হয় কেন?
বিজ্ঞানীদের মতে, এমন হয় দেখার ভঙ্গির পার্থক্যের কারণে। অর্থাৎ প্রতিটা মানুষের দেখার দৃষ্টিভঙ্গি আলাদা। এটিকে অপটিক্যাল ইলিউশন বলে। আপনি দেখছেন, আপনার মতো করে। সেটা অন্য কেউ নাও দেখতে পারে। বিজ্ঞানীরা আরও বলছেন, মেঘ আকার আকৃতি পাল্টায়, তা সত্য। কিন্তু মানুষ সেটাকে কীভাবে দেখছে, তা বিজ্ঞান দিয়ে ব্যাখ্যা করা যাবে না।