Diamond Rain: জল নয়, এই দুই গ্রহে হিরের বৃষ্টিপাত হয়ে চলেছে অনবরত, কোথায় জানেন?

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়ন্তন মুখোপাধ্যায়

Jul 09, 2022 | 6:31 PM

পৃথিবীতে যেখানে বৃষ্টিপাতের সময় জল পড়ে, ঠিক সেখানেই এমন দুটি গ্রহ রয়েছে যেখানে বৃষ্টিপাত হিসেবে হিরে পড়ে। জানেন, সেই গ্রহ দুটির নাম কি?

Diamond Rain: জল নয়, এই দুই গ্রহে হিরের বৃষ্টিপাত হয়ে চলেছে অনবরত, কোথায় জানেন?
প্রতীকী ছবি।

Follow Us

গ্রীষ্মের প্রচণ্ড দাবদাহ থেকে আমাদের বাঁচাতে বর্ষা। বিগত কিছু মাসে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে যে হারে তাপপ্রবাহের মাত্রা দিয়েছিল, তার থেকে একটু হলেও স্বস্তির স্বাদ দিয়েছে বহু প্রতিক্ষিত বর্ষা। তাপমাত্রা কমেছে উল্লেখযোগ্য ভাবে। তবে পৃথিবীতে বৃষ্টির জল যেখানে হাইড্রোজেন এবং অক্সিজেনের ফোঁটা দিয়ে তৈরি, ঠিক সেখানে এমন অনেক গ্রহ আছে যেখানে এই ফোঁটা অনেক বেশি ভারী এবং ঘন। সেগুলি জলের পরিবর্তে কার্বন দিয়ে তৈরি। এই গ্রহগুলির তাপমাত্রা এবং চাপের অবস্থা এতটাই চরম যে, কার্বন পরমাণুগুলি তাদের বায়ুমণ্ডলে বৃষ্টি রূপে জলের পরিবর্তে হিরের (Diamond Rain) চূর্ণ হিসেবে পড়ে। অর্থাৎ আমাদের গ্রহে যেখানে বৃষ্টিপাতে জল পড়ছে, দুটি গ্রহে হিরের বৃষ্টিপাত হয়। এই গ্রহগুলি পৃথিবী থেকে খুব একটা দূরে নয় এবং আমাদের সৌরজগতের বাইরে স্তরও তৈরি করে। আর সেই গ্রহ দুটি হল, ইউরেনাস ও নেপচুন (Uranus And Neptune)।

এই দুটি জগৎ তাদের নীল-ধোঁয়াটে চেহারার জন্য আইকনিক, চোখের প্রশান্তিদায়ক রঙের চেয়েও স্বস্তিদায়ক। তবে এই দুটি গ্রহের এমন অবস্থা রয়েছে, যা কার্বন পরমাণুকে এত উচ্চ মাত্রায় শক্ত করতে পারে যে তারা শেষ পর্যন্ত হিরে গঠন করে। দুর্ভাগ্যবশত, আপনি হিরে সংগ্রহ করার জন্য এই গ্রহগুলিতে গিয়ে আর বেঁচে ফিরতে পারবেন না।

হিরের বৃষ্টিপাত কেন হয় এই দুটি গ্রহে?

ইউরেনাস এবং নেপচুন গ্রহ দুটিকে তাদের নীল রঙের অনন্য ছায়াগুলির দ্বারা চিহ্নিত করা হয়। যদিও তারা একই রকম দেখালেও বৈশিষ্ট্যগুলিতে খুব আলাদা। গ্রহের এই অনন্য অবস্থার পিছনে মূল কারণটি হল তার নীল রং। আর এই রংটি আসলে মিথেনের ফল, যা কুয়াশা কণাগুলির উপর এত দ্রুত ঘনীভূত হয় যে, এটি এই স্তরের গোড়ায় দক্ষতার সঙ্গে ‘তুষারপাত’ হিসেবে নিম্ন, উষ্ণ স্তরে পড়ে, যেখানে মিথেন বাষ্পীভূত হয় এবং মূল ধোঁয়াশা কণাগুলিকে ছেড়ে দেয়।

নাওমি রো-গার্নি নামের এক জ্যোতির্পদার্থবিজ্ঞানী, নাসার একটি পডকাস্টে বলেছেন যে, মিথেনই এই দুটি গ্রহ নীল হওয়ার মূল কারণ। মিথেনে কার্বন রয়েছে আর সেই কার্বন নিজে থেকেই মিথষ্ক্রিয়া ঘটাতে পারে এবং তারপরে তা বায়ুমণ্ডলের গভীরে প্রচুর চাপের দ্বারাও চূর্ণ হতে পারে।

নাওমি রো-গার্নি আরও যোগ করে বলছেন, “গ্রহের অভ্যন্তরে যখন এটি সত্যিই গরম এবং ঘন হয়, তখনই এই হিরেগুলি তৈরি হয় এবং জমা হয়। তারপরে তারা আরও ভারী হয়ে ওঠে। আর ভারী হওয়ার অর্থই হল যে, তারা বায়ুমণ্ডলে বৃষ্টিপাত করে।” তিনি আরও যোগ করেছেন যে, আমরা পৃথিবীতে সাধারণত যে রকম বৃষ্টি দেখতে পাই, এগুলি সেরকম নয়। তার থেকেও বড় ব্যাপারটি হল, এই হিরের বৃষ্টি আমাদের কাছে অধরাই থেকে যাবে। এর কারণ হিসেবে নাওমি বলছেন, সেখানে উচ্চচাপ থাকার ফলে মানুষ হিসেবে আমরা কখনই যেতে পারব না।

নেপচুন এবং ইউরেনাস হল সৌরজগতের বাইরের দিকের শেষ দুটি গ্রহ। তাদের আকার, ভর এবং বায়ুমণ্ডলীয় কম্পোজিশন-সহ অনেক মিল রয়েছে। তবুও তারা একে অপরের থেকে খুব আলাদা বলে মনে হয়। দৃশ্যমান তরঙ্গদৈর্ঘ্যে নেপচুনের একটি স্বতন্ত্রভাবে নীল রং রয়েছে, ইউরেনাস হল সিয়ানের ফ্যাকাশে ছায়া।

Next Article