Earth: পৃথিবীবের বাইরেও শনি গ্রহের মতো বলয় থাকতে পারে, তবে তা তৈরি হবে মহাকাশের আবর্জনা দিয়ে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের Utah বিশ্ববিদ্যালয়ে রোবোটিক্সের এক অধ্যাপক Jake Abbott জানিয়েছেন, পৃথিবীর নিজস্ব বলয় রয়েছে। The Salt Lake Tribune সংবাদপত্রে এমন মন্তব্য করেছেন ওই অধ্যাপক। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, Utah প্রদেশের সল্ট লেক সিটিতে এই সংবাদপত্র প্রকাশিত হয়।
স্যাটার্ন বা শনি, সৌরমণ্ডলের দ্বিতীয় বৃহত্তম এই গ্রহে রয়েছে আশ্চর্যজনক বলয়। এই গ্রহের চারপাশ জুড়ে রয়েছে এই জটিল বলয়গুলি। বলা হচ্ছে, খুব তাড়াতাড়ি পৃথিবীর চারপাশেও নাকি এমন রিং বা বলয় তৈরি হবে। সম্প্রতি এমনটাই জানিয়েছেন মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের Utah বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকরা। তবে এই বলয় নাকি তৈরি হবে স্পেস ডেব্রিসের সাহায্যে! এমনটাই শোনা গিয়েছে। তবে এর জেরে অবাক হওয়ার কিছু নেই। কারণ বিলুপ্ত উপগ্রহের ক্রমবর্ধমান সংখ্যা এবং বিভিন্ন ধরনের অ্যান্টি-স্যাটেলাইট টেস্ট (সম্প্রতি রাশিয়াও এই জাতীয় পরীক্ষা করেছে)- এইসবের ফলে ক্রমশ স্পেস ডেব্রিস বা মহাকাশে ধ্বংসাবশেষ বা অবশিষ্টাংশের পরিমাণ বাড়ছে।
ইউরোপীয়ান স্পেস এজেন্সি জানিয়েছে বর্তমান পৃথিবীর কক্ষপথের আশপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে প্রায় ১৭০ মিলিয়ন স্পেস জাঙ্কের টুকরো বা অংশবিশেষ। এর মধ্যে বেশিরভাগই ক্ষুদ্র আকৃতির। কিন্তু কয়েকটি আকার, আয়তনে এতটাই বড় যে, যেকোনও ধরনের স্পেস ফ্লাইট বা ময়াহকাশীয় উড়ানের ক্ষেত্রে আতঙ্ক বা সমস্যা তৈরি করতে পারে। বিভিন্ন অরবিটাল মিশন বা কক্ষপথের অভিযানের ক্ষেত্রেও বাধা হয়ে দাঁড়াতে পারে এই সমস্ত স্পেস জাঙ্ক। মূলত এই স্পেস জাঙ্ককে একপ্রকারের দূষণ বলা হয়। গত কয়েক দশকে নাটকীয় ভাবে মহাকাশে এই আবর্জনার বেড়ে গিয়েছে, প্রায় ৭৫০০ মেট্রিক টন। পরিসংখ্যান সত্যিই চমকে যাওয়ার মতো।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের Utah বিশ্ববিদ্যালয়ে রোবোটিক্সের এক অধ্যাপক Jake Abbott জানিয়েছেন, পৃথিবীর নিজস্ব বলয় রয়েছে। The Salt Lake Tribune সংবাদপত্রে এমন মন্তব্য করেছেন ওই অধ্যাপক। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, Utah প্রদেশের সল্ট লেক সিটিতে এই সংবাদপত্র প্রকাশিত হয়। অধ্যাপক Jake Abbott এও বলেছেন যে,পৃথিবীর চারপাশের ওই বলয় তৈরি হয়েছে মহাকাশের আবর্জনা দিয়ে। চুম্বর নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ এবং গবেষণা করছেন এই অধ্যাপক। বর্তমানে তিনি এবং তাঁর দলের ইঞ্জিনিয়াররা এই চুম্বরের সাহায্যে স্পেস জাঙ্ক পরিষ্কারের উপায় খুঁজছেন। তাই নিয়েই চলছে বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা-নিরীক্ষা। অর্থাৎ মহাকাশের চৌম্বকক্ষেত্রকে কাজে লাগিয়েছে স্পেস জাঙ্ক পরিষ্কারের চেষ্টা করা হচ্ছে। গবেষকরা আশাবাদী আগামী দিনে হয়তো এমন কোনও অত্যাধুনিক প্রযুক্তির আবিষ্কার হবে যেখানে রোবটরাই মৃতপ্রায় কোনও কক্ষপথে মহাকাশের আবর্জনা সরিয়ে দেবে। অথবা শারীরিক ভাবে না ছুঁয়েই রোবটারা হয়তো মহাকাশের অন্যত্র সরিয়ে ফেলতে পারবে স্পেস জাঙ্ক। ‘নেচার’ জার্নালে সম্প্রতি এই গবেষণা নিয়ে লেখালিখিও হয়েছে।
আরও পড়ুন- Moon’s Oxygen: চন্দ্রপৃষ্ঠের রেগোলিথে সঞ্চিত যথেষ্ট পরিমাণ অক্সিজেন, কাজে লাগবে ৮ বিলিয়ন মানুষের
আরও পড়ুন- ExoMars: মঙ্গলগ্রহে একসঙ্গে অভিযান চালাবে ইউরোপ ও রাশিয়া, পাঠানো হবে ExoMars রোভার