Cosmic Ribbon of Gas: নক্ষত্রের মৃত্যুতে সৃষ্টি হয়েছে ‘কসমিক রিবন’, অভূতপূর্ব ছবি ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছে নাসা
বাইনারি সিস্টেম অনুসারে যখন, দুটো নক্ষত্র একে অন্যকে প্রদক্ষিণ করে, তখন একটি সাদা বামন নক্ষত্র তার সঙ্গীর থেকে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির মাধ্যমে উপাদান টেনে নেয়।
ইনস্টাগ্রামে সম্প্রতি একটি নতুন ছবি শেয়ার করেছে মার্কিন স্পেস এজেন্সি নাসা। একটি সুপারনোভার অবশিষ্টাংশ বলা হচ্ছে এই ছবিতে থাকা বিষয়বস্তুকে। জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা বলছেন, কোনও নক্ষত্রের লাইফ সাইকেল অর্থাৎ জীবনক্রম শেষ হলে যে সুবিশাল বিস্ফোরণ হয় তারই প্রভাব দেখা গিয়েছে এই ছবিতে। নক্ষত্রের জীবনকাল শেষ হওয়া কিন্তু জ্যোতির্বিজ্ঞানে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা। নাসা জানিয়েছেন, সম্প্রতি যে ছবি শেয়ার করা হয়েছে তাদের অফিশিয়াল ইনস্টাগ্রাম হ্যান্ডেলে সেখানে যে লালচে আভা যুক্ত গ্যাসীয় উপাদান লক্ষ্য করা গিয়েছে, তা আসলে একটি সাদা বামন নক্ষত্রের মৃত্যুর ফলে হওয়া বিস্ফোরণের জেরে সৃষ্টি হয়েছে।
সাধারণত অবশ্য মহাজাগতিক বস্তু সাদা বামন নক্ষত্র একটি স্থায়ী জিনিস। কিন্তু বাইনারি সিস্টেম অনুসারে যখন, দুটো নক্ষত্র একে অন্যকে প্রদক্ষিণ করে, তখন একটি সাদা বামন নক্ষত্র তার সঙ্গীর থেকে মাধ্যাকর্ষণ শক্তির মাধ্যমে উপাদান টেনে নেয়। তারপর ওই সাদা বামন নক্ষত্র বা white dwarf star- এর বিস্ফোরণ হয়। ছবিতে লক্ষ্যণীয় বিষয়টিও এভাবে উৎপন্ন হয়েছে বলে দৃঢ়বিশ্বাস জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের। এই নক্ষত্রের ক্ষেত্রেও এমনটাই হয়েছে বলে অনুমান করছেন বিজ্ঞানীরা। ছবি শেয়ারের পর ইনস্টাগ্রামে নাসার তরফে লেখা হয়েছে, জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের মতে এই সাদা বামন গ্রহ নিশ্চতভাবে অনুমানের তুলনায় অনেকটাই বড় (massive than expected) ছিল। আর হয়তো সেইজন্য জীবনচক্রের প্রাথমিক পর্যায়েই তার মৃত্যু হয়েছে।
View this post on Instagram
জানা গিয়েছে, এই সাদা বামন নক্ষত্রের নাম DEM L249। এই নক্ষত্রের অবস্থান Large Magellanic Cloud- এর মধ্যে। পৃথিবী থেকে এর দূরত্ব ২ লক্ষ আলোকবর্ষ। নাসার Hubble স্পেস টেলিস্কোপ সবার প্রথমে এই নক্ষত্র খুঁজে বের করেছে। এই সাদা বামন নক্ষত্রের বেঁচে থাকা সঙ্গীদের খোঁজ চালানো হচ্ছে Magellanic Cloud- এর সুপারনোভায়। এই খোঁজ জারি থাকাকালীনই ওই সাদা বামন নক্ষত্রের হদিশ পাওয়া গিয়েছিল। আসলে ইনস্টাগ্রামে নাসার শেয়ার করা ছবিতে গ্যাসীয় উপাদানের কসমিক রিবন দেখা গিয়েছে, যার রঙ লাল। বলা হচ্ছে, titanic stellar explosion- এর ফলে এই কসমিক রিবন তৈরি হয়েছে। একটি অ্যানিমেশনের মাধ্যমে নাসা এও বুঝিয়ে দিয়েছে যে কীভাবে একটি সাদা বামন গ্রহ মাধ্যাকর্ষণ শক্তির মাধ্যমে তার সঙ্গীর থেকে উপকরণ বের করে আনে। এরপর ওই সাদা বাম নক্ষত্রের মধ্যে ভরের আধিক্য ঘটায় ভারসাম্য রাখতে না পেরে তার বিস্ফোরণ হয়। আর তার ফলেই সৃষ্টি হয় কসমিক রিবন অফ গ্যাস।
আরও পড়ুন- Perseverance Mars Rover: মঙ্গলগ্রহের পৃষ্ঠদেশে ‘আঁচড়’ দেখতে পেয়েছে নাসার পাঠানো রোভার, দেখুন ছবি