Perseverance Mars Rover: মঙ্গলগ্রহের পৃষ্ঠদেশে ‘আঁচড়’ দেখতে পেয়েছে নাসার পাঠানো রোভার, দেখুন ছবি

সেই ১৯৭০ সাল থেকে মঙ্গলগ্রহে যন্ত্রাংশ পাঠাচ্ছে মার্কিন স্পেস এজেন্সি নাসা। তবে এই প্রথমবার কোনও মেশিন মঙ্গলগ্রহের পৃষ্ঠদেশে থাকা Jezero Crater এলাকার নীচের সারফেস পর্যবেক্ষণ করছে।

Perseverance Mars Rover: মঙ্গলগ্রহের পৃষ্ঠদেশে 'আঁচড়' দেখতে পেয়েছে নাসার পাঠানো রোভার, দেখুন ছবি
মঙ্গলগ্রহের পৃষ্ঠদেশে আঁচড় বা স্ক্র্যাচ মার্কস দেখতে পাওয়া গিয়েছে।
Follow Us:
| Edited By: | Updated on: Nov 11, 2021 | 11:07 PM

নাসার পারসিভের‍্যান্স রোভার অভিযান চালাচ্ছে মঙ্গলগ্রহের পৃষ্ঠদেশে। সম্প্রতি নাসার এই মার্স রোভার জানিয়েছে যে, সে এমন একটা কিছু পর্যবেক্ষণ করেছে, যা এর আগে কেউ কখনও দেখেনি। টুইটারে এমনটাই জানানো হয়েছে নাসার মার্স রোভার পারসিভের‍্যান্সের তরফে। জানা গিয়েছে, এই রোভার নাকি মঙ্গলগ্রহের পৃষ্ঠদেশে এক ধরনের আঁচড় দেখতে পেয়েছে। মার্সিয়ান সারফেস অর্থাৎ লালগ্রহের পৃষ্ঠদেশে এর আগে কখনও কেউ এমন আঁচড় দেখতে পায়নি।

নাসার পারিসভের‍্যান্স রোভারের রোবোটিক আর্ম বা হাতে একটি টুল বা যন্ত্রাংশ যুক্ত করা রয়েছে। এর সাহায্যেই নজরে এসেছে ওই স্ক্র্যাচ অর্থাৎ আঁচড়। জানা গিয়েছে সেই সময় Jezero Crater- এর উপর দিয়ে উড়ছিল রোভার পারসিভের‍্যান্স। মঙ্গলগ্রহে আসলে প্রাণের সন্ধান চালাচ্ছেন নাসার বিজ্ঞানীরা। আর সেই জন্য প্রয়োজন জলের খোঁজ করা। এর পাশাপাশি মার্সিয়ান রক অর্থাৎ লালগ্রহের পাথুরে নমুনাও সংগ্রহ করছে রোভার। এই সমস্ত নমুনা পৃথিবীতে নিয়ে আসা হবে। তারপর সেইসব পর্যবেক্ষণ করে নতুন সিদ্ধান্তে উপনীত হবে বৈজ্ঞানিকরা। তাই জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের পছন্দসই নমুনা এবং উপকরণের খোঁজেই Jezero Crater- এর উপর দিয়ে উড়ছিল নাসার পাঠানো মার্স রোভার পারসিভের‍্যান্স। সেই সময়েই নজরে আসে ওই আঁচড়।

দেখুন সেই টুইট

ইতিমধ্যেই মঙ্গলগ্রহের পৃষ্ঠদেশে সন্ধান পাওয়া ওই আঁচড় অর্থাৎ স্ক্র্যাচের ছবি পাঠানো হয়েছে নাসার বিজ্ঞানীদের কাছে। সত্যিই এই ছবি বেশ বিস্ময়কর। আর এই ছবি প্রকাশ্যে আসার পর থেকেই মঙ্গলগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব প্রসঙ্গে বৈজ্ঞানিকদের কৌতূহল নতুন করে কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে। তাঁদের অনুমান, লালগ্রহের পৃষ্ঠদেশে হয়তো লুক্কায়িত রয়েছে প্রাণের অস্তিত্বের সম্ভাব্য নমুনা। আপাতত এই আঁচড়ের দাগ বা স্ক্র্যাচ মার্কসের আরও নমুনা সংগ্রহ করবে নাসার মার্স রোভার পারসিভের‍্যান্স। সেইসব পৃথিবীতে এনে পরীক্ষা করা হবে।

সেই ১৯৭০ সাল থেকে মঙ্গলগ্রহে যন্ত্রাংশ পাঠাচ্ছে মার্কিন স্পেস এজেন্সি নাসা। তবে এই প্রথমবার কোনও মেশিন মঙ্গলগ্রহের পৃষ্ঠদেশে থাকা Jezero Crater এলাকার নীচের সারফেস পর্যবেক্ষণ করছে। হয়তো এর ফলে মঙ্গলগ্রহে আদৌ কোনওদিন জলের অস্তিত্ব ছিল কিনা তা জানা যাবে। এর পাশাপাশি এও হয়তো জানা যাবে যে এই লালগ্রহ কোনওদিন মনুষ্য বাস যোগ্য ছিল কিনা বা আগামী দিনে কখনও হবে কিনা। অন্যদিকে মঙ্গলগ্রহে ইতিমধ্যেই ১৫তম সফল উড়ান সম্পন্ন করেছে নাসার Ingenuity হেলিকপ্টার। আর জানা গিয়েছে, এ যাবৎ নাসার মার্স রোভার পারসিভের‍্যান্স অন্তত ২০টি স্যাম্পেল বা নমুনা সংগ্রহ করেছে।

আরও পড়ুন- Leonid Meteor Shower: আগামী ১৭ নভেম্বর চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছোবে এই বিশেষ ধরনের উল্কাবৃষ্টি, জানিয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা

আরও পড়ুন- T4660 Nereus: পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসছে সুবিশাল গ্রহাণু, আয়তনে প্রায় আইফেল টাওয়ারের সমান!