কয়েকদিন আগেই কৃষ্ণ গহ্বর বা ব্ল্যাক হোলের পিছন দিক থেকে আলোর উৎস খুঁজে পেয়েছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। এবার ফের রহস্য তৈরি হয়েছে ব্ল্যাক হোল নিয়েই। অত্যাধুনিক টেলিস্কোপে এবার ধরা পড়েছে ব্ল্যাক হোলের চারপাসজে থাকা একাধিক রিং (সেট অফ রিংস)। রিং বলতে এখানে গোলাকার অবয়বকে বোঝানো হয়েছে। পার্শ্ববর্তী একটি নক্ষত্র থেকে বিভিন্ন উপাদান টেনে সরিয়ে আনছে এইসব রিং। যে নক্ষত্র থেকে ব্ল্যাক হোলের চারপাশে থাকা রিংগুলো উপাদান সরিয়ে আনছে, তার ভর সূর্যের প্রায় অর্ধেক।
বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন, নাসার Chandra X-ray Observatory এবং Neil Gehrels Swift Observatory দিয়ে পর্যবেক্ষণ করে পৃথিবী থেকে ৭৮০০ আলোকবর্ষ দূরে থাকা ব্ল্যাক হোলের চারধারে এইসব রিং দেখা গিয়েছে। এই ছবি থেকে আমাদের ছায়াপথে থাকা ধূলিকণা সংক্রান্ত নতুন তথ্য পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা এও জানিয়েছেন যে, এক্স রে- এর মধ্যে এইসম ধূলিকণা উজ্জ্বল বা চকচকে হয়ে ওঠে। জানা গিয়েছে, এই ব্ল্যাক হোল V404 Cygni বাইনারি সিস্টেমের অন্তর্ভুক্ত। এর আগে ২০১৫ সালে V404 Cygni থেকে ‘এক্স রে বার্স্ট’ পর্যবেক্ষণ করেছিলেন বৈজ্ঞানিকরা। এর পর থেকেই চলছিল গবেষণা। আর তার ফলে এই ব্ল্যাক হোলের চারপাশে অনেক রিং- এর হদিশ পেয়েছেন তাঁরা।
উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে Neil Gehrels Swift Observatory- ই প্রথম V404 Cygni থেকে ‘এক্স রে বার্স্ট’ পর্যবেক্ষণ করেছিল। এর ফলে তৈরি হয়েছিল রিং। বিজ্ঞানের পরিভাষায় এই হাই এনার্জি রিং- কে বলা হয় লাইট ইকোস। জানা গিয়েছেম যখন ব্ল্যাক হোল সিস্টেম থেকে এক্স রে বাউন্স হয়ে বা ছিটকে বেরিয়ে এসে V404 Cygni এবং পৃথিবীর মধ্যবর্তী অংশে ডাস্ট ক্লাউডে (ধূলিকণা, মেঘ) মিশে যায়, তখন তৈরি হয় এই লাইট ইকোস। ২০১৫ সালে ৩০ জুন থেকে ২৫ অগস্টের মধ্যে V404 Cygni বাইনারি সিস্টেমের ৫০টি পর্যবেক্ষণ সম্ভব হয়েছিল। এর মধ্যে ১১ এবং ২৫ জুলাইয়ের পর্যবেক্ষণ হয়েছিল নাসার Chandra X-ray Observatory- র সাহায্যে।
আপাতত ব্ল্যাক হোলের চারপাশে থাকা এই রিংগুলি নিয়ে গবেষণা শুরু করেছেন বিজ্ঞানীরা। তাঁরা জানিয়েছেন, এই সমস্ত রিং ভাল ভাবে খতিয়ে দেখলে পৃথিবী এবং ব্ল্যাক হোলের মধ্যবর্তী অংশের ব্যাপারে বিভিন্ন অজানা এবং নতুন তথ্য প্রকাশিত হবে।
আরও পড়ুন- মঙ্গলে যেতে চান? সুযোগ দেবে নাসা! তাড়াতাড়ি আবেদন করে ফেলুন, কারা সুযোগ পাবেন? দেখে নিন