ISRO satellite launch: প্রথমবার মাস্কের রকেটে চেপে মহাকাশে ভারতের ‘জিস্যাট ২০’, কী সুবিধা পাবেন বিমানযাত্রীরা?
ISRO satellite launch: ইসরো জানিয়েছে, ভারতের ইন্টারনেট পরিষেবাকে আরও উন্নত করতে সাহায্য করবে কৃত্রিম এই উপগ্রহ। প্রত্যন্ত গ্রামীণ অঞ্চলে ইন্টারনেট পরিষেবা, মাঝআকাশে বিমানের ভিতরেও ইন্টারনেট পরিষেবার মতো একাধিক সুবিধা পাওয়া যাবে।
ফ্লোরিডা: অপেক্ষার অবসান। প্রথমবার ইলন মাস্কের স্পেসএক্সের রকেটে চেপে মহাকাশে পাড়ি দিল ইসরোর ‘জিস্যাট ২০’ কৃত্রিম উপগ্রহ। সোমবার মধ্যরাতে ফ্লোরিডার ক্যানাভেরাল স্পেস ফোর্স স্টেশন থেকে এটি উৎক্ষেপণ করা হয়। স্পেসএক্সের ‘ফ্যালকন ৯’ রকেটের সাহায্যে সফলভাবে মহাকাশে পাড়ি দেয় ইসরোর অত্যাধুনিক কৃত্রিম উপগ্রহ ‘জিস্যাট ২০’।
ইসরোর বাণিজ্যিক শাখা নিউ স্পেস ইন্ডিয়া লিমিটেডের চেয়ারম্যান রাধাকৃষ্ণন দুরাইরাজ জানান, উৎক্ষেপণ সফল হয়েছে। এবং নির্দিষ্ট কক্ষপথে পৌঁছে গিয়েছে এই কমিউনিকেশন স্যাটেলাইট।
‘জিস্যাট ২০’ কৃত্রিম উপগ্রহ কী কাজে লাগবে?
ইসরো জানিয়েছে, ভারতের ইন্টারনেট পরিষেবাকে আরও উন্নত করতে সাহায্য করবে কৃত্রিম এই উপগ্রহ। প্রত্যন্ত গ্রামীণ অঞ্চলে ইন্টারনেট পরিষেবা, মাঝআকাশে বিমানের ভিতরেও ইন্টারনেট পরিষেবার মতো একাধিক সুবিধা পাওয়া যাবে। এতে রয়েছে একটি Ka-ব্যান্ড হাই-থ্রুপুট কমিউনিকেশন পেলোড। কৃত্রিম উপগ্রহটি ১৪ বছর সচল থাকবে।
এই স্যাটেলাইট জিএসএটি-এন২ নামেও পরিচিত। কৃত্রিম উপগ্রহটির ওজন ৪,৭০০ কেজি। যা ইসরোর নিজস্ব রকেটের মাধ্যমে বহন করার জন্য বেশি ভারী। সেই কারণেই আরও স্পেসএক্সের সঙ্গে এই যৌথ উদ্যোগ।
শুধু এক কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ নয়। ইসরো এবং স্পেসএক্স যৌথভাবে ভারতীয় মহাকাশচারীকে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে পাঠানোর বিষয়েও কাজ করছে। গ্রুপ ক্যাপ্টেন শুভাংশু শুক্লা ২০২৫ সালে ফ্লাইং ল্যাবরেটরিতে যাওয়ার জন্য Axiom Space-এ প্রশিক্ষণ নিচ্ছেন।