New Planet: সৌরজগতের বাইরে ঘটা একের পর এক ঘটনা বিশ্ববাসীকে অবাক করে। বিজ্ঞানীরা সৌরজগতের বাইরে এমন এক গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন, যা দেখলে আপনার চোখ কপালে উঠবে। ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি (ESA)-এর CHOPS স্পেস টেলিস্কোপ এটি সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহ করেছে। এই টেলিস্কোপের পুরো নাম ‘ক্যারেক্টারাইজিং এক্সোপ্ল্যানেট স্যাটেলাইট’। টেলিস্কোপটির কাজ সৌরজগতের বাইরের বিভিন্ন গ্রহ-উপগ্রহকে পর্যবেক্ষণ করা। এই অদ্ভুত গ্রহটি পৃথিবী থেকে 260 আলোকবর্ষেরও বেশি দূরে। এটিতে আলো পড়ার সঙ্গে সঙ্গে তার 80 শতাংশ প্রতিফলিত হয়। আর পৃথিবী সূর্যের আলোর মাত্র 30 শতাংশ প্রতিফলিত করতে পারে। ESA রিপোর্ট অনুসারে, যে সমস্ত গ্রহ সূর্য ব্যতীত অন্য কোন নক্ষত্রের চারদিকে ঘোরে, তাদের বলা হয় এক্সোপ্ল্যানেট। এই গ্রহটি সেই তালিকায় পড়ে না।
গ্রহটি কেন অন্য সব গ্রহ থেকে আলাদা?
বিজ্ঞানীরা এমন একটি গ্রহের সন্ধান পেয়েছেন, যা তাঁদের মতে সৌরজগতে একেবারেই থাকা উচিত নয়। এটিকে মহাকাশের সবচেয়ে উজ্জ্বল গ্রহ বলে বিবেচনা করেছেন বিজ্ঞানীরা। বিজ্ঞানীদের মতে, গ্রহটি কাচের মতো স্বচ্ছ। বিজ্ঞানীরা এই অনন্য গ্রহের আবিষ্কার করতে গিয়ে দেখেছেন, এটি সৌরজগতের বাইরের একটি অত্যন্ত গরম এবং অনন্য গ্রহ। নেপচুনের আকারের এই গ্রহটি সূর্যের চারিদিকে ঘোরে। এই গ্রহটি টাইটানিয়াম এবং সিলিকার মেঘে আবৃত। আর সেই মেঘে সূর্যের আলো পড়লে, তা প্রতিফলিত হয়।
Alien planet with metallic clouds resembles ‘a giant mirror in space’ https://t.co/MVbGv4YfcX pic.twitter.com/iLMfmdLxhN
— Reuters (@Reuters) July 10, 2023
গ্রহটির নাম কী দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা?
এই গ্রহটির নাম দেওয়া হয়েছে LTT9779b, যার আয়তন নেপচুনের সমান। এটি 2020 সালে প্রথম আবিষ্কৃত হয়। এর বিশেষ বিষয় হল, এই গ্রহটি মাত্র 19 ঘন্টায় সূর্যের চারদিকে ঘোরে। সূর্যের এত কাছে থাকার কারণে LTT9779b-এর সূর্যের দিকে মুখ করা অংশের তাপমাত্রা 2 হাজার ডিগ্রি সেলসিয়াস।
অ্যাস্ট্রোনমি অ্যান্ড অ্যাস্ট্রোফিজিক্স জার্নালে (Astronomy and Astrophysics Journal) এই গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে। গবেষণার সহ-লেখক ভিভিয়ান পারমেন্টিয়ার একটি বিবৃতিতে জানিয়েছেন, এই গ্রহে মেঘ তৈরি হয়। তবে এতে জলের সন্ধান পাওয়া যায়নি। কারণ এই গ্রহে মেঘ ধাতু এবং টাইটেনিয়াম দিয়ে তৈরি হয়।
গ্রহটি সম্পর্কে আর কী জানাচ্ছেন বিজ্ঞানীরা?
গ্রহটি পৃথিবীর চেয়ে 5 গুণ বড়। আর এই গ্রহটি যে অঞ্চলে রয়েছে তাকে ‘নেপচুন মরুভূমি’ (Neptune Desert) বলা হয়। মানে ওই গোটা এলাকায় এই আকারের আর কোনও গ্রহ নেই। গবেষকরা গবেষণা করতে গিয়ে দেখেছেন, গ্রহে তৈরি ধাতব মেঘগুলির (ধাতু এবং টাইটেনিয়াম দিয়ে তৈরি) জন্য গ্রহটি 80 শতাংশ আলো প্রতিফলিত করতে পারে।