Hunger And Anger: খিদের চোটে ঘনঘন ‘হ্যাংরি’ মনোভাব? ভুল কিছু নেই, ক্ষুধা ও রাগের মধ্যে লিঙ্ক খুঁজে পেলেন বিজ্ঞানীরা

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়ন্তন মুখোপাধ্যায়

Jul 11, 2022 | 4:09 PM

Is Hangry A Real Thing: খুব 'হাংরি' অবস্থা থেকে আপনি যখন 'অ্যাংরি' হন, তখনকার অবস্থাটাকে বলা হয় 'হ্যাংরি'। এবার বিজ্ঞানীরা 'হাঙ্গার' ও 'অ্যাঙ্গারের' মধ্যে একটা লিঙ্ক খুঁজে পেয়েছেন। সেই লিঙ্ক সম্পর্কে অনেক কিছুই এখন আপনার জেনে নেওয়া জরুরি।

Hunger And Anger: খিদের চোটে ঘনঘন হ্যাংরি মনোভাব? ভুল কিছু নেই, ক্ষুধা ও রাগের মধ্যে লিঙ্ক খুঁজে পেলেন বিজ্ঞানীরা
প্রতীকী ছবি।

Follow Us

খিদের (Hungry) চোটে আপনি রেগে যাবেন অর্থাৎ ‘অ্যাংরি’ (Angry) হবেন, খুব স্বাভাবিক ব্যাপার। কিন্তু কখন আপনি ‘হ্যাংরি’ হন, জানেন? না, ‘হাংরি’ নয়, ‘হ্যাংরি’? প্রচণ্ড খিদে যখন আপনাকে তীব্র বিরক্ত করে, তখনই আপনি ‘হ্যাংরি’ (Hangry) হন। আর আপনার এই ‘হ্যাংরি’ হওয়ার সঙ্গে বিজ্ঞানের বড়সড় ভূমিকা রয়েছে। সম্প্রতি PLOS One জার্নালে প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, একজন ব্যক্তির ক্ষুধার্ত হওয়া এবং নেগেটিভ ইমোশনের মধ্যে একটা লিঙ্ক রয়েছে। আর সেই অনুভূতিকেই বলা হচ্ছে ‘হ্যাংরি’ – যার মধ্যে অ্যাংরি এবং হাংরি দুই-ই রয়েছে।

‘হ্যাংরি’ বলে সত্যিই কি কিছুর অস্তিত্ব রয়েছে?

সেন্ট্রাল ইউরোপের 64 জন ব্যক্তিকে নিয়ে এই গবেষণাটি চালানো হয়েছে। তাঁদের ক্ষুধা, রাগ, বিরক্তি, আনন্দ এবং উত্তেজনার কথা 21 দিনেরও বেশি সময় ধরে প্রতিদিন একটি 5 পয়েন্টের রেটিং সিস্টেমের মাধ্যমে রিপোর্ট করা হয়েছে। গবেষণায় বলা হয়েছে, “ফলাফলগুলি ইঙ্গিত দিয়ছে যে, সেল্ফ-রিপোর্টেড বা স্ব-প্রতিবেদিত ক্ষুধার বৃহত্তর স্তরগুলি রাগ এবং বিরক্তির বৃহত্তর অনুভূতি এবং কম আনন্দের সঙ্গে যুক্ত ছিল।”

গবেষণায় এ-ও ধরা পড়েছে যে, রাগ, বিরক্তি ও আনন্দের বিপরীতে উত্তেজনা এবং ক্ষুব্ধ হওয়ার মধ্যে কোনও সম্পর্ক ছিল না। “এই ফলাফলগুলি প্রমাণ করে যে, প্রতিদিনের ক্ষুধার মাত্রা নেতিবাচক আবেগের সঙ্গে যুক্ত এবং ‘হ্যাংরি’ হওয়ার ধারণাকে সমর্থন করে,” গবেষকরা যোগ করেছেন। যদিও এই গবেষণাটি ‘হ্যাংরি’ হওয়ার অনুভূতিতে কিছুটা বৈধতা যোগ করতে পারলেও বিজ্ঞানীরা একটা বড় দিক এখনও ধরতে পারেননি। তা হল, মানুষ প্রচণ্ড ক্ষুধার্ত থাকলে তাঁর মধ্যে বিরক্তি ভাব আসে কেন?

গবেষণাপত্রটির একজন লেখক বীরেন স্বামী জার্মানির সংবাদমাধ্যম DPA নিউজ় এজেন্সির কাছে জানিয়েছেন, এটি রক্তে শর্করা হ্রাসের সাক্ষী হওয়ার পরে আবেগ নিয়ন্ত্রণে মস্তিষ্কের অক্ষমতার ফলাফল হতে পারে। আরও একটা কারণের কথা তিনি বলছেন। তা হল, মানুষ যখন ক্ষুধার্ত থাকেন, তখন তাঁরা বাহ্যিক কারণগুলির প্রতি ভিন্নভাবে প্রতিক্রিয়া দেখাতে থাকেন।

স্বামীর কথায়, “এটি সম্ভবত উভয় কারণেরই একটি জটিল সংমিশ্রণ।” তবে, ক্ষুধা এবং নেতিবাচক আবেগের মধ্যে এই লিঙ্কটিকে দৃঢ় করার জন্য ভবিষ্যতে আরও মূল্যায়নের প্রয়োজন হতে পারে। তার থেকেও বেশি হল, ক্ষুধার সময় কেন মানুষ বিরক্ত হন, সেই কারণটাও খুঁজে বের করা।

Next Article