Resurrect Dodo Birds: 400 বছর পর ফিরতে চলেছে ‘বিলুপ্ত’ ডোডো পাখি, কীভাবে হবে এই অসাধ্য সাধন?

TV9 Bangla Digital | Edited By: অন্বেষা বিশ্বাস

Feb 04, 2023 | 1:41 PM

Bring Back Extinct Dodo Bird: এখন ডোডোপাখি (Dodo Bird) ইতিহাসের একটি অধ্যায় মাত্র। তবে সম্প্রতি কলোসেল বায়োসায়েন্স নামক এক সংস্থা ফের তাদের ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা করেছে।

Resurrect Dodo Birds: 400 বছর পর ফিরতে চলেছে বিলুপ্ত ডোডো পাখি, কীভাবে হবে এই অসাধ্য সাধন?

Follow Us

Latest Scientific Research: বিলুপ্তপ্রায় প্রাণী ও পাখির কথা উঠলে ডোডোর উল্লেখ অবশ্যই আসে। উচ্চতা 1 মিটার। ওজন 23-15 কেজি। পাখি হয়েও উড়তে পারত না। বিভিন্ন সময়ে নানান গল্প-কবিতায় ফিরে ফিরে এসেছে এই আশ্চর্য পাখিটি। 1507 সালে একজন পর্তুগিজ নাবিক এটি প্রথম দেখেছিলেন এবং সেটিকে শিকার করেছিলেন। এর মাংস এতই সুস্বাদু ছিল যে, মানুষ শিকার করতে শুরু করেছিল। 1590-এর শেষে মরিশাসে আসে একদল মানুষ। তাদের দেখে ঘাবড়ে যায়নি ডোডো পাখি। বরং পোষ মেনেছিল। আর তারই খেসারত দিতে হয় পাখিগুলিকে। সমস্ত ডিম যেতে থাকল মানুষের পেটে। এইভাবে বিলুপ্তির পথে এগিয়ে গেল ডোডো এবং 17 শতকে তারা সম্পূর্ণরূপে অদৃশ্য হয়ে যায়। এখন ডোডোপাখি (Dodo Bird) ইতিহাসের একটি অধ্যায় মাত্র। তবে সম্প্রতি কলোসেল বায়োসায়েন্স নামক এক সংস্থা ফের তাদের ফিরিয়ে আনার পরিকল্পনা করেছে।

ভারত মহাসাগরের দ্বীপগুলিতে পাওয়া এই বিশাল পাখিটি 17 শতকের মাঝামাঝি অদৃশ্য হয়ে গিয়েছিল, যার কারণ আমরা মানুষ। এখন প্রায় 400 বছর আগে বিলুপ্ত হয়ে যাওয়া এই পাখিটিকে ডিএনএ গবেষণার মাধ্যমে এই অসম্ভবকে সম্ভব করার কাজে লেগে পরেছেন,গবেষকের দল। সংস্থাটি ইতিমধ্যে জিন প্রযুক্তি ব্যবহার করে ম্যামথ ও থাইসিনদের পুনরায় ফিরিয়ে আনার কাজও শুরু করেছে।

জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং নিয়ে কাজ করা আমেরিকান কোম্পানি কলোসাল বায়োসায়েন্সেস এই প্রচেষ্টা শুরু করে দিয়েছে। সম্প্রতি সংস্থাটি আনুষ্ঠানিকভাবে এটি ঘোষণা করেছে। গবেষকরা বলেছেন, “আমরা ডোডো ছাড়াও ভবিষ্যতে ডাইনোসরদের রাস্তায় ঘুরে বেড়াতে দেখতে পারি। যদিও এই মুহুর্তে এটি অনেক দূরের বিষয় এবং জিন প্রযুক্তির কারণে যে প্রাণীগুলি অদৃশ্য হয়ে গিয়েছে তারা পৃথিবীতে ফিরে আসতে সক্ষম হবে কি-না তাও নিশ্চিত নয়, তবে চেষ্টা চলছে। এই প্রকল্পে 15 কোটি মার্কিন ডলারের অর্থায়ন হয়েছে।”

ব্রিটানিকা ওয়েবসাইট অনুসারে, শেষ ডোডো পাখিটি 1681 সালে মরিশাসে মারা হয়েছিল। তারপরে যাদুঘরে কেবল তার অবশিষ্টাংশ দেখা যায়। এই গবেষণা সফল হলে, জীববিদ্যার এক নতুন দিগন্ত খুলে যাবে বলে মনে করছেন গবেষকরা। বিশেষজ্ঞদের একাংশ মনে করছেন, বিলুপ্ত প্রাণীদের ফিরিয়ে আনার চেষ্টার পাশাপাশি বর্তমানে বিলুপ্তির দোরগোড়ায় চলে যাওয়া প্রাণীদের সংরক্ষণেও জোর দেওয়া প্রয়োজন।

Next Article