বৃহস্পতির চাঁদ Ganymede- এর বায়ুমণ্ডলে প্রথম জলীয় বাষ্পের সন্ধান পেয়েছে Hubble টেলিস্কোপ

TV9 Bangla Digital | Edited By: Sohini chakrabarty

Jul 29, 2021 | 9:21 PM

বৃহস্পতির চাঁদ Ganymede- এ দিন-রাতের তাপমাত্রার ব্যাপক হারে পার্থক্য হয়। দুপুরবেলা প্রবলভাবে উষ্ণ হয়ে ওঠে Ganymede- এর বায়ুমণ্ডল। ঠিক উল্টোটা হয় রাতে।

বৃহস্পতির চাঁদ Ganymede- এর বায়ুমণ্ডলে প্রথম জলীয় বাষ্পের সন্ধান পেয়েছে Hubble টেলিস্কোপ
বৃহস্পতির চাঁদ Ganymede- এর বায়ুমণ্ডলে জলীয় বাষ্পের সন্ধান পেয়েছে Hubble টেলিস্কোপ।

Follow Us

বৃহস্পতি গ্রহের চাঁদ অর্থাৎ Jupiter’s moon Ganymede- এর বায়ুমণ্ডলে জলীয় বাষ্পের হদিশ পেয়েছে Hubble স্পেস টেলিস্কোপ। বৃহস্পতির এই চাঁদ Ganymede সৌরমণ্ডলের সবচেয়ে বড় চাঁদ। জ্যোতির্বিজ্ঞানীদের একাংশের বিশ্বাস পৃথিবীর সমস্ত সাগর-মহাসাগর মিলিয়ে যত পরিমাণ জল রয়েছে, তার থেকে বেশি পরিমাণ জল রয়েছে Ganymede- এ। তবে তরল অবস্থায় সেখানে জলের সন্ধান পাওয়া বেশ মুশকিল। কারণ Ganymede- এ তাপমাত্রা এতই কম অর্থাৎ বৃহস্পতির এই চাঁদ এতটাই হিমশীতল যে সারফেস এরিয়া বা পৃষ্ঠদেশের সমস্ত জল জমে বরফ হয়ে গিয়েছে। আর পৃষ্ঠদেশ থেকে প্রায় ১৬০ কিলোমিটার গভীরে রয়েছে সমুদ্র। এই তথ্য প্রকাশ করেছে ইউরোপীয়ান এজেন্সি। তাই এই Ganymede- এ বাষ্পের আকারে জলের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে।

বিজ্ঞানীরা মনে করেন, পৃথিবীর বাইরে অন্য কোথাও প্রাণের অস্তিস্ব ছিল কি না তা খুঁজতে গেলে সবার আগে সেখানে জলের সন্ধান করতে হবে। তা সে জল যে অবস্থাতেই পাওয়া যাক। অর্থাৎ তরল হোক বা বায়বীয় কিংবা জমাটবদ্ধ অবস্থা- জলের অস্তিত্ব থাকাটা প্রয়োজন। কারণ জলের অস্তিত্ব পেলেই তবেই প্রাণের অস্তিত্বের সন্ধান চালানোর অভিযানের পরবর্তী পর্যায়ে এগিয়ে যান বৈজ্ঞানিকরা। বৃহস্পতির চাঁদ Ganymede- এ জলের সন্ধান পাওয়া গিয়েছে, সেটা কিন্তু দীর্ঘ পর্যবেক্ষণের পর জানতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা। এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, বিগত প্রায় দু’দশক ধরে Hubble টেলিস্কোপের আর্কাইভাল ডেটাবেস খুঁটিয়ে পর্যবেক্ষণ করছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা। আর সেই পর্যবেক্ষণ এবং গবেষণা থেকেই জানা গিয়েছে যে, বৃহস্পতির চাঁদ Ganymede- এর বায়ুমণ্ডলে বাষ্পের আকারে জলের সন্ধান পাওয়া গিয়েছিল।

ইউরোপীয়ান স্পেস এজেন্সির তরফেও জানানো হয়েছে যে, পৃথিবীর বাইরে অন্যত্র তরল আকারে জলের সন্ধান পাওয়াটা বেশ জরুরি পর্যবেক্ষণ। কারণ এর থেকেই এই সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া সম্ভব যে আদৌ ওই জায়গা মনুষ্য বসবাসযোগ্য নাকি নয়। জানা গিয়েছে ১৯৯৮ সালে Hubble টেলিস্কোপ প্রথম বৃহস্পতির চাঁদ Ganymede- এর আলট্রা ভায়োলেট ছবি তুলেছিল। সেই ছবি পর্যবেক্ষণ করেই দেখা গিয়েছে, Ganymede- এর বায়ুমণ্ডল থেকে এক ধরনের অদ্ভুত জিনিসের নির্গমণ হচ্ছে। এর একটা নির্দিষ্ট প্যাটার্নও রয়েছে। এই ধরনের বৈশিষ্ট্য পৃথিবী- সহ অন্যান্য অনেক গ্রহেই দেখা যায়। চৌম্বক্ষেত্র থাকলে এমনটা দেখা যায়।

এরপর আরও গভীরে গিয়ে পর্যবেক্ষণ করায় বিজ্ঞানীরা জানতে পারেন যে বৃহস্পতির চাঁদ Ganymede- এ দিন-রাতের তাপমাত্রার ব্যাপক হারে পার্থক্য হয়। দুপুরবেলা প্রবলভাবে উষ্ণ হয়ে ওঠে Ganymede- এর বায়ুমণ্ডল। ঠিক উল্টোটা হয় রাতে। এক ধাক্কায় পারদ এতটাই নেমে যায় যে হিমশীতল বায়ুমণ্ডল হয়ে যায় Ganymede- এ। এই দিন-রাতের তাপমাত্রার ফারাকের কারণেই জলীয় বাষ্প তৈরি হয়। দিনের বেলা পারদ চড়লে জমে থাকা বরফ থেকে কিছু পরিমাণ বাষপের উৎপত্তি হয়। যেহেতু ক্রাস্ট বা Ganymede- এর পৃষ্ঠদেশের নীচে সমুদ্র রয়েছে, তাই জলীয় বাষপের উৎপত্তি হওয়াটা সাধারণ বিষয়।

আরও পড়ুন- Chandrayaan-3: ২০২২ সালের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে চন্দ্রযান-৩ উৎক্ষেপণ করবে ইসরো

Next Article