করোনা আবহে দারুণ আবিষ্কার করেছেন একদল ভারতীয় বিজ্ঞানী। তাঁরা এমন একটি অ্যান্টিভাইরাল মাস্ক (antiviral mask) আবিষ্কার করেছেন যা নিজে নিজেই জীবাণুমুক্ত হতে পারে। ওই বিজ্ঞানীদের দাবি, এই স্ব-জীবাণুমুক্তকারী (self-disinfecting) করোনাভাইরাসের সঙ্গেও লড়তে পারবে। সম্প্রতি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রক এই মাস্ক আবিষ্কারের কথা প্রকাশ্যে এনেছে। জানা গিয়েছে, এই সেলফ ডিসইনফেকটিং অ্যান্টিভাইরাল মাস্কে রয়েছে তামা ভিত্তিক ন্যানো পার্টিকেলসের (copper-based nanoparticles) কোটিং। করোনাভাইরাস ছাড়া অন্যান্য ভাইরাল এবং ব্যাকটেরিয়া জনিত ইনফেকশনের ক্ষেত্রেও কাজে লাগবে এই মাস্ক। এমনটাই জানিয়েছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রক। এছাড়াও জানা গিয়েছে, এই মাস্ক বা মুখোশ একটি বায়োডিগ্রেডেবল (biodegradable) জিনিস। সেই সঙ্গে বলা হয়েছে যে এই মাস্ক ধুয়েও পরিষ্কার করা সম্ভব এবং সাধারণত মাস্ক পরলে যে অনেকের দমবন্ধ ভাব লাগে, শ্বাস নিতে কষ্ট নয়, সেইসব সমস্যা এই মাস্কের ক্ষেত্রে দেখা যাবে না।
মাস্ক এখন আমাদের নিত্যসঙ্গী। করোনার দাপট শুরু হওয়ার পর একদম গোড়ার দিকেই আমজনতাকে মাস্ক পরে থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। এমনকী দেখা গিয়েছে, শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে অর্থাৎ এয়ারবোন ভাইরাস এক স্থান থেকে অন্যত্র যাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা দেয় এই মাস্ক। ফলে মাস্ক যে নিঃসন্দেহে ভাইরাস ছড়ানো রোখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু সাধারণ মাস্কের সাহায্যে ভাইরাসের ট্রান্সমিশন অর্থাৎ জীবাণুর সংক্রমণ রুখে দেওয়া বেশ জটিল বিষয়। বিশেষ করে যেসব এলাকায় জনঘনত্ব বেশি সেখানে এই সমস্যা প্রকট হয়ে দেখা দেয়। এই তালিকায় রয়েছে হাসপাতাল, বিমানবন্দর, রেল স্টেশন, শপিং মিল। সাধারণত এই এলাকাগুলিতে একসঙ্গে অনেক মানুষ থাকেন। ফলে ভাইরাস সংক্রমণের সম্ভাবনা বেশি থাকে। আর এখন করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের দাপটও বেড়েছে ভারতে। অতএব এই পরিস্থিতিতে এমন সেলফ ডিসইনফেকটিভ বায়ডিগ্রেডেবল মাস্কের আবিষ্কার সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
বলা হচ্ছে, ভারতের বাজারে যেসমস্ত চড়া দামের মাস্ক পাওয়া যায় সেখানে অ্যান্টিভাইরাল বা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য নেই। আর এইসব মাস্ক কেবলমাত্র ফিল্টারিং পদ্ধতিতে ভাইরাসকে ধরে রাখতে পারে। কিন্তু জীবাণু বিনষ্ট করে না। ফলে এই মাস্ক সঠিকভাবে পরা না হলে এবং সঠিক জায়গায় ফেলা না হলে তার থেকে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার বা সংক্রমণের সম্ভাবনা থেকেই যায়। এমনটাই মত কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের। তাই এই নতুন মাস্ক আবিষ্কার করা হয়েছে। International Advanced Research Centre for Powder Metallurgy and New Materials (ARCI)- এর গবেষকরা এই নতুন ধরনের ফেস মাস্ক আবিষ্কার করেছেন। এই কাজে তাঁরা সাহায্য নিয়েছেন বেঙ্গালুরুর একটি কোম্পানি, Centre for Cellular & Molecular Biology (CSIR-CCMB) এবং Resil Chemicals- এদের। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের ন্যানো মিশন প্রোজেক্টের আওতায় এই ফেস মাস্ক তৈরি হয়েছে।
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
আরও পড়ুন- Sense Of Smell Of Humans: সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ঘ্রাণশক্তি কমেছে মানুষের, নতুন গবেষণায় দাবি বিজ্ঞানীদের
করোনা আবহে দারুণ আবিষ্কার করেছেন একদল ভারতীয় বিজ্ঞানী। তাঁরা এমন একটি অ্যান্টিভাইরাল মাস্ক (antiviral mask) আবিষ্কার করেছেন যা নিজে নিজেই জীবাণুমুক্ত হতে পারে। ওই বিজ্ঞানীদের দাবি, এই স্ব-জীবাণুমুক্তকারী (self-disinfecting) করোনাভাইরাসের সঙ্গেও লড়তে পারবে। সম্প্রতি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রক এই মাস্ক আবিষ্কারের কথা প্রকাশ্যে এনেছে। জানা গিয়েছে, এই সেলফ ডিসইনফেকটিং অ্যান্টিভাইরাল মাস্কে রয়েছে তামা ভিত্তিক ন্যানো পার্টিকেলসের (copper-based nanoparticles) কোটিং। করোনাভাইরাস ছাড়া অন্যান্য ভাইরাল এবং ব্যাকটেরিয়া জনিত ইনফেকশনের ক্ষেত্রেও কাজে লাগবে এই মাস্ক। এমনটাই জানিয়েছে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রক। এছাড়াও জানা গিয়েছে, এই মাস্ক বা মুখোশ একটি বায়োডিগ্রেডেবল (biodegradable) জিনিস। সেই সঙ্গে বলা হয়েছে যে এই মাস্ক ধুয়েও পরিষ্কার করা সম্ভব এবং সাধারণত মাস্ক পরলে যে অনেকের দমবন্ধ ভাব লাগে, শ্বাস নিতে কষ্ট নয়, সেইসব সমস্যা এই মাস্কের ক্ষেত্রে দেখা যাবে না।
মাস্ক এখন আমাদের নিত্যসঙ্গী। করোনার দাপট শুরু হওয়ার পর একদম গোড়ার দিকেই আমজনতাকে মাস্ক পরে থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন চিকিৎসকরা। এমনকী দেখা গিয়েছে, শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমে অর্থাৎ এয়ারবোন ভাইরাস এক স্থান থেকে অন্যত্র যাওয়ার ক্ষেত্রে বাধা দেয় এই মাস্ক। ফলে মাস্ক যে নিঃসন্দেহে ভাইরাস ছড়ানো রোখার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে তা বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু সাধারণ মাস্কের সাহায্যে ভাইরাসের ট্রান্সমিশন অর্থাৎ জীবাণুর সংক্রমণ রুখে দেওয়া বেশ জটিল বিষয়। বিশেষ করে যেসব এলাকায় জনঘনত্ব বেশি সেখানে এই সমস্যা প্রকট হয়ে দেখা দেয়। এই তালিকায় রয়েছে হাসপাতাল, বিমানবন্দর, রেল স্টেশন, শপিং মিল। সাধারণত এই এলাকাগুলিতে একসঙ্গে অনেক মানুষ থাকেন। ফলে ভাইরাস সংক্রমণের সম্ভাবনা বেশি থাকে। আর এখন করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রনের দাপটও বেড়েছে ভারতে। অতএব এই পরিস্থিতিতে এমন সেলফ ডিসইনফেকটিভ বায়ডিগ্রেডেবল মাস্কের আবিষ্কার সত্যিই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
বলা হচ্ছে, ভারতের বাজারে যেসমস্ত চড়া দামের মাস্ক পাওয়া যায় সেখানে অ্যান্টিভাইরাল বা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল বৈশিষ্ট্য নেই। আর এইসব মাস্ক কেবলমাত্র ফিল্টারিং পদ্ধতিতে ভাইরাসকে ধরে রাখতে পারে। কিন্তু জীবাণু বিনষ্ট করে না। ফলে এই মাস্ক সঠিকভাবে পরা না হলে এবং সঠিক জায়গায় ফেলা না হলে তার থেকে ভাইরাস ছড়িয়ে পড়ার বা সংক্রমণের সম্ভাবনা থেকেই যায়। এমনটাই মত কেন্দ্রীয় মন্ত্রকের। তাই এই নতুন মাস্ক আবিষ্কার করা হয়েছে। International Advanced Research Centre for Powder Metallurgy and New Materials (ARCI)- এর গবেষকরা এই নতুন ধরনের ফেস মাস্ক আবিষ্কার করেছেন। এই কাজে তাঁরা সাহায্য নিয়েছেন বেঙ্গালুরুর একটি কোম্পানি, Centre for Cellular & Molecular Biology (CSIR-CCMB) এবং Resil Chemicals- এদের। ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের ন্যানো মিশন প্রোজেক্টের আওতায় এই ফেস মাস্ক তৈরি হয়েছে।
বাংলা টেলিভিশনে প্রথমবার, দেখুন TV9 বাঙালিয়ানা
আরও পড়ুন- Sense Of Smell Of Humans: সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ঘ্রাণশক্তি কমেছে মানুষের, নতুন গবেষণায় দাবি বিজ্ঞানীদের