AQI
Sign In

By signing in or creating an account, you agree with Associated Broadcasting Company's Terms & Conditions and Privacy Policy.

Solar Corona: সূর্যের বাইরের অংশ পর্যবেক্ষণে মঙ্গলযান ব্যবহার করেছেন একদল ভারতীয় বৈজ্ঞানিক

Solar Corona: সোলার করোনা (Solar Corona) হল সূর্যের (Sun) একদম বাইরের অংশ। এই অংশে তাপমাত্রা ঠিক কতটা বেশি তা আন্দাজ করাও কঠিন।

Solar Corona: সূর্যের বাইরের অংশ পর্যবেক্ষণে মঙ্গলযান ব্যবহার করেছেন একদল ভারতীয় বৈজ্ঞানিক
ছবি প্রতীকী।
| Edited By: | Updated on: Mar 02, 2022 | 3:35 PM
Share

সূর্যের বাইরের অংশ অর্থাৎ করোনাকে (Solar Corona) পর্যবেক্ষণ করার জন্য ব্যবহার করা হয়েছে মঙ্গলযান (Mangalyaan)। সম্প্রতি একদল ভারতীয় বৈজ্ঞানিকের মাধ্যমে একথা প্রকাশ্যে এসেছে। শোনা গিয়েছে, এই বিজ্ঞানীরা মার্স অরবিটার মিশন (Mars Orbiter Mission) অর্থাৎ মঙ্গলযান ব্যবহার করেছেন সূর্যের করোনাকে পর্যবেক্ষণের জন্য। আর এই পর্যবেক্ষণ চালানো হয়েছে সোলার কনজাংকশনের সময়। অর্থাৎ যে সময়ে সূর্যের একদিকে থাকে পৃথিবী। আর তার বিপরীত দিকে থাকে মঙ্গলগ্রহ। সূর্যের বায়ুমণ্ডল এখানে সূর্যের বাইররে অংশ করোনার বায়ুমণ্ডল খতিয়ে দেখার জন্য এই বিশেষ পর্যায়ের সাহায্য নিয়েছিল মঙ্গলযান। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সূর্যের করোনা নিয়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে কৌতূহল রয়েছে দীর্ঘদিন ধরেই। এই রহস্যজনক স্থানের জটিল বিষয়বস্তু বোঝার জন্যই তা গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন।

ত্রিবান্দামের বিক্রম সারাভাই স্পেস সেন্টারের ফিজিক্স ল্যাবরেটরি, আহমেদাবাদের ফিজিক্স রিসার্চ ল্যাবরেটরি এবং বেঙ্গালুরুর ইসরো টেলেমেট্রি ট্র্যাকিং অ্যান্ড কম্যান্ড নেটওয়ার্ক (ISTRAC)- এর বিজ্ঞানীরা মঙ্গলগ্রহ থেকে আসা এস ব্যান্ডের রেডিয়ো সিগন্যালের সাহায্যে সোলার করোনা পর্যবেক্ষণ এবং গবেষণা করেছেন। ২০১৫ সালের মেন থেকে জুন মাসের মধ্যে যখন সূর্যের সক্রিয়তা তুলনায় কিছুটা কম থাকে, সেই সময় ইসরোর বিজ্ঞানীরা সোলার করোনার টার্বুলেন্স পর্যবেক্ষণ করতে সক্ষম হয়েছিলেন। Monthly Notices of the Royal Astronomical Society- জার্নালে প্রকাশিত হয়েছিল এই সংক্রান্ত প্রতিবেদন।

সোলার করোনা হল সূর্যের একদম বাইরের অংশ। এই অংশে তাপমাত্রা ঠিক কতটা বেশি তা আন্দাজ করাও কঠিন। কয়েক লক্ষ ডিগ্রি কেলভিন এখানকার উষ্ণতা। আর এই অতিরিক্ত উষ্ণতাই সোলার করোনায় পর্যবেক্ষণ এবং গবেষণা চালানোর ক্ষেত্রে অন্যতম বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এখানে পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে হলেই চ্যালেঞ্জের সম্মুখীন হতে বিজ্ঞানীদের। আসে অনেক বাধা-বিপদ। সোলার করোনার এই তীব্র উষ্ণতার কারণ কী তা খুঁজতেই অভিযান চালাচ্ছেন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তের বৈজ্ঞানিকরা। এর পাশাপাশি সলার করোনার মধ্যে যে সৌর বায়ু রয়েছে তা নিয়েও পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাতে আগ্রহী বৈজ্ঞানিকরা।

সম্প্রতি নাসার মহাকাশযান পার্কার ফের একবার ছুঁয়ে ফেলেছে সূর্যকে। সৌরকণার উত্তাপ অনুভব করে ওই মহাকাশযান জানান দিয়েছে যে এই উষ্ণতা প্রায় ৭৬০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের সমান। নাসার পার্কার সোলার প্রোবের মাধ্যমে আসলে সূর্যের কাছাকাছি পৌঁছনোই একমাত্র লক্ষ্য। নতুন করে সূর্যের কাছাকাছি গিয়েছে সৌরকণার গনগনে আঁচ অনুভব করেছে পার্কার মহাকাশযান। সূর্য কীভাবে গঠন হয়েছে, আমাদের সৌরমণ্ডলের সবচেয়ে উজ্জ্বল নক্ষত্র কীভাবে কাজ করে তা গভীরভাবে বোঝার জন্যই এই পার্কার সোলার প্রোব ১১তম বারের জন্য সূর্যের একদম কাছাকাছি গিয়েছে। এই ক্লোজ অ্যাপ্রোচ বা কাছাকাছি যাওয়াকে বলা হয় পেরিহিলিয়ন।

আরও পড়ুন- Weddell Seals: আন্টার্কটিকার বরফের নীচে হিমশীতল জলে অভিযান চালাবে সিল মাছ! অভিনব উদ্যোগ জাপানের গবেষকদের