Glacier Breaks Down: তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ল 10 ফুটবল মাঠের সমান আন্টার্কটিক হিমবাহ, ভয়াবহ সুনামির ইঙ্গিত?

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়ন্তন মুখোপাধ্যায়

Dec 04, 2022 | 11:00 PM

William Glacier Broke Away: গবেষকরা সম্প্রতি একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন। সেখানে দেখা গিয়েছে, আন্টার্কটিকার উইলিয়াম হিমবাহ যার আয়তন প্রায় 10টা ফুটবল ময়দানের সমান, তা ভেঙে পড়ল এক্কেবারে তাসের ঘরের মতো।

Follow Us

Antarctica: ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটে গেল আন্টার্কটিকায়, যা এই মানবসভ্যতার বেঁচে থাকার জন্য বড্ড ঝুঁকির বিষয়। গবেষকরা সম্প্রতি একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন। সেখানে দেখা গিয়েছে, আন্টার্কটিকার উইলিয়াম হিমবাহ যার আয়তন প্রায় 10টা ফুটবল ময়দানের সমান, তা ভেঙে পড়ল এক্কেবারে তাসের ঘরের মতো। নিমেষে বিশালাকার ওই হিমবাহ কয়েক হাজার টুকরোতে পরিণত হল। গবেষণায় যে তথ্য মিলেছে, তা লিপিবদ্ধ করে রাখা হয়েছে জার্নাল সায়েন্স অ্যাডভান্সে। গবেষকরা বিশ্বাস করেন, এই কাণ্ড সমুদ্রপৃষ্ঠে অভ্যন্তরীণ সুনামিকে ডেকে আনতে পারে।

এই সার্ভের ফলাফল খুব সম্প্রতি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখান থেকে জানা গিয়েছে, বছর দুয়েক আগে এই ঘটনাটি ঘটেছিল। তখন ব্রিটিশ আন্টার্কটিক সার্ভের আরআরএস জেমস ক্লার্ক রস গবেষণা জাহাজে থাকা দলটি আন্টার্কটিক উপদ্বীপের সমুদ্রের পরিমাপ করছিল।

সার্ভে থেকে জানা গিয়েছে, প্রতি বছর একপ্রকার নিয়ম করে উইলিয়াম গ্লেসিয়ারের কমপক্ষে দুটি বড় এরকম ভাবে ভেঙে গিয়ে চূর্ণবিচূর্ণ হওয়ার ঘটনা ঘটে। গবেষণা দলটি প্রকাশ করেছে, হিমবাহের সামনের অংশটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে 40 মিটার উপরে। এই ঘটনাটি প্রায় 78,000 বর্গ মিটার বরফ ভেঙেছে, যা 10টি ফুটবল মাঠের সমান। গবেষণা থেকে আরও জানা গিয়েছে, হিমবাহের সামনের অংশটি ভেঙে যাওয়ার আগে 50-100 মিটার গভীরতায় সমুদ্রের জল উষ্ণ ছিল। দেখা গিয়েছে, এই ক্যালভিং (হিমবাহ ভেঙে পড়ার ঘটনা) বিভিন্ন গভীরতা জুড়ে নাটকীয়ভাবে তাপমাত্রা পরিবর্তন করেছে।

যে বিশেষজ্ঞরা গবেষণার কাজটি করেছেন তাঁদের দাবি, অভ্যন্তরীণ সুনামি তরঙ্গ সমুদ্রে বরফের মিশ্রণে একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। এগুলি সামুদ্রিক জীবনকে প্রভাবিত করে, বিভিন্ন গভীরতায় তাপমাত্রা পরিবর্তন করে এবং সমুদ্রের বরফের আরও গলে যাওয়ার বিষয়টি নির্ধারণ করে। গবেষকরা যে ডেটা ব্যবহার করেছেন, তা ইউরোপের কোপার্নিকাস সেন্টিনেল-1 উপগ্রহ থেকে নেওয়া হয়েছিল। ঠিক সেই সময় এই কাজটি করা হয়েছিল, যখন জাহাজটি উপদ্বীপের কাছাকাছি অবস্থান থেকে একটি র‌্যাডার ছবি ক্যাপচার করেছিল।

রিসার্চ পেপারের মূল লেখক মাইকেল মেরেডিথ বলছেন, “বিষয়টি দেখতে খুব ভাল লাগছিল এবং আমরা ভাগ্যবান ছিলাম বলেই সঠিক সময় সঠিক জায়গায় ঘটনাটি চাক্ষুষ করতে চলেছিলাম। এরকম প্রচুর হিমবাহ সমুদ্রেই শেষ হয় এবং তাদের সামনের অংশগুলি নিয়মিতভাবে আইসবার্গে বিভক্ত হয়। এগুলি সাধারণত বড় সারফেসে তরঙ্গের সৃষ্টি করতে পারে বলে আমাদের ধারণা ছিল। কিন্তু এখন দেখলাম, এগুলি সমুদ্রের ভিতরেও তরঙ্গের সৃষ্টি করে। সেই অভ্যন্তরীণ তরঙ্গগুলিই সমুদ্রে মিশ্রিত হয়ে সামুদ্রিক জীবনকে প্রভাবতি করে। পাশাপাশি বিভিন্ন গভীরতায় বরফ গলাতে পারে।”

ভূমিধ্বসের কারণে কয়েকটি জায়গায় অভ্যন্তরীণ সুনামি লক্ষ্য করা গিয়েছে। যদিও কেউ এটা লক্ষ্য করেনি যে, ঘটনাটি আন্টার্কটিকার আশপাশে ঘটছে কি না। রিপোর্টে বলা হয়েছে, গ্রিনল্যান্ড এবং আর্কটিকের অন্যান্য স্থানগুলিতে যেখানে হিমবাহ রয়েছে, সেগুলিও প্রভাবিত হতে পারে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের হিমবাহগুলো ধীরে ধীরে গলে যাচ্ছে।

Antarctica: ভয়ঙ্কর কাণ্ড ঘটে গেল আন্টার্কটিকায়, যা এই মানবসভ্যতার বেঁচে থাকার জন্য বড্ড ঝুঁকির বিষয়। গবেষকরা সম্প্রতি একটি ভিডিয়ো শেয়ার করেছেন। সেখানে দেখা গিয়েছে, আন্টার্কটিকার উইলিয়াম হিমবাহ যার আয়তন প্রায় 10টা ফুটবল ময়দানের সমান, তা ভেঙে পড়ল এক্কেবারে তাসের ঘরের মতো। নিমেষে বিশালাকার ওই হিমবাহ কয়েক হাজার টুকরোতে পরিণত হল। গবেষণায় যে তথ্য মিলেছে, তা লিপিবদ্ধ করে রাখা হয়েছে জার্নাল সায়েন্স অ্যাডভান্সে। গবেষকরা বিশ্বাস করেন, এই কাণ্ড সমুদ্রপৃষ্ঠে অভ্যন্তরীণ সুনামিকে ডেকে আনতে পারে।

এই সার্ভের ফলাফল খুব সম্প্রতি প্রকাশ করা হয়েছে। সেখান থেকে জানা গিয়েছে, বছর দুয়েক আগে এই ঘটনাটি ঘটেছিল। তখন ব্রিটিশ আন্টার্কটিক সার্ভের আরআরএস জেমস ক্লার্ক রস গবেষণা জাহাজে থাকা দলটি আন্টার্কটিক উপদ্বীপের সমুদ্রের পরিমাপ করছিল।

সার্ভে থেকে জানা গিয়েছে, প্রতি বছর একপ্রকার নিয়ম করে উইলিয়াম গ্লেসিয়ারের কমপক্ষে দুটি বড় এরকম ভাবে ভেঙে গিয়ে চূর্ণবিচূর্ণ হওয়ার ঘটনা ঘটে। গবেষণা দলটি প্রকাশ করেছে, হিমবাহের সামনের অংশটি সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে 40 মিটার উপরে। এই ঘটনাটি প্রায় 78,000 বর্গ মিটার বরফ ভেঙেছে, যা 10টি ফুটবল মাঠের সমান। গবেষণা থেকে আরও জানা গিয়েছে, হিমবাহের সামনের অংশটি ভেঙে যাওয়ার আগে 50-100 মিটার গভীরতায় সমুদ্রের জল উষ্ণ ছিল। দেখা গিয়েছে, এই ক্যালভিং (হিমবাহ ভেঙে পড়ার ঘটনা) বিভিন্ন গভীরতা জুড়ে নাটকীয়ভাবে তাপমাত্রা পরিবর্তন করেছে।

যে বিশেষজ্ঞরা গবেষণার কাজটি করেছেন তাঁদের দাবি, অভ্যন্তরীণ সুনামি তরঙ্গ সমুদ্রে বরফের মিশ্রণে একটি গুরুত্বপূর্ণ কারণ। এগুলি সামুদ্রিক জীবনকে প্রভাবিত করে, বিভিন্ন গভীরতায় তাপমাত্রা পরিবর্তন করে এবং সমুদ্রের বরফের আরও গলে যাওয়ার বিষয়টি নির্ধারণ করে। গবেষকরা যে ডেটা ব্যবহার করেছেন, তা ইউরোপের কোপার্নিকাস সেন্টিনেল-1 উপগ্রহ থেকে নেওয়া হয়েছিল। ঠিক সেই সময় এই কাজটি করা হয়েছিল, যখন জাহাজটি উপদ্বীপের কাছাকাছি অবস্থান থেকে একটি র‌্যাডার ছবি ক্যাপচার করেছিল।

রিসার্চ পেপারের মূল লেখক মাইকেল মেরেডিথ বলছেন, “বিষয়টি দেখতে খুব ভাল লাগছিল এবং আমরা ভাগ্যবান ছিলাম বলেই সঠিক সময় সঠিক জায়গায় ঘটনাটি চাক্ষুষ করতে চলেছিলাম। এরকম প্রচুর হিমবাহ সমুদ্রেই শেষ হয় এবং তাদের সামনের অংশগুলি নিয়মিতভাবে আইসবার্গে বিভক্ত হয়। এগুলি সাধারণত বড় সারফেসে তরঙ্গের সৃষ্টি করতে পারে বলে আমাদের ধারণা ছিল। কিন্তু এখন দেখলাম, এগুলি সমুদ্রের ভিতরেও তরঙ্গের সৃষ্টি করে। সেই অভ্যন্তরীণ তরঙ্গগুলিই সমুদ্রে মিশ্রিত হয়ে সামুদ্রিক জীবনকে প্রভাবতি করে। পাশাপাশি বিভিন্ন গভীরতায় বরফ গলাতে পারে।”

ভূমিধ্বসের কারণে কয়েকটি জায়গায় অভ্যন্তরীণ সুনামি লক্ষ্য করা গিয়েছে। যদিও কেউ এটা লক্ষ্য করেনি যে, ঘটনাটি আন্টার্কটিকার আশপাশে ঘটছে কি না। রিপোর্টে বলা হয়েছে, গ্রিনল্যান্ড এবং আর্কটিকের অন্যান্য স্থানগুলিতে যেখানে হিমবাহ রয়েছে, সেগুলিও প্রভাবিত হতে পারে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে বিশ্বের হিমবাহগুলো ধীরে ধীরে গলে যাচ্ছে।

Next Article