Bears Face On Mars: লাল গ্রহে ভাল্লুকের আনাগোনা? Nasa-র অরবিটারের তোলা মঙ্গলের নতুন ছবি দেখে হতবাক নেটদুনিয়া

TV9 Bangla Digital | Edited By: সায়ন্তন মুখোপাধ্যায়

Jan 30, 2023 | 6:08 PM

NASA-র অরবিটার থেকে তোলা সাম্প্রতিকতম একটি ছবি থেকে লাল গ্রহে ভাল্লুকের মুখই দেখা গিয়েছে। Nasa-র Mars Reconnaissance অরবিটার থেকে ছবিটি তোলা হয়েছে, যা মঙ্গলের চারপাশে ঘুরে চলেছে বিগত 17 বছর ধরে।

Bears Face On Mars: লাল গ্রহে ভাল্লুকের আনাগোনা? Nasa-র অরবিটারের তোলা মঙ্গলের নতুন ছবি দেখে হতবাক নেটদুনিয়া
মঙ্গলে কি সত্যিই ভাল্লুক ঘোরাফেরা করত এক সময়?

Follow Us

NASA Orbiter: কী দেখছেন ছবিটায়? একটা ভাল্লুকের মুখ দেখতে পাচ্ছেন তো? কোথায় তোলা জানেন ছবিটা? যদি জানেন ছবিটা কোথায় তোলা, আকাশ থেকে পড়বেন তাহলে! মঙ্গলগ্রহে তোলা হয়েছে এই ছবিটা। বিশ্বাস হচ্ছে না তাই তো? ভাবছেন, যে লালগ্রহে প্রাণের অস্তিত্ব আছে কি না, তা নিয়ে বহুদিন ধরে গবেষণা চলছে, সেখানে নাকি ভাল্লুকের বসবাস! হ্যাঁ, NASA-র অরবিটার থেকে তোলা সাম্প্রতিকতম একটি ছবি থেকে লাল গ্রহে ভাল্লুকের মুখই দেখা গিয়েছে। Nasa-র Mars Reconnaissance অরবিটার থেকে ছবিটি তোলা হয়েছে, যা মঙ্গলের চারপাশে ঘুরে চলেছে বিগত 17 বছর ধরে। গত বছর 12 ডিসেম্বর ছবিটি তোলা হয়েছিল। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মনে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে ছবিটি।

দেড় দশকেরও বেশি সময় ধরে অরবিটারটি মঙ্গলের কিছু হাই-রেজ়োলিউশন ছবি তুলে চলেছে। অ্যারিজ়োনার টাকসনের ইউনিভার্সিটি অফ অ্যারিজ়োনা লুনার অ্যান্ড প্ল্যানেটারি ল্যাবরেটারিতে হাই রেজ়োলিউশন ইমেজিং সায়েন্স এক্সপেরিমেন্ট বা HiRISE-এ অরবিটার থেকে পাঠানো ছবিগুলিকে বিশ্লেষণ করা হচ্ছে।

সত্যিই কি ওটা ভাল্লুক?

টুইটারে যখন প্রথমবার ছবিটি শেয়ার করা হয়, নেটিজ়েনদের অনেকেই এটিকে ডজের (Doge) সঙ্গে তুলনা করছিলেন। ডজ হল ইন্টারনেটের অন্যতম জনপ্রিয় মিম, যা পরবর্তীতে ক্রিপ্টোকারেন্সিও হয়। নেটপাড়ার লোকজনের মধ্যে অনেকেই আবার এই ছবির সঙ্গে পেঁচার মুখেরও মিল পেয়েছেন। কেউ কেউ আবার এ-ও বলেছেন যে, ছবিটার সঙ্গে বাচ্চাদের প্রিয় বইয়ের চরিত্র প্যাডিংটন বিয়ারের অনেকাংশেই মিল রয়েছে।

না, ওই ছবিটা ভাল্লুকের নয়। কোথা থেকে ভাল্লুক আসবে মঙ্গলে? গবেষকরা বলছেন, এটি আসলে একটি পাহাড় যা V আকৃতির এবং ভাল্লুকের নাকের মতো দেখাচ্ছে। ভাল্লুকের চোখ দুটো আসলে দুটো গর্ত, এবং এই গর্ত দুটো তৈরি হওয়ার ফলেই এত বড় একটা ‘সার্কুলার ফ্র্যাকচার প্যাটার্ন’ তৈরি হয়েছে।

HiRISE গবেষকরা দাবি করেছেন, বৃত্তাকার ফাটলটি আসলে গর্ত দুটির ব্যাপক প্রভাবের ফলেই সৃষ্টি হয়েছে। কিছুটা ঠাট্টার ঢঙেই দ্য ইউনিভার্সিটি অফ অ্যারিজ়োনার গবেষকরা যোগ করলেন, “শুধু হাসতে পারে আর সহ্য (bear) করতে পারে!”

কীভাবে Nasa-র এই Mars Reconnaissance অরবিটারটি কাজ করে, তা জানলে আপনি অবাক হয়ে যাবেন। HiRISE-এর তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে ক্যামেরাটি “দৃশ্যমান ওয়েভলেন্থে কাজ করে, ঠিক যে ভাবে মানুষের চোখ কাজ করে। তবে অরবিটারের একটা টেলিস্কোপিক লেন্স রয়েছে, যা এমনই রেজ়োলিউশনে ছবি তুলতে পারে অন্যান্য অরবিটাররা পারে না।”

HiRISE-এর ওয়েবসাইটে লেখা হচ্ছে, “এই হাই-রেজ়োলিউশন ছবিগুলো গবেষকদের, মঙ্গল গ্রহে 1 মিটার আকারের বস্তুগুলিকে আলাদা করতে এবং আগের চেয়ে অনেক বিস্তৃত পদ্ধতিতে মর্ফোলজি অধ্যয়নে সাহায্য করে।”

Next Article